প্রসঙ্গত: প্রভাতের ছবিতেই নচিকেতা বাবু প্রথম হিরোর মুখে গান করেন এবং লোপামুদ্রা দেবী ও স্বাগতালক্ষী দেবী বাংলা ছবিতে প্রথম প্লে ব্যাক করেন। বয়েস হয়েছে, স্বাগতাদেবীর খবরটি কি ভুল দিলাম, দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাচ্ছি। শুনতে পাই অনেকেই বলেন, অনুপ্রেরণাতেই নাকি তারা বাংলা গানের জগতে এসেছেন। অনেক কবি, চলচিত্রকারও আমার অনুপ্রেরণার কথা বলে থাকেন। কিন্তু টালিগঞ্জ-মার্কা নয় ক্লাসি ছবির একজন নির্মাতাও কখনো আমাকে দিয়ে কোনো কাজ করাননি।
অঞ্জন তাঁর রঞ্জনা ছবিতে আমাকে দিয়ে গানওলা গানটি গাওয়ান, আমি অভিনয়ও করি ওইরকম একটি গান, যা বাংলাগানের ইতিহাসে একটা ঘটনা বিশেষ। আমি এককথায় তাকে দিয়ে দিই। তিনি যা যা বলেছিলেন সব করেছিলাম। তিনি বা ছবির প্রযোজক কি একটি জায়গাতেও গায়ক, গীতিকার, সুরকার হিসেবে আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন? আইবিএফসি অ্যাওয়ার্ড-এ অন্তত আমি কোনো ক্যাটাগরীতেই নমিনেশন পাইনি। এসব ব্যাপার আমি বুঝিনা। আমার এক বন্ধু যিনি ঐ প্রতিযোগিতায় একজন জুরি ছিলেন, ব্যাপারটি আমাকে জানান কয়েকদিন আগে,সখেদে! অঞ্জনবাবু ও প্রযোজকের কাছে আপনারা জিজ্ঞেস করুন, ঐ ছবিতে কাজ করার জন্য আমি আদৌ কোনো টাকা বেধে দিয়েছিলাম কিনা এবং তারা আমায় কতো টাকা দিয়েছেন!
গানওলার মতো একটা গান আমি নিজে ক্যামেরার সামনে গেয়ে দিয়েছিলাম। কারণ, অঞ্জনবাবু আমার বন্ধু। আমার গা ঘিন ঘিন করছে, মমতা আমাকে যেভাবে ব্যবহার করেছেন, অঞ্জনবাবুর মতো একজন সৃজনশীল ইন্টেল্যাকচুয়াল মানুষও প্রায় সেভাবেই করলেন। ওই সমাজে আমি আর প্রকাশ্যে গান বাজনার অনুষ্ঠান করতে চাইনা। আমার বয়েস হয়ে গেছে, খারাপ লাগছে!
( ৩ ঘন্টা আগে পোস্ট করা কবীর সুমনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত)