গতকাল দুপুরে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলাম। ঘটনাটা বলছি। তবে তার আগে গতকাল সকাল থেকে ঘটে যাওয়া কিছু মজার ঘটনা শুনেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি খেতে গেলাম। দেখি ফিল্টারে পানি নাই। বেসিনে মুখ ধোতে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম টেপ থেকে ফুটন্ত পানি বের হচ্ছে। ভালই হল, টেপের পানি সরাসরি ফিল্টারে ঢেলে দিলাম।
ফ্রিজে খাবার কিছু আছে কিনা দেখতে ফ্রিজ খুললাম। দেখি সবকিছুতেই পোড়া পোড়া গন্ধ। নিচের ড্রয়ারে কিছু মিস্টি আলু ছিল। বের করে দেখি সেগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটা সিদ্ধ আলু প্লেটে নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম।
রান্নার চাল ছিল একটা ড্রামে রাখা। সকালে খাবার জন্য ড্রাম খুললাম। খুলে দেখি সেখানে একটাও চাল নেই। সব মুড়ি হয়ে গেছে। কি আর করা সকালে মুড়ি দিয়ে নাস্তা করলাম।
অফিসের জন্য বের হয়ে গেলাম। সকালের নাস্তাটা ভাল হল না। তাই ভাবলাম কিছু ফল কিনে নিয়ে যাব। সামনের দোকান থেকে ২৫০ গ্রাম আঙ্গুর আর বরই নিয়া গেলাম অফিসে খাওয়ার জন্য।
লোকাল বাসে উঠলাম। বাসে হেলপার নাই। ড্রাইভার বলল সে নাকি ছাদে গেছে। ছাদের গরমে সে রড গলাইয়া দা, বটি আর কড়াই বানাইতাছে।
বাস থেকে নেমে ভাবলাম দুইটা আঙ্গুর মুখে দেই। প্যাকেট বের করে দেখি আঙ্গুর সব কিসমিস হয়ে গেছে। বরই বের করে দেখি শুকনা আচার হয়ে গেছে। কি আর করা আচার আর কিসমিস নিয়ে অফিসে গেলাম।
দুপুর বেলা হোটেলে ভাত খেতে বের হলাম। দেখি রাস্তায় লোকজন খুব কম। নির্জন ফুটপাতে হাটছি। হঠাৎ দুইজন লোক আমাকে ডাকছে। তাদের একজনের হাতে ব্যাগ। তারা আমার পথ আটকালো। প্রথমজন বলল যা আছে সব দিয়ে দে। আমি আশপাশে দেখছিলাম কেউ আছে কিনা। দ্বিতীয় জন ব্যাগ থেকে একটা কালো কম্বল বের করল। কম্বল দেখে আমার অজ্ঞান হবার মত অবস্থা। এবার প্রথমজন বলল যা আছে দিয়ে দে নইলে কম্বল গায়ে জড়ায়া দিব। আমি ভয়ে মানিব্যাগ, মোবাইল দিয়ে দিলাম।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। এই গরমে বাইরে বের হবার আগে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। নইলে ছিনতাইকারী সব নিয়ে যাবে।