somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সীমান্তে ভারতীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসুচী

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুধু ফারাক্কা বা তিস্তা না ইস্যু নয়, আমাদের সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ আজ পাখির মত মানুষ মারছে, নির্মম অত্যাচার করছে। আর আমরা কিনা সেই ইন্ডিয়ান পন্য কিনে তাদের হাতেই আমাদের দেশের টাকা তুলে দিচ্ছি? আপনি কি জানেন ইন্ডিয়ার বার্ষিক রপ্তানীর একটা বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসে?

আমাদের দেশেও সমমানের অনেক পন্য প্রস্তুত হয়, কিন্তু শুধু আমাদের না জানার জন্য তাদের আজ নিজ দেশেই যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হচ্ছে। আপনিই বলেন , এটা কি ঠিক?

আপনি যদি মনে করেন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সাথে থাকবেন, প্লিজ এগিয়ে আসুন।

আমাদের কর্মসুচীতে সাথে থাকতে এই ইভেন্ট পেইজে সাবস্ক্রাইব করুন , আর সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।

২৭ তারিখ, শুক্রবার বিকাল ৪টায় আমরা একত্রিত হচ্ছি বানিজ্য মেলায়। সাথে থাকবে প্ল্যাকার্ড আর লিফলেট। প্ল্যাকার্ড আর লিফলেটের মাধ্যমে আমরা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিব আমাদের কথা - আসুন আমরা ভারতীয় আর সকল বিদেশী পন্য বর্জন করে নিজেদের দেশের পন্য কিনি।

৩ তারিখ, শুক্রবার আমরা আবার একত্রিত হচ্ছি প্রেসক্লাবের সামনে, আরও বিশাল আঙ্গিকে মানববন্ধন করব। সেই একই মেসেজঃ আসুন আমাদের স্বদেশী পন্য ব্যাবহার করি সবাই।

ভারতীয়/বিদেশী পন্য বর্জন শুধু আপনার শপিং লিস্ট না, এটি একটা সচেতনতা। এটা এমন সচেতনতা যেটা আপনারে প্রতিনিয়তই মনে করিয়ে দিবে বাংলাদেশকে ভালবেসে আপনি কতভাবে দেশের জন্য অবদান রাখছেন। আজ থেকে আমরা সবাই আমাদের যতদুর সামর্থ থাকে নিজের দেশের পন্য কিনব, ব্যাবহার করব আর আমাদের পরিচিত সবাইকে উতসাহিত করব। তো আপনি কি আসছেন আমাদের সাথে ২৭ তারিখ আর ৩ তারিখ?

আমরা কোন তলাবিহীন ঝুড়ি না, অন্য কোন দেশের মুখাপেক্ষী হয়েও আমরা থাকতে চাই না। নিজ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর এর মাধ্যমে আমরা ভারতকেও দেখাতে চাই, আয়তনে বড় হলেই বাংলাদেশের উপর যা ইচ্ছা করা যাবে না।

ভারতীয় পন্য বর্জন নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারেন, এই ব্লগটা দেখে আসেন , আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

বিএসএফের এই আগ্রাসী মনোভাব যে আজকের না, সেটা দেখতে হলে এই লেখাটাও পড়তে পারেন

ভাবছেন চারপাশে সবই তো ভারতীয় পন্য, এগুলা ছেড়ে দিলে কিভাবে বাচবেন? এই লিস্টটা দেখেন তো , অনেক কিছুই আছে আমাদের বাহুল্য পন্য যেগুলা খুব সহজেই আপনি ছাড়তে পারবেন, আর এগুলার খুব ভাল মানের বাংলাদেশী বিকল্পও আছে।

আমরা বিশ্বাস করি আমরা সবাই একত্র আর সচেতন হলে আমাদের দেশও একদিন স্বাবলম্বী হবে। একাত্তুরে যারা শহীদ হয়েছেন বা প্রান বাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন, তাদের স্বপ্ন তো আমাদেরকেই বাস্তবায়ন করতে হবে, তাই না? তাই আজ শুধু সব আমদানীকৃত ভারতীয় পন্য না, একাত্তুরের চেতনায় সাথে পাকিস্তানী পন্যও বর্জন করব।

মনে রাখবেন,
* আপনার বন্ধু, বান্ধবী, সহকর্মীসহ যত বেশি সংখ্যক লোক সঙ্গে আনবেন তত ভালো।
* আপনি ইচ্ছা করলে নিজ দায়িত্বে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড বানিয়ে আনতে পারবেন। এবং তা করতে পারলে খুব ভাল হবে।
* এটি কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। বিষয়টি পুরোটাই দেশের স্বার্থে। তাই যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।
* এই মানব বন্ধনে কোন ধরনের খাবার, নাস্তা, বা যাতায়াত ভাড়া সরবরাহ করা হবে না। আপনি দেশকে ভালবেসে নিজ দায়িত্বে সচেতনভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
* ফেইসবুকে অন্য বাংলাদেশীদেরকে ইনভাইট করুন এই Event-এ Join করার জন্য।
* এই Event টি Share করুন।
* ফেইসবুকে যাদের page আছে, তারা অনুগ্রহপূর্বক এই Event টি Promote করুন।

[এইখানে কোন দালালীকে আশ্রয় দেয়া হবে না। ভারতের দালাল এবং পাকিস্তানের দালালদের কে ১০০ হাত দূরে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এইটা শুধু বাংলাদেশীদের জন্য, বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য।]

***ইন্ডিয়ার দালালরা ইন্ডিয়ায় যাও, পাকিস্তানের দালালরা পাকিস্তানে যাও। আমাদের বাংলাদেশীদের শান্তিতে থাকতে দাও***

আমাদের ইভেন্টে যোগ দিন এখানে

আমাদের সাথে আসতে জয়েন করুন নিচের ফেসবুক গ্রুপে

আবারো সবাইকে মনে করিয়ে দেই,

১। এই কর্মসুচী কোনভাবেই কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য প্রনোদিত হবে না।

২। এটি পুরোপুরি শান্তিপুর্ন কর্মসুচী, সরকার আর দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে এমন কোন কিছুই আমরা করব না, সাপোর্টও করব না।

৩। কোন প্রকার ভারতীয় দালাল বা পাকি রাজাকার/দালাল এই কর্মসুচীতে থাকবে না। এখনও এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের নিজ দায়িত্বে এই গ্রুপ থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করছি।

৪। আমাদের মুল লক্ষ্য হল আমরা আমাদের বাংলাদেশকে অন্য কোন দেশের টেস্টিং ফিল্ড হিসেবে দেখতে চাই না, তাই সচেতনতার সাথে মানুষকে দেশীয় পন্য ক্রয় আর ব্যাবহারে উতসাহিত করব।

৫। একই সাথে সীমান্তে ভারতে বর্বর আচরন, পানিচুক্তির খেলাপ আর অনৈতিক বানিজ্যিক আর মিডিয়া অবরোধের জন্য সকল প্রকার আমদানীকৃত ভারতীয় পন্য ব্যাবহার থেকে বিরত থাকব। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল প্রকার আমদানীকৃত পাকিস্তানী পন্যও ব্যাবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকব।
৬। মানববন্ধন বা লিফলেট বিতরন - যে কর্মসুচীই নেয়া হোক সামনে, আমাদের মুল লক্ষ্য সাধারন মানুষের কাছে পৌছে তাদেরকে সচেতন করা, আক্রমনাত্মক মনোভাব প্রকাশ করা না।



সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৭
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×