somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৫ – ইংল্যান্ড

২৫ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৪ – ইতালী

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৩ – ক্রোয়েশিয়া

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ২ – নেদারল্যান্ডস

ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ১ - জার্মানী

ইতালীর পরের লেখাটা স্পেনকে নিয়ে দিব বলে অপেক্ষা করছিলাম, এর মধ্যেই ইংল্যান্ড নিয়ে লেখাটা হয়ে গেল। স্পেনের ২৩ জনের ফাইনাল দল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একদিন, আজকের কোপা ডেল রে ফাইনালের পর মুল লিস্ট আসবে।

পার্সোনালী ইংল্যান্ড সবসময়ই আমার অপ্রিয় দলগুলোর মধ্যে থাকে বলে এই লেখাটা খুব একটা যে ভাল হবে আশা করছি না। তবে এখানে অনেক ইংল্যান্ড বা ইপিএল ফ্যান পাওয়া যাবে নিঃসন্দেহে, আশা করব আমার ভুল ভ্রান্তি গুলো সংশোধন করে দিবেন।

যাক, ইউরোতে চলে যাই সরাসরি। নিচে ইংল্যান্ডের এবারের অফিসিয়াল জার্সি।



ইংল্যান্ডের দল নির্বাচন নিয়ে এবার যত বিতর্ক হয়েছে, অন্য কোন দল নিয়ে এর অর্ধেকও হয়েছে বলে মনে হয় না। এর শুরু আসলে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর পদত্যাগ থেকে, যখন সব দেশের জাতীয় দলের কোচ ইউরোর মানসিক প্রিপারেশন শুরু করে তখন ইংল্যান্ডের কোচের পদত্যাগ! এরপর বেশ কিছুদিন কোচ ছাড়াই ছিল, একবার শোনা গেল হ্যারি রেডন্যাপ হবেন পরবর্তী কোচ, এই নিউজ আসার পর লীগে টোটেনহ্যামের উপর যেন ভুত ভর করল। হ্যারী রেডন্যাপ কোচ হন নাই, ইংল্যান্ডের হাতে বেস্ট অপশন থাকার পরেও কেন হন নাই জানি না, তবে মাঝে ওনার ট্যাক্স নিয়ে কি একটা ক্যাচাল লাগছিল – আমার ধারনা সেটার এফেক্ট হলেও হতে পারে।

বর্তমান কোচ হজসন নিয়ে আমার আইডিয়া কম, তবে ধারনা তার প্রেফার্ড ফর্মেশন হবে ট্র্যাডিশনাল ইংলিশ ৪-৪-২, অথবা রিস্ক ফ্রি ৪-২-৩-১ কিংবা চাপে পড়লে ৪-৪-৩। শুরু মনেহয় ৪-৫-১ দিয়েই হবে, নিচে সেভাবেই মুল একাদশ সাজাবো।

গোলকীপিং



এখানে প্রথম পছন্দ নিঃসন্দেহে ম্যান সিটির জো হার্ট। লীগে আর ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে যে পারফর্মেন্স, ইংল্যান্ডের পরবর্তী গোলকীপিং লিজেন্ড হওয়ার ভাল সম্ভাবনা আছে। ভবিষ্যতে কি হবে সেটা দেখা যাবে, তবে এই পজিশনে জো জার্ট খেললে ইংল্যান্ডের দুঃশ্চিন্তার কিছু নাই। ২৩ জনের দলে বাকি দুইজন কীপার হল ওয়েস্টহ্যামের রবার্ট গ্রীন আর নরউইচের জন রুডি। রবার্ট গ্রীন এর আগেও বেশ কিছু ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলছে, তবে গ্রীন শুনলে তার বিখ্যাত/কুখ্যাত সব গোল খাওয়ার দৃশ্যই আমার মনে পড়ে!

সেন্ট্রাল ডিফেন্স



ইংলিশ ব্যাকলাইন হবে সাবেক ক্যাপ্টেন জন টেরি থেকে। লীগের শেষ পর্যায়ে এসে টেরী ক্লাস দেখা গেলেও হাস্যকর কিছু ভুল করতেও দেখা গেছে। স্পেশালী লিভারপুলের সাথে ম্যাচে সুয়ারেজ পুরো ম্যাচ যেভাবে টেরীকে পাড়ার ডিফেন্ডার বানায়ে রাখছিল – সেরকম পারফর্মেন্স ইউরোতে হবে না এটাই প্রার্থনা করতে হবে ইংলিশ ফ্যানদের। রেসিজমের একটা কেইসও চলছে মনেহয় টেরীর উপরে, যেটার এফেক্ট ইংল্যান্ডের দল নির্বাচনেও পড়েছে।

জন টেরীর সাথে পার্টনারশীপ কে করবে? ম্যানচেস্টার সিটির লেসকট। এমনিতে লেসকট নিজে একজন দুর্দান্ত সেন্ট্রাল ব্যাক, ইউরোতে পারফর্মেন্স নির্ভর করছে টেরীর সাথে পার্টনারশীপের উপর। ফার্স্ট-টাইম চ্যালেঞ্জ করার কাজ মনেহয় লেসকটের উপরেই থাকবে। কোন কারনে লেসকট না খেলতে পারলে আরেকজন ক্লোজ প্রতিদ্বন্দী আছে – চেলসির গ্যারি ক্যাহিল। লীগে টেরী আর ক্যাহিল একসাথে একদলে খেলে বলে সম্ভাবনা আছে ইউরোতেও লেসকটকে সরিয়ে স্টার্টিং ইলেভেনে থাকার – দেখা যাক কে শুরু করে।

এই তিনজনের পরেও ব্যাকআপ থাকবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফিল জোনস, প্রয়োজনে রাইট ব্যাক হিসেবেও কাভার দিতে পারে সে।

রাইট উইং ব্যাক



এখানে স্টার্ট করবে খুব সম্ভবত লিভারপুলের গ্লেন জনসন, না হলে ফিল জোনস তো আছেই। জনসনের খেলা নিয়মিত দেখা হয় না, তবে যতদুর জানি এভারেজ পারফর্ম করেছে এই লীগে। ডিফেন্সিভলী ইংল্যান্ডের প্রয়োজন মেটাতে পারবে, অফেন্সিভলী বা ওভারল্যাপ করে কতখানি কি করতে পারবে সেটা ইউরোতেই দেখা যাবে।

লেফট উইং ব্যাক



অ্যাশলী কোল, বিশ্বেরই সেরা লেফট ব্যাকদের মধ্যে যার নাম আছে উপরের দিকে। মিডফিল্ড থেকে সাপোর্ট পেলে ডিফেন্সিভলী ক্লাস প্লেয়ার, আবার ওভারল্যাপ করে গিয়েও ক্রসিং বা পাসিং বেশ ভাল। আমার কাছে সবচেয়ে বড় কথা – ধারাবাহিকতা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগও জিতল কয়দিন আগে, চেলসির মুল একাদশের অনেক ইম্পোর্টেন্ট প্লেয়ার। ব্যাকআপ হিসেবে আছে এভার্টনের লেইটন বাইনস, এও ব্যাপক প্লেয়ার। এই পজিশনে মনেহয় না ইংল্যান্ডের দুঃশ্চিন্তা করার কোন কারন আছে।

সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার



ডিফেন্স লাইনকে কাভার দেয়া আর নিচ থেকে আক্রমন বানানোর জন্য একটা মিডফিল্ডার জরুরী, আর সেই জন্যেই ম্যান সিটির গ্যারেথ ব্যারির চেয়ে ভাল কেউ ইংল্যান্ড দলে নাই। সক্ষমতায় জাভি বা পিরলোর সমান বলছি না, তবে কাউন্টার অ্যাটাক ঠেকানোর জন্য বা জেরার্ড-ল্যাম্পার্ডকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ব্যারী যথেস্ট। না হলে স্পার্সের স্কট পার্কার আছেই – টাফ ট্যাকলিং মিডফিল্ডার আর পাসিং রেঞ্জও ভাল। এই লীগেও বলা যায় নিয়মিতই ছিল মাঠে।



৪-৫-১ বা ৪-৪-২ ফর্মেশনে একজন মিডফিল্ড জেনারেল লাগে – ফুল অফ রানিং, ক্রিয়েটিভ হাব আর নিচ থেকে আক্রমন গড়ে তোলার সামর্থ আছে এরকম। এই পজিশনে একজনের নামই আসে সামনে – লিভারপুলের স্টিভেন জেরার্ড। লীগে যদিও লিভারপুলের দুর্দান্ত বাজে অবস্থা, তবে জেরার্ড এমন একজন যার উপর সবসমই ভরসা রাখা যায়। জেরার্ড না থাকলে প্রয়োজনে ল্যাম্পার্ডও নিচে এসে খেলতে পারে, বা স্কট পার্কারও কাভার দিতে পারবে।

সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার



এই পজিশনের জন্য চেলসির ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, আরেকজন দুর্দান্ত প্লেমেকার যাকে নিয়েও বলার কিছু নাই। তবে জেরার্ড আর ল্যাম্পার্ড দলে থাকলেই যে ইংল্যান্ড খুব ভাল খেলবে তা না, ইংল্যান্ডের মুল দলে জেরার্ড আর ল্যাম্পার্ড কখনই একসাথে ভাল খেলতে পারে নাই। যেকারনে মনে হয় ৪-৫-১ ফর্মেশনটাই ভাল হবে যদি এই দুইজনকে একসাথে খেলাতে হয়, জেরার্ড নিচে আর ল্যাম্পার্ড স্ট্রাইকারের ঠিক নিচে সাপোর্ট হিসেবে। নিয়মিত গোল করতে পারে বলে সাপোর্ট স্ট্রাইকার রোলটাই মনেহয় ভাল হবে ল্যাম্পার্ডের জন্য।

ল্যাম্পার্ডের একজন ভাল ব্যাকআপ দিতে পারবে ম্যান সিটির জেমস মিলনার। মিলনারের রোল ইংল্যান্ডের এই দলে বেশ গুরুত্বপুর্ন কারন শুধু সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে না, প্রয়োজনে নিচে নেমে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার বা উইঙ্গার হিসেবেও খেলতে পারবে। বলা যায় দলের সুপার সাব।

রাইট আর লেফট উইঙ্গার



রাইট উইং এ আর্সেনালের থিও ওয়ালকট আর লেফট উইং এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অ্যাশলে ইয়াং – এই দুজনেই আমার প্রথম পছন্দ। দুইজনেই ফাস্ট, তবে ফাইনাল পাস বা ক্রসিং এর জন্য ওয়ালকটের চেয়ে অ্যাশলে ইয়াং এগিয়ে থাকবে অনেক। দুর্দান্ত গোলও করতে পারে ইয়াং। ওয়ালকটকে নিয়ে আমি সেরকম আশাবাদী না অবশ্য, দুর্দান্ত পেস দিয়ে অপোনেন্টের ডিফেন্স লাইন ভেঙ্গে ঢুকতে পারলেও নিজে গোল করা না গোল বানিয়ে দেয়া – বড় ম্যাচে কতখানি সামর্থ আছে দেখা যাক।

এই দুইজনের ব্যাকআপ হিসেবে বেঞ্চের অবস্থাও খুব একটা ভাল না। স্টুয়ার্ট ডাউনিং? এই লীগে ভগ্নদশার লিভারপুলে নিয়মিত খেলে কোন গোল নাই, কোন অ্যাসিস্টও নাই। এখানে মজার একটা ইনফো দেই, এই স্টুয়ার্ট ডাউনিংকে দলে নেয়ার জন্যে ইংল্যান্ডের দল ঘোষনার সাথে সাথে অনেকেই হজসনের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গিয়েছিল। টিম ট্রেনিং এ কেমন করছে জানার উপায় নাই, তবে এই বছর যেমন দেখা গেছে, ডাউনিং এর মুল একাদশে থাকা বা থাকলেও অতিমানবীয় কিছু করে ফেলা – সেরকম আশা না রাখাই উচিত হবে সবার।

ডাউনিং এর সিলেকশন নেগেটেইভ হলেও পজিটিভ হবে আর্সেনালের অক্স-চ্যাম্বারলেইনের দলে থাকা। বয়স মাত্র ১৮, তবে ক্লাবের হবে অল্প কিছু ম্যাচ খেললেও একে নিয়ে ইংল্যান্ড ভবিষ্যতের জন্য আশা রাখতেই পারে (যদিও এরকম কথা এর আগে ওয়ালকট আর লেননকে নিয়েও বলা হয়েছিল)। পাওয়ারফুল আর স্পিডি প্লে এর জন্য এর নিক নেইম কিন্তু অক্স (বাংলায় ষাড়), বুঝে নেন!

হজসন নিয়ে একটা ফান করি। অক্স-চ্যাম্বারলেইনকে দলে নেয়ার পর হজসন এভাবেই ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে চ্যাম্পিয়নস লীগে এসি মিলানের অ্যামব্রোসিনি আর পিরলোর বিরুদ্ধে তার খেলা দেখেই নাকি উনি ইমপ্রেসড হয়েছিলেন। ব্যাপার হল, সে ম্যাচে অ্যামব্রো খেলেই নাই, আর পিরলো গত সিজনেই এসি মিলান ছেড়ে চলে গিয়েছে!

স্ট্রাইকার



প্রথম নাম (একজন মাত্র স্ট্রাইকার খেললেও) হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওয়েইন রুনি। ইন্টারন্যাশনালী ২৮ গোল, আর এই সিজনে মোট ৪৬ ম্যাচে ৩৮ গোল – ইংল্যান্ডের সেরা স্ট্রাইকার সন্দেহই নাই কোন। তবে এর মধ্যেও প্রবলেম আছে, সাসপেন্সনের প্যাচে পড়ে গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারবে না রুনি। এটা বড় একটা প্রবলেন ইংল্যান্ডের জন্য, কারন প্রথম দুই ম্যাচই আসলে একটা টিম সুযোগ পায় পারফেক্ট কম্বিনেশন দাড়া করানোর জন্য। কোন কারনে ইংল্যান্ড যদি গ্রুপেই প্যাচে পড়ে, তাহলে শেষ ম্যাচে রুনি ব্যাক করলেও কতখানি কি করতে পারবে, সন্দেহ থাকবেই।

রুনির জায়গায় প্রথম দুই ম্যাচে কে ফ্রন্ট লাইন লিড দিবে বলা কঠিন। স্পার্সের জার্মেইন ডিফো যেরকম গোল মিস করে (আমার মতে, খুবই এভারেজ একজজ স্ট্রাইকার) আর লিভারপুলের অ্যান্ডি ক্যারোলের সিজনের শেষের দিকের দুর্দান্ত ফর্ম – আমার ভোট ক্যারোলের দিকে। অ্যান্ডি ক্যারোলের বড় একটা অ্যাডভান্টেজ হল এর হাইট, সেটপিসে আর দুই উইং থেকে আসা ক্রস কাজে লাগানোর জন্য আদর্শ।

দুই স্ট্রাইকার খেলালে রুনির সাথে অবশ্য আমি প্রেফার করব ড্যানি ওয়েলব্যাক, কারন রুনির সাথে একই ক্লাবে খেলে তাই। স্ট্রাইক পার্টনারদের একে অন্যের সাথে টেলিপ্যাথিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা অনেক দরকার।

যাদেরকে মিস করব

প্রথম নাম রিও ফার্দিনান্দ – সেন্ট্রাল ডিফেন্সে জন টেরীর সাথে এরই থাকার কথা আর থাকলে বেস্ট একটা ডিফেন্স লাইন হত ইংল্যান্ডের। ইনজুরী নাই, লীগ ফর্মও ভাল, ইন্টারন্যাশনালী অভিজ্ঞ, কিন্তু নাই কেন? কোচ হজসন অনেক আগড়ম বাগড়ম ব্যাখ্যা দেয়ার চেস্টা করলেও না থাকার মুল কারন আমার মনে জন টেরী। রিওর ছোট ভাই আছে আন্টন ফার্দিনান্দ যার সাথে জন টেরীকে নিয়ে রেসিজমের কেইস আছে একটা (যেটা এখনো চলছে), আর তাই টেরী আর রিও ফার্দিনান্দ একসাথে দলে থাকলে কিছু একটা গন্ডগোল হতে পারে ধরে নিতেই মনেহয় এই সিদ্ধান্ত। রিও ফার্দিনান্দ যথেস্টই প্রফেশনাল, তাই হজসনের এই ভয় পাওয়াটা একেবারেই অমুলক।

রিও ফার্দিনান্দকে ছাড়াও ইংল্যান্ডের এই দল নিয়ে বিতর্ক কম নাই একেবারে। উইঙ্গারে ডাউনিং আর ওয়ালকটের চেয়ে অ্যারন লেলন ভাল একটা অপশন হত তার ক্রিয়েটিভির জন্য। স্ট্যান্ড বাই লিস্টে অ্যাডাম জনসনের নাম আছে অবশ্য, কিন্তু সেটাও তো ‘স্ট্যান্ড বাই’।

স্ট্রাইকিং এ সেরকম সারপ্রাইজ বাদ নাই, ডিফো বা ওয়েলব্যাকের বদলে ড্যারেন বেন্ট বা ববি জামোরার নাম থাকতে পারত, তবে খুব যে এফেক্টিভ আউটপুট আসত মনে হয় না।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্যারিক নাই কেন জানি না। পল স্কোলস ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ব্যাক করবে অনেকেই আশা করেছিল। মিডফিল্ডে জ্যাক উইলশ্যায়ার একটা ভাল ব্যাকআপ হতে পারত, কিন্তু ইনজুরীতে কারও কিছু করার নাই। তেমনি রাইট ব্যাকে কাইল ওয়াকার হয়ত ইংল্যান্ডের স্টার্টিং ইলেভেনেই থাকত, কিন্তু এরও ইনজুরী প্রবলেম। নামের বিচারে মিকা রিচার্ডসের ২৩ জনের দলে থাকা উচিত ছিল হয়ত ফিল জোনসের জায়গায়, তবে লীগ ফর্ম দেখলে হজসনের এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই থাকব আমি।

কোচ আর ফর্মেশন

প্রথমেই বলেছিলাম, ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসনকে নিয়ে আমার আইডিয়া অনেক কম যে কারনে তার প্রেফার্ড ফর্মেশন অনুমান করাও কঠিন। কোচিং ক্যারিয়ারে খুব একটা সফল না, প্লাস এবার ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার পর থেকেই সমালোচনা – সব মিলিয়ে ধরে নেয়া যায় হজসনের ইংল্যান্ড একাদশ হবে রিস্ক ফ্রি ৪-২-৩-১। নিচের মত



প্রয়োজনের ম্যাচের মধ্যে ৪-৪-২ তে শিফট করার সক্ষমতা আছে, তবে সেই ক্ষেত্রে জেরার্ড আর ল্যাম্পার্ডের যে কাউকে নেমে যেতে হবে। কোচিং টিমে সাপোর্ট মেম্বার হিসেবে গ্যারী নেভিল থাকতেছে এটা একটা পজিটিভ দিক এই দলের।

ইউরো ২০১২ প্রেডিকশন

অতিমানবীয় কিছু না করে ফেললে ইংল্যান্ডের দৌড় গ্রুপ পর্ব পার হওয়া পর্যন্তই। একটাই গুড লাক যে ডি গ্রুপ সোজা আছে। বড় ফাইট হবে ফ্রান্সের সাথে, সে ফ্রান্সের অবস্থাও খুব একটা ভাল না। আর আছে স্বাগতিক ইউক্রেইন, এদের দিয়েও লাভ হবে না। ফ্রান্স ছাড়া ভাল ফাইট হবে সুইডেনের সাথে, ইব্রা আছে, টিমটাও ভাল – কিন্তু ইন্টারন্যাশনালী ফ্লপ ওরা বরাবরই।

গ্রুপ পর্ব পার করলে সামনে পড়বে সি গ্রুপের স্পেন/ইতালী/ক্রোয়েশিয়া। যেই পড়ুক, ইংল্যান্ডকে এখানে আশাতীত ভাল খেলতে হবে জেতার জন্য, এমনকি ক্রোয়েশিয়াও ইংল্যান্ডকে সামনে পেলে তাদের সেরা খেলা খেলে।

আমার প্রেডিকশন তাই কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তই। আর ম্যাজিকাল কিছু হলে সেমিফাইনাল। ইংলিশ মিডিয়ার কাছে ইংল্যান্ড সবসমই চ্যাম্পিয়ন দল, শুধু এবারই না।

দেখাই যাক কি হয়।

১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×