somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃ অসূয়া

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার স্ত্রী দেখতে মাঝারী, শুনতে আহামরি, মেজাজে রাশভারী, ব্যবহারে পায়াভারী এবং চলনে বলনে মরিমরি ভাবের ব্যক্তিত্ব। উনি যেখানে উপস্থিত থাকেন সেখানে সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে পছন্দ করেন। সেটা পারেনতো ভালই আর নাপারলে সে স্থানে অবস্থানটা তার বিষতুল্য বোধ হয় বলে তার ভাবভঙ্গিতে আমার মনে হয়। তার সাথে আমার ছয়বছরের দাম্পত্যজীবনে ষাটেরও বেশিবার ঝগড়া হয়েছে কিন্তু কোনদিনই তাকে অনুতপ্ত হতে দেখিনি বা সরি বলতে শুনিনি। অবশ্য আমিও আগবাড়িয়ে তাকে সরি-টরি বলতে যাইনা, কেন যাব ? আমি কি স্বামী হিসেবে মর্যাদায় স্ত্রীর চেয়ে শ্রেষ্ট নই ? স্ত্রীর উপর স্বামীর প্রভুত্বের অধিকার সব ধর্মই কি স্বীকার করেনি ?
আমার স্ত্রীর নামকরণটা কে করেছিলেন জানিনা কিন্তু তার সানজীদা নামটা তার মেজাজের সাথে বেশ মানানসই বলেই বোধ হয়। নামটার অর্থ আমি জানিনা কিন্তু সানজিদার জন্য উপযুক্ত একটা অর্থ আমি নিজেই তৈরি করেছি। সান অর্থাৎ সূর্য এবং জিদ থেকে জিদা, অর্থাৎ সূর্যের যে জিদ সেটাই সানজিদা। অনেকে অবশ্য তাকে স্নেহ করে সানজু বলে ডাকে কিন্তু আমি চিরকাল তাকে তার পুরো নাম ধরেই ডেকেছি।
সানজিদাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে অর্থাৎ বিয়ে করে আমি কৃতার্থ করে দিয়েছি বলে ধারণা আমি অন্তরে পোষণ করতাম বহুদিন । তার গুঢ় কারণ সানজিদার রঙটা কালো--ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ হয়ত নয়, তবুতো কালো। নাক-চোখের গঠন যতই ধারাল হোক, স্ফুরিত অধর, গজদন্ত, দু’গালে টোল, ঝর্ণাধারার মত কেশরাশি যতই তাকে শোভিত করার চেষ্টা করুক না কেন কালো রঙের নারীকে কেইবা সুন্দরী বলে ? এ দেশটা তো আর ঘানা কিংবা ইথিওপিয়া নয় যে কয়লার বস্তাগুলো মিস ইউনিভার্স কম্পিটিশনে নাম লেখাবে । দশ বছরের ইংরেজি শাসন আমাদেরকে আর কিছু না দিক একটা পায়াভারী প্রশাসনিক কাঠামো ও বর্ণবাদী মানসিকতাতো উপহার দিতে পেরেছে।
সানজিদাকে আমি কোনদিনই সুন্দরী মনে করিনি। তার হাসি কথার মাঝেও আকর্ষণীয় কিছু খোঁজার চেষ্টা আমি করিনি, তবু আমাদের দিন চলে যাচ্ছিল। আসলে বৌ সুন্দরী কি অসুন্দরী সেটা নিয়ে বিয়ের পরে কোন পুরুষইবা মাতামাতি করে। ওসব ভাবনা বিয়ের আগেই যা মাথাব্যাথার সৃষ্টি করে। বিয়ের পরে ঘেঁচি-পাঁচি সবার স্বামীই সাধ্যমত বৌয়ের মন যুগিয়ে চলার চেষ্টা করে। আমিও তাই করতাম। সানজিদার রূপ দেখে তাকে বিয়ে করা হয়নি কিন্তু গুণটা যাচাই করে দেখা হয়েছিল। গুণ বলতে তার নিষ্কন্ঠক পৈত্রিক সম্পত্তি এবং তার নিজের একখানা চাকরি। এছাড়া সেলাই-ফোড়াই থেকে শুরু করে রান্না-বান্না, ঘরগোছানো প্রভৃতি গুণপনাও আমার আত্মীয়েরা খুটিয়ে দেখেছিল ও জেনেছিল কিন্তু সেসব আমার বিবেচ্য ছিলনা। আমার একটা চোখ ছিল মীরপুরে সানজিদার বাপের পাঁচতলা দালানে এবং অন্যচোখটা ছিল সানজিদার প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরিটার পানে। ঘাটাইলে সানজিদাদের দেশের বাড়িতেও নাকি বেশ জমিজমা ছিল কিন্তু সেসবে আমার তত মন ছিলনা। আমি কেবল তাদের মীরপুরের মোটামুটি সুদৃশ্য বাড়িটা দেখতাম এবং এটাকে ছয়তলা নাকরে উপরের অংশ আধাখেঁচরা করে ফেলে রাখা হয়েছে বলে এবং এমন বাড়িটা বারিধারা কিংবা উত্তরায় না করে মীরপুর সাত নম্বরে করায় শ্বশুরবুড়োর দুর্বুদ্ধিকে মনে মনে খুব গাল পাড়তাম।
সানজিদা নাকি নাচ-গান-আবৃত্তি এমনকি খানিকটা অভিনয়ও জানত। কিন্তু আমি তার ওসব গুনের কোন নমুনা দেখার আগ্রহ কোনদিনই বোধ করিনি। তবে ঝগড়ার পর কোনদিন যদি সে আমাকে একটু বেশি আদর-খাতিরের চেষ্টা করত তাহলে সেটা আমাকে আর অভিনয় প্রতিভা বিদ্যমানতার কথা স্মরণ করিয়ে দিত। অন্য লোকে যখন আমার স্ত্রীর এসব গুনের প্রশংসা করত তখন আমার মনে হত যে তারা কোন গূঢ় কারণে এসব বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলছে এবং সেই কারণটা আমি ঠিকঠাক ধরতে না পেরে মনে মনে শঙ্কিত হয়ে উঠতাম । যেমন- সানজিদাদের একটা সরকারি প্রোগ্রামে বাঁধা ধরা বক্তৃতার এক পর্যায়ে যখন সানজিদা একখানা কবিতাংশ আবৃত্তি করল তখন সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহনকারী আমার বস ফিরে এসে যখন আমার পিঠ চাপড়ে আামাকে ‘লাকি ডগ’ সম্বোধন করে সানজিদার আবৃত্তির প্রশংসা করে বললেন, ‘একজন সুযোগ্য স্ত্রী রত্ন তুমি পেয়েছ হে’ তখন সেটা আমার কানে খানিকটা বাড়ি বাড়ি কথন হিসেবে ঠেকল।

শুধু আমার বস নয়, পথে ঘাটে অনেকের কাছেই আমি তার প্রশংসা শুনতাম এবং অনেকেই তার প্রতি করা প্রশংসাবাক্য দ্বারা আমাকে ভিজিয়ে স্বার্থ হাসিলের ফিকিরে থাকত। কী স্বার্থ? ওহ্ হো, আমার পরিচয়টাইতো দেয়া হয়নি। আমি একটা বেসরকারি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা। মফস্বলে শহরের একটা শাখায় ক্রেডিট ইনচার্জ হিসেবে আমার অবস্থান এবং এ শহরের সব উদীয়মান এন্টারপ্রেনারই আমার স্ত্রীকে তার অফিসিয়াল সুত্রে চেনে এবং আমার স্ত্রী বলে জানে। কাজেই ঋন নিতে এসে আমার স্ত্রীর প্রশংসা করাটা তাদের মজ্জাগত চালাকী এবং এটাতেই আমার সবচে বেশি বিরক্তি। এই লোকগুলো এমন গর্দভ ও দিনকানা যে এরা তিলকে তাল বলে ঠাহর করে। এরা ব্যবসা দাঁড় করাবে কী করে। কাজেই আমি এদের সবকটাকে ঋণপ্রদানের পক্ষে অনুপযুক্ত বলে বিবেচনা করি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোরাল আদেশ না থাকলে এই চিনেজোঁকগুলোকে ঝেড়ে ফেলারই চেষ্টা করি। এতে করে আমার ঋণপ্রদানের টার্গেট পুরণে একটু অসুবিধা হয় বটে কিন্তু আমি তো আর জেনে বুঝে ব্যাংকের টাকাগুলোকে অপাত্রে ঢালতে পারিনা।
আমি বুঝিনা যে লোকেরা কেন সানজিদাকে অত বড় কিছু ভাবে। এমন নয়যে সে ডিসি, এসপি বা এই জাতীয় কোন প্রশাসনিক কেষ্টবিষ্টু। নিতান্ত মামুলি একটা সরকারি অফিসের প্রধান। অমন কত অফিস আর কত প্রধানইতো অলিতে গলিতে ঘুরছে। লোকেরা তার মাঝে কী দেখতে পায় যে সেই সবার মাঝ থেকে সানজিদাকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। শুনতে পেলাম ডিসির কাছে সানজিদার গ্রহনযোগ্যতা নাকি একটিভ অফিসার হিসেবে ব্যাপক। প্রায়ই তাকে ম্যাজিস্ট্রেসী পাওয়ার দিয়ে এখানে ওখানে পাঠান হচ্ছে। আমি প্রমাদ গুনলাম। অবশেষে আমার বৌ ম্যাজিস্ট্রেসী পাওয়ারও এনজয় করতে শুরু করল! তা করুক। চাকরি করছে যখন....... আমি তার এসব কী করে ঠেকাই। মাসে মাসে সংসারে যে দশহাজার টাকা সানজিদা ঢালে তার সুগন্ধ অনুভব করে আমাকে মুখ বন্ধই রাখতে হয়।

কিন্তু আমার পক্ষে মুখ বন্ধ রাখা সত্যিই অসম্ভব হল যখন আমার কানে এল যে জনৈক জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের পাশে বসে সরকারি গাড়ী করে সানজিদা শহর পর্যটন ছাড়াও শহরতলি এমনকি গ্রামের পথে-মাঠে-ঘাটে ঢুঁ মারতে শুরু করেছে। এমনকি মাঝে মাঝে সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে তাদেরকে রিক্সযোগে হাওয়া খেতেও দেখা গেছে বলে দু’একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র মারফত জানা গেল। আমার মাথার ভেতর ক্রোধাগ্নি দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করল। কী আছে এই স্ত্রী লোকটার মধ্যে যার জন্য তার সঙ্গে সদ্য পরিচিত একজন তার গুনে মুগ্ধ হয়, দীর্ঘ পরিচয়ের সুত্রে তার বন্ধু হয়, আর এখনতো রীতিমত কৃষ্ণলীলা শুরু হল। ওরা কী জানে যে একবেলা দাঁত ব্রাশ না করলে এই কৃষ্ণরূপসীর মুখে কী ভয়ানক দুর্গন্ধ হয় কিংবা একদিন বডিস্প্রে ব্যবহার না করলে তার গায়ে কী কটূগন্ধটাই না হয়। সানজিদার যে মুখ হা করে কুৎসিত ভঙ্গিতে ঘুমোবার অভ্যেস তা কি তার এই নবপ্রেমিকপ্রবর জানতে পেরেছে? সবচে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হল ও যে আপাদমস্তক একটা বাঁজা মেয়েমানুষ তাকি তার পাণিপীড়ন(বাস্তব অর্থে) করতে করতে রিক্সায় বসে হাওয়া খেতে থাকা নাগরটি বুঝেছে?
সানজিদাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত করা হয়নি। নানাদিক বিবেচনা করে দেখে আমার মনে হল যে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তাতে সানজিদারই জিত হবে। পুলিশ, প্রশাসন, বিচার-- তিনটাই যার নাগালের মধ্যে তাকে ঘাঁটান মুশকিল। তাছাড়া দেশে নারীর সুরক্ষা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে যেসব বিদ্যমান আইন রয়েছে তা আমাদের মত অসহায় পুরুষদেরকে নুপুংসুক বানাবার পক্ষে যথেষ্ঠ।

রাত জেগে পড়াশুনা করাটা সানজিদার বরাবরকার অভ্যাস। ইদানীং শুরু হয়েছে রাত জেগে লেখালেখি। কী ছাইপাশ সে লেখে তা উঁকি দিয়ে দেখার প্রবৃত্তি যদিও আমার নেই তবু সেই কাল্পনিক অজুহাতে সানজিদা তার বিছানা আলাদা করে নিল। এ নিয়ে আমি অবশ্য কোন আপত্তি করলামনা। কেন করব? এই মেয়েমানুষটার পাশে রাতে ঘুমানোও এক মস্ত বিড়ম্বনা। ঘুমের ঘোরে প্রায়ই আমাকে কোলবালিশ ধরে নিয়ে একখানা উরু আমার পেটের পরে তুলে দেয়। এছাড়া ওনার একটু মৃদুরকম নাসিকাগর্জনের অভ্যাসও রয়েছে। এ নিয়ে একদিন কথা বলতে যেতেই সানজিদা ফোঁস করে বলে উঠল, “কেন তোমার নাক ডাকেনা? আর তুমি যে বিকট কড়মড় শব্দে রাতভর দাঁত কাটতে থাক, তারবেলা ?” আমি তো তাজ্জব। কখন দাঁত কাটি ? কীভাবে কাটি? এনিয়ে ঘোরতর তর্ক অবশেষে বিবাদে রূপ নিতে গেলে সেদিন সানজিদাই আগে চুপ করল । কিন্তু তার পরদিনই আমি বুঝতে পারলাম যে এ নারী কী একটা চিজ! আমার দন্তঘর্ষণের ভিডিওটা সে পরিবারের সবাইকে ডেকে সারপ্রাইজের নাম করে ২৪ইঞ্চি এল.সি.ডি স্ক্রিনে দেখিয়ে দিল। আমার কাজের মেয়েটাকে মুখে আঁচল চেপে ফিচকেহাসি দিয়ে ঘর ছাড়তে দেখে আমার মগজের মধ্যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে গেল। আমি সানজিদার বহুশখের এল.সি.ডি টেলিভিশনটা একটি মাত্র আছাড়ে টুকরো টুকরো করে দিলাম। সেই থেকে প্রতিজ্ঞা করে আছি যে এই মেয়ে লোকটার কোন কথাতেই আমি জড়াবনা এবং পারতপক্ষে কোন কাজেরই প্রতিবাদ করবনা।

এভাবেই চলছিল আমাদের দাম্পত্য নামের জীবন। চলছিল, হয়ত চলতেও পারত। কিন্তু হঠাৎই একদিন সবকিছু বদলে গেল। না সানজিদা আমাকে ছেড়ে অন্য কারো হাত ধরে ভেগে গেলনা। বরং তার চেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাটাই সে ঘটিয়ে বসল। কী একটা বই লিখে রাতারাতি সে এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়ে গেল। বইখানা রাতে রাতে লেখা হলেও রাতারাতি যে লিখিত হয়নি সেতো আমি জানি। কিন্তু কেমন করে যে আমারই ঘরের মধ্যে আমারই গোচরে অমন একখানা কেতাববোমা রচিত হল অথচ আমি সাক্ষীগোপাল তার গুরুত্ব কিছুমাত্র অনুধাবন করতে ব্যর্থ হলাম এ বিষয়টাই আমার পক্ষে শোচনীয় হয়ে দাঁড়াল। দেশের যত খ্যাতনামা আর ভুঁইফোড় পত্রিকার সাংবাদিকের দঙ্গল পঙ্গপালের মত আমার বাড়ির দিকে ধেয়ে আসতে লাগল। এদেশে কাক ও কবির সংখ্যার সঙ্গে সাংবাদিকের সংখ্যাও যে তুলনীয় হতে পারে তা আমি বেশ বুঝতে পারলাম।

কেবল দেশের মধ্যে সবকিছু সীমাবদ্ধ থাকলে হয়ত তা সহনীয় হত কিন্তু দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ বিশেষতঃ মহাসাগরের ওপারে সানজিদার খ্যাতির ঢেউ ছড়িয়ে পড়লে তা আমার পক্ষে সাংঘাতিক হয়ে উঠল। আমি বেশ বুঝতে পারলাম যে আমার প্রমাদ গুনবার কাল এবার বাস্তবিকই শুরু হল।
সাদা চামড়ার সাংবাদিক যখন বিশাল ব্যাকপ্যাক থেকে যন্ত্রপাতী বের করে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করতে শুরু করল তখন সানজিদার গর্বোজ্জল মুখে লাজুকতা ও অস্বস্তিবোধের পাশাপাশি সমুন্নত মর্যাদাবোধ মিলে মিশে এমন এক ভাব ফুটে রইল যা দেখে তাকে আমার পুরোটাই অচেনা মতে হতে লাগল। কেন জানি মনে হতে লাগল যে এ নারী আমার নয়, এ নারীকে আমি চিনিনা, হয়ত এ কোনদিনই আমার ছিলনা। ঈর্ষা ও ক্ষোভে আমার হৃদয়টা এমনই পুড়ছিল যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঐ তামাশা দেখার ধৈর্য্য আমার ছিলনা। সানজিদার অফিসের বস, কলিগ কিংবা লতায় পাতায় সম্পর্কিত কৃতবিদ্য ভাইদের কেউ এলে আমি সাধারনত ঘুমের ভান করে আপদমস্তক কাঁথা মুড়ি দিতাম কিন্তু আজকের এই ব্যাপক আয়োজনকে পশের ঘরে উদযাপনরত রেখে কাঁথা মুড়ি দেয়াটা আমার নিজের কাছেও কেমন বিসদৃশ বোধ হতে লাগল। আমি কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যে হাঁটতে শুরু করলাম। আমার দিকে কেউ ফিরেও তাকাল না।
২০টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×