এটা একেবারেই দুষ্প্রাপ্য যে পরিবারে ঝগড়া-ঝাটি নেই; এমতাবস্থায় মিমাংসা করে নেয়াটা ভালো উদ্যোগ, সত্যের সাথে থাকে কল্যাণ। তবে শিশুদের সামনে পিতা-মাতার ঝগড়া চালিয়ে যাওয়া ক্ষতিকর। ফলে পরিবারের সদস্যগণ দুই বা ততোধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। কেউ পিতা, অন্যরা মাতাকে সমর্থন করতে পারে। এমতাবস্থায় দেশের মতো পরিবারেও রাজনৈতিক বিভাজন দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় শিশুরা সাধারণতঃ মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন অবস্থার কথা ভাবুন। যেখানে পিতা তার সন্তানকে বলে তোমার মায়ের সঙ্গে কথা বলবে না। আবার মা বলে, তোমার পিতার সঙ্গে কথা বলবে না। অবশ্যই এ অবস্থায় শিশুরা উভয় সংকটে পড়বে এবং বিভক্তির শিকার হবে। পরিবারে এ ধরনের ঝাগড়া এড়িয়ে চলা উচিত, যদি ঘটেও তা হলে তা অবশ্যই শিশুদের চোখের আড়ালে ঘটাতে হবে।
শিশুদের সামনে ঝগড়া করলে তাদের মেধার উপর যে কী পরিমাণ চাপ পড়ে তা কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি। তাদের মেধা নষ্ঠ হওয়ার প্রধান ক্ষতির কারণ কেন হতে যাচ্ছেন আপনারা!?
আপনাদের যদি ঝগড়া করতেই হয় তাহলে ছেলে-মেয়ে স্কুল বা মাদরাসায় পাঠিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঝগড়া করুন। যেভাবেই হোক তাদের সামনে এসব থেকে বিরত থাকুন। ধৈর্য ধারণ করুন। ইন-শা-আল্লাহ তাহলে তাদের মেধার কোন ক্ষতি হবে না। প্লিজ ঝগড়া করবেন না, তাহলে আপনাদের ঘর রহমতে ঢেকে যাবে।
বই: দাম্পত্য জীবনের সমস্যাবলির ৫০টি সমাধান
লেখক: আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী, মুহাম্মদ সালীহ আল-মুনাজ্জিদ
পরিবেশক: পিস পাবলিকেশন