বাবা বললেন চুল কাটাতে নিয়ে যাবেন। তাঁর সঙ্গে সানন্দে চুল কাটাতে গেল দুই সন্তান মুন্নি (১০) ও মানসুর (৫)। কিন্তু বাবা ওদের চুল কাটাতে নিয়ে গেলেন না। নিয়ে গেলেন পদ্মা নদীর ওপর লালন শাহ সেতুতে। নিজ হাতে দুই সন্তানকে সেতু থেকে ফেলে দিলেন নদীতে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বারদাগ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেকের এই ঘটনা সম্পর্কে জানা যায় পারিবারিক সূত্রে। গতকাল শুক্রবার দুই সন্তানকে পদ্মা নদীতে ছেড়ে দেওয়ার কথা মালেক নিজেও স্বীকার করেছেন।
আজশনিবার সকাল ১০টার দিকে মালেককে অসুস্থ অবস্থায় ভেড়ামারা বিদ্যুেকন্দ্রের পাশের এক জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশ পাহারায় চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম আলো ডটকমকে মুন্নি ও মানসুরের মা মমতাজ খাতুনের দেওয়া ভাষ্যমতে, গতকাল সকাল নয়টার দিকে দুই ছেলেমেয়েকে চুল কাটানোর কথা বলে তাদের বাবা নিয়ে যায়। এরপর মালেক আর ফিরে আসেননি। সকালে তিনি শুনতে পান, ছেলেমেয়েকে তাঁর স্বামী নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভাবের সংসার, পেটে ভাত নাই, সন্তান বাঁচি রাখি কী করব। তাই ব্রিজের ওপর নি ফেলি দিছি।’
মালেকের ভাষ্যমতে, গতকাল সকালে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি একটি নসিমনে করে লালন শাহ সেতুর ওপর নামেন। মুন্নি ও মানসুরকে সেতুর রেলিংয়ের ওপর বসিয়ে প্রথমে মুন্নিকে ফেলে দেন। ভয়ে মানসুর দৌড় দিলে তাকে ধরে নদীতে ফেলে দেন। এরপর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন।
ভেড়ামারা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মতিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মালেককে পুলিশ পাহারায় চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। দুই সন্তানকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা সুস্থ অবস্থায় তিনি স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Click This Link