ঋণের জন্য মেয়ের স্কুলে গিয়ে কথা শোনায়, ঘর ভেঙ্গে নিল আশা এনজিও
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গরীবের দু:খ লাগবে জন্ম এনজিও'র। তবে বাস্তবে তারা গরীবের জন্য কতটুকু কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন বহুকাল ধরে। এমন অনেক এনজিও আছে যারা শুধু ঋণ বিতরণ অর্থাৎ সুদের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত। এদের মধ্যে আশা অন্যতম। বৃহৎ এ সুদের কারখানা সমাজে তেমন অবদান রাখে বলে শোনা যায় না। তবে ঋণ আদায়ে এরা পটু।
এবার শোনা গেল মাদারীপুরে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এক নারী দিনমজুরের বসতঘর বেচে দিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণদাতা বেসরকারি সংস্থা আশা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি আশার সমিতির হাট শাখা থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার কাচারিকান্দি গ্রামের আলী খার স্ত্রী নাছিমা বেগম । প্রথম চারটির পর আর কিস্তি দিতে না পারায় এনজিওর কর্মকর্তারা ওই পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপপ্রয়োগ
করেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
নাছিমার মেয়ে লিমা স্থানীয় এনায়েতনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিস্তির টাকা পেতে বিভিন্ন সময়ে এনজিওটির কর্মকর্তারা লিমার স্কুলে গিয়েও নানা মানহানিকর মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
লিমা জানায় - মায়ের ঋণের কারণে এনজিওকর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমার স্কুলে গিয়ে অন্য ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বসে সম্মানহানিকর কথা বলে। আর সন্ধ্যার পরে আমাদের ঘরে এসে বসে থাকে।
ঋণের পুরো ১৫ হাজার টাকায় বাড়ি বিক্রির কথা জানালেও এনজিওটি নাছিমার দেওয়া চারটি কিস্তির টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেন এই নারী।
এ ব্যাপারে আশার সমিতিরহাট শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ বলেন, ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারায় ওই পরিবারটিই ঘর বিক্রি করেছে। আমরা শুধু ক্রেতা ঠিক করে দিয়েছি।
আশাসহ বিভিন্ন এনজিও সেবার চেয়ে ঋণ বা সুদের ব্যবসা করতেই বেশী পছন্দ করে। তারা একজন সদস্যকে ৫ থেকে ১০ বা ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়। যা দিয়ে কোন ব্যবসা করা যায় না। বরং সেই ঋণ দিয়ে দেনা শোধ , মেয়ের বিয়ে, চিকিৎসা, ঘর নির্মাণ করে টাকা শেষ করে ফেলে। পরে ঋণ শোধ করতে গিয়ে সমস্যা হয়।
এনজিওগুলো সরকারি নিয়মনীতিও মানে না। নিয়ম হল ঋণ নেয়ার ২ সপ্তাহ পর কিস্তির টাকা শুরু হবে কিন্ত অনেক এনজিও ১ সপ্তাহ পর থেকেই তাদের টাকা আদায় করে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে অনেক এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ শোনা যায়। টাকা আত্মসাত, রুক্ষ আচরণ, নারীঘটিত ঘটনা। এসব দেখভালর দায়িত্বে রয়েছে রেগুলেটরী কমিশন। তবে তারা কতটুকু দেখে শুনে রাখে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।
এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড্রাকুলা
কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।
অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন
অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!
দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক
১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন