আল্লাহর দেয়া বিধানের বিপরীত বিধান বা রীতি যখনই মানুষ আবিস্কার করেছে বা তাঁর বিধানকে বিকৃত করেছে তখনই মানুষ মূলত নিজেদের ক্ষতি ও বিপর্যয়ই ডেকে এনেছে।
আল্লাহ যে বিষয়টি বিয়ের সাথে সম্পর্কিত করলেন তাকে তালাকের সাথে সম্পর্কিত (অর্থাৎ অধিক অংক নির্ধারণ করে তাকে তালাকের প্রতিবন্ধকতা বানানোর পায়তারা) করে যদিও কিছু ঘরকে তালাক থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে কিন্তু তা বিয়ের উদ্দেশ্যে পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। পরিবারগুলোতে অশান্তি আর মানুষিক বিপর্যয়ের কারণ হচ্ছে। অপরদিকে বর্তমানে উল্টো তা তালাকেরই কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে দিন দিন।
বিয়ে, মোহরানা, তালাক ইত্যাদির উদ্দেশ্য বিষয় অজ্ঞতার দরুণ সমাজে দেখা দিয়েছে নানা প্রকার বিপর্যয়। মোহরানা পরিশোধকে বিয়ের মূখ্য অবহেলিত বিষয়ে রূপ দেয়া হয়েছে। একে তালাকের বিপরীতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এবং এ মানবসৃষ্টি পদ্ধতির দরুন মানুষ নানা মূখী বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে। যে দম্পতিদের আলাদা হওয়াই তাদের ঈমান ও পারিবারিক শান্তির জন্য জরুরী তারাও এ মোহরানার মত গলার কাঁটার কারণে না দাম্পত্যের শরঈ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারছেন আর না বিচ্ছিন্ন হতে পারছেন। অশান্তি, দাম্পত্য কলহের সাথেই তাদের কাটাতে হচ্ছে সংসার।
অপরদিকে মোহরানার টাকার সাথে তালাকের সম্পর্ক জুড়ে দেয়ায় অনেক স্ত্রীরাও তালাকের পথে নিজেদের লাভ ও সমৃদ্ধি খুজে ফিরছেন। ছোট-খাট বিষয়কে যেখানে দাম্পত্য ও পরিবারের জন্য উপেক্ষা করার কথা সেখানে আজ অতি সামান্য বিষয়েও তালাকের মত ঘটনা ঘটছে যার মূলে অনেকাংশে কাজ করছে তালাকের সাথে মোহরানার অংশের প্রাপ্তির সুযোগ!
আরেকটি ভুল ধারণা হচ্ছে, মোহরানার উদ্দেশ্য স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্ত্বা ধারণা করা। মূলত তা হচ্ছে বিয়ে ও পাত্র-পাত্রী উভয়ের একে অপরের জন্য হালাল হওয়ার শর্ত। স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্ত্বা ইসলাম মোহরানার মাধ্যমে নয় বরং তার পুরো জীবনকে আর্থিক নিরাপত্ত্বা একমাত্র ইসলামই দিয়েছে। বিয়ের আগে পিতা/ভাই, বিয়ের পর স্বামী/পুত্র/ভাই তার আর্থিক নিরাপত্ত্বা। আরো আছে সম্পদে তার অংশ। এছাড়াও নারী ইচ্ছা করলে শরিয়া অনুমিত পন্থায় ব্যবসা/চাকরি করতে পারে। অজ্ঞ ছাড়া কেউ মোহরানাকে নিরাপত্ত্বা বলে না!
তাই আসুন! আল্লাহর দেয়া বিধানের বিপরীত নিজেদের যুক্তি ও সামাজিক কুপ্রথাকে দেয়ালে ছুঁড়ে মেরে স্রষ্টার বিধানের কাছে আত্ম-সর্ম্পন করি। এতেই রয়েছে আমাদের কল্যাণ ও সুখ-সমৃদ্ধি। আল্লাহ বুঝার তাওফিক দিন।
প্রচারে: আন-নূর ইসলামিক ম্যারেজ মিডিয়া
অনুসরণ: https://www.facebook.com/annurmatrimonybd/