গত ৬ আগস্ট ব্রাজিলিয়ান এক ১৩ বছরের বালক তার পুলিশ বাবা, নানী ও খালাকে হত্যা করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে সে ইতিহাসের বর্বরতম অ্যামিটিভেইল হত্যাকান্ড নিয়ে লেখা গ্রন্থ "হাই-হোপস" পড়ে এই ধরনের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো সে। ১৯৭৪ সালে নিউইয়র্ক এর অ্যামিটিভেইল রহস্যজনক ও ভয়ংকর হত্যাকান্ডের দায়ের অভিযুক্ত ঐ পরিবারেরই একজন সন্তান যার নাম, রনি। যে শটগান দিয়ে একে একে পরিবারের ৬ সদস্যকে হত্যা করেছিল। সে ছিলো, বেপরোয়া-অসহিষ্ণু এবং নেশাগ্রস্থ।
রনিকে এধরনের পারিবারিক হত্যাকান্ডে কোন সাহিত্যকর্ম বা মুভি বা বিশ্বাস বা নেশা অনুপ্রাণিত করেছিল জানা যায়নি।
আমাদের টিনদের একটা বড় অংশ ভীষণ রকমের মুভি পাগল এবং ফিকশন পাগল। এদের মধ্যে আমার একটা অংশ পাগলের মতো ক্লাসিকাল হরর, ডার্ক ফ্যান্টাসি, গোথিক হরর, সুপারন্যাচারাল হরর ফিল্ম বা সাহিত্য বুদ হয়ে থাকে। এ বছরের জুন মাসেই অ্যামিটিভেইল কাহিনী অবলম্বনে মুক্তি পেয়েছিল মুভি- দ্য কনজুরিং। যে মুভিটার ভয়াবহতা টিনদের মনে ভীষণভাবে সাড়া ফেলেছে। এছাড়া আসছে অক্টোবরে মুক্তির প্রতিক্ষায় আছে, বিখ্যাত হরর ফিকশন লেখক স্টিফেন কিং এর উপন্যাস "ক্যারি" অবলম্বনে- "ক্যারি" মুভিটি। সেখানে সুপারন্যাচারাল হরর কাহিনী অতিবিশ্বাসযোগ্য করে তোলার একটা করা হয়েছে। কিন্তু এইগুলো টিন বা কোমল মনে কি প্রভাব ফেলছে। এই সব হাস্যকর, ফালতু-অব্যাখ্যেয় বিষয়গুলো এতো সিরিয়াসলি দর্শকদের সামনে তুলে ধরার মানে কি?
এগুলো নি:সন্দেহে মানসিকভাবে বাচ্চা-কাচ্চাদের বিকারগ্রস্ত করে তুলছে।
(চলবে)