দেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানের ১১টির সঙ্গে আরও কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে একটি জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার সংসদে এ তথ্য জানান। তবে নতুন কতটি চ্যানেল অনুমোদন দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
দেশে বর্তমানে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ছাড়া আরও ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল স্যাটেলাইট সম্প্রচার করছে। তবে বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও নীতিমালা নেই।
তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বা আইন প্রণয়নের বিষয়টি তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন।
নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ মো. শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশে কোনও জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নেই। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বা আইন প্রণয়নের বিষয়টি তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন।"
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সংক্রান্ত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, "অতি দ্রুত সরকার কিছু চ্যানেল (বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল) দেবে। কিন্তু, এ মুহূর্তে সংখ্যা বলতে পারব না।"
সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রেও কোনও নীতিমালা নেই। বিটিভি'র জন্য 'টিভি কোড অফ অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্স এন্ড প্রাকটিটেস' নামে একটি নীতিমালা রয়েছে।
"টেলিভিশন বিজ্ঞাপন নীতিমালাটি বর্তমানে হালনাগাদ করবার জন্য সংশোধন কার্যক্রম চলছে। বিরক্তিকর ও অসৃজনশীল বিজ্ঞাপন প্রচার করলে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তা নীতিমালায় বিবেচনা করা হবে।"
তথ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম জানতে চান, বেসরকারি চ্যানেলগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি আগেই বলেছি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। তবে, আমরা কিছু কিছূ টেলিভিশনের মালিকদের ডেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি, যেন তারা মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে।"
আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "বিগত চারদলীয় জোট সরকার যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন একটি। যারা যেখানে কাজ করার যোগ্য নয়, তাদের সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
"সরকারি চাকরি থেকে হঠাৎ করেই কাউকে চাকরিচ্যুত করা যায় না। আবার ইচ্ছে করলেই কাউকে নিতে পারি না। এ জন্য যোগ্য লোকদের নিয়ে কয়েকটি কমিটি করা হয়েছে। আপনারা আগামীতেই বিটিভি'র উন্নয়ন দেখতে পাবেন।"
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফরিদুন্নাহার লাইলীর এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, "বেসরকারি টিভি চ্যানেলে স¤প্রচারিত অনুষ্ঠানমালা মনিটর করার জন্য বিটিভি'তে একটি মনিটরিং সেল ও একটি মনিটরিং কমিটি রয়েছে।"
আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "বিভিন্ন চ্যানেলের টক শো-তে যে আপত্তিকর বিষয়গুলো আসছে তা নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট টিভির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।"
সূত্রঃ Click This Link