সারাদেশে সমমনা ইসলামী ১২ দলের মিছিলে পুলিশ, র্যাব ও তাদের পাহারায় আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মীরা নেকড়ের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “পুলিশ ও র্যাবের হামলায় কয়েকজন মুসল্লি নিহত ও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি আহত হন। আহতদের মধ্যে আছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি নোমান মাজহারী, যুগ্ম মহাসচিব খেলাফত মজলিস শেখ গোলাম আসগর, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী। তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোট ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সারাদেশ থেকে অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সাধারণ মুসল্লিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আন্দোলনরত মুসল্লিদের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে দায়িত্বরত সাংবাদিকরাও রেহাই পাননি। আহত ১২ জন সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানের মধ্যে জিটিভির মাকসুদ ও আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মীর হোসেন মীরুসহ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এ ধরনের বর্বরোচিত হামলায় হতাহত ও গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে কতিপয় অনলাইন ব্লগার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের যে হুমকি দিয়েছে তা চরম অগণতান্ত্রিক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। এটি সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম দমন করা আওয়ামী রাজনীতির ঐতিহ্য। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার চট্টগ্রামস্থ দৈনিক ‘আমার দেশ’ ও দৈনিক ‘নয়াদিগন্ত’ পত্রিকার ব্যুরো কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর এবং সাংবাদিকদের আহত করা হয়েছে।
মির্জা আলমগীর শাসক গোষ্ঠীকে সাবধান করে বলেন, স্বাধীন দেশে গণমানুষের মুখপাত্র সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ যেমন অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে একইভাবে বর্তমান সরকারেরও সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাবে
Click This Link