অন্যরা আপনাকে কিভাবে দেখছে তার অনেকটাই নির্ভর করে আপনি নিজেকে কিভাবে দেখছেন অর্থাৎ আত্মবিশ্বাস যা আপনার ব্যাক্তিত্ব, আপনার চলাফেরা কে তুলে ধরে।
এই আত্মবিশ্বাস আমাদের নিজেদের দ্বিধাহীনভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়া জরুরী। এই আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু কিছু উপাদান কাজ করে যার প্রতি আমরা কিছুটা মনযোগী হলেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন ভয় কাজ করবে না।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিব্যাক্তি, সোজা হয়ে হাটা, দৃঢ় ভঙ্গিতে কথা বলা, কোন কাজে নিজে থেকে সামনে এগিয়ে আসা আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে।
নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন এর পাশাপাশি সময়ের সাথে সাথে নিজেকে কি করে তুলে ধরা যায় সে ব্যাপারে ধারণা থাকা। আমি যে কাজে ভয় পাচ্ছি সে কাজ থেকে পিছিয়ে না থেকে বরং তাকে কিভাবে জয় করা যায় তা ভেবে দেখা। ভুল সবারই হতে পারে। ভুলের ভয়ে পিছিয়ে থাকতে আমরা কেউ চাই না। ভুল যদি হয়ও আমরা তা থেকে শিক্ষা নেব এবং তার মাধ্যমে এগিয়ে যাব। এছাড়া কোন কাজে ১০০% সাফল্য আমরা প্রথমেই পাব না। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবো।
কোন একটি কাজ শুরু করার আগে যদি কাজ টা নতুন হয় তাহলে আগে এই বিষয়ে যারা সাফল্য লাভ করেছে তাদের কাজ পর্যালোচনা করে অথবা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী দের সাথে যদি আলোচনা করা যার ফলে আমাদের কাজটির ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
আমাদের মধ্যে আরেকটা জিনিস কাজ করতে পারে সেটা হচ্ছে আমাকে দেখে কেউ যদি হাসে! যে হাসছে এটা তার সমস্যা আমার না। যে অন্যকে ব্যাঙ্গ করে মজা পায় তার জন্য আমি পিছুপা হব কেন? আর আমার আত্মবিশ্বাস যদি প্রবল হয় তাহলে এটা গুরুত্ব পাবে না।
আমরা যদি অন্য কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলি তাহলে তা আমাদের জন্যও কাজ করবে। আমরা যখন অন্যদের ভুল খুঁজে বেড়াবো তখন আমাদের ও মনে হবে অন্যরা হয়ত আমাদের ভুল খুজবে। আত্মবিশ্বাসী হয়ে কোন কাজে এগিয়ে যেতে যা আমাদের কে বাধা দিবে।
এছাড়াও আমরা যখন দেখতে থাকি আমাদের কি নেই, কেন নেই, কেন পারি না তখন তা আমাদের আরও বেশি দুর্বল করে দেয়। বরং এর চেয়ে আমরা যদি দেখি আমাদের কি আছে, আমরা কি করতে পারি- হতে পারে এটা আমাদের দক্ষতা, আমাদের অতীতের কোন সাফল্য, আমাদের পরিবার, আমাদের যা আছে তার জন্য ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ যা আমাদের মানসিক শক্তি যোগাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




