রমজান শেষ হয়ে আসছে। বাবা কয়দিন আগে যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিল তখন বাবা যাদের সাথে কাজ করে সেই আঙ্কেলদের দেখে ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ছিল, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রমজানের দিনগুলো।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থাকতাম পুরান ঢাকায়। এখনও আছি, তবে অন্য জায়গায়। আগের বাসাটা খুব MISS করি, আঙ্কেলদেরও। সেখানে থাকতে রমজান মানে ছিল উৎসব। আমরা দোতালায় থাকতাম, আর বাবা যে দোকানে চাকুরী করে সেটা একতালায়। দোতালার জানালা দিয়ে রাস্তা দেখা যেত। রমজান মাসে সেই রাস্তায় বসতো নানা রকমারি ইফতার। সবার মধ্যে ব্যস্ততা। ভাজবে না বিক্রি করবে। শেষ মুহূর্তে হইচই। যারা না দেখেছে তাদের সেই উতেজনাটা বলে বুঝানো যাবে না। আমার তো সর্বদা ভয় হতো আজ মনে হয় আর ইফতারি কিনতে পারবো না, সব শেষ হয়ে যাবে যাওয়ার আগেই। একবার দাদা আর আমি যেয়ে সত্যি কিছু পাই নাই কারন আযান পরে গেছিল। সত্যি এত হইচই, রাস্তায় রিক্সা, গাড়ির অত ভিড়, আযান এর সাথে সাথে সব নিশ্চুপ। বাবা মাঝে মাঝে দিল্লির ঝুরিভাজা আনত, তা দিয়ে মুড়ি মেখে খাওয়া। নানা নামকরা ইফতারি, বিরিয়ানি আনত দোকানে। আঙ্কেলরা কক্ষনও আমাদের দুই ভাইবোনকে না দিয়ে কিছু খেতো না। তাদের কাছে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা অতি আপন বলে যাদের, তাদের কাছেও পাই নাই। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, সেটা এখনও আছে, অন্য ইফতারি না পাঠালেও, বিরিয়ানি MISS নাই। সেহেরীর সাইরেন তার সাথে “জাগতে রহো” “সেহেরীর সময় হয়েছে সবাই উঠে পড়ুন” বলে রাস্তা দিয়ে মাদ্রসা থেকে ছাত্র-শিক্ষকরা / মসজিদ থেকে যেত। সত্যি সুন্দর ছিল দিনগুলো।
সেই দিনগুলোর জন্য GOOGLE থেকে নিচের ছবিগুলোঃ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৮