ডারউইন পড়তে গিয়েই প্রথম বির্বতনের কথা আপন করে শুনি
বুঝতে পারি মানুষের দেহে কেন অ্যাপিন্ডিক্স আছে
কেনই বা অ্যাপিন্ডিক্ম নিয়ম মানে না
আবার কেনই বা বিদ্রোহী অ্যাপিন্ডিক্স ছাড়াই মানুষ বাচেঁ।।
সবারই কিছু না কিছু কাজ আছে, থাকে
সবার উপরই কড়া কড়ি আরোপ করা
একই উদ্দেশ্যের সফল বাস্তবায়নে
একজনের চলে না আরেকজন ছাড়া।।
এ হলো সিস্টেম, মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সিস্টেম
শ্রমবিভাগের, সমান গুরুত্বের এক আর্দশ নমুনা
সেখানে কিভাবে অ্যাপিন্ডিক্মের কোন কাজ থাকে না।।
তাই এক বেকার অঙ্গের কথা ভেবে বিস্মিত হই
তবে এক সময় নাকি অ্যাপিন্ডিক্সেরও কাজ ছিল
যেমন এখনও আছে বিভিন্ন তৃণভোজী প্রানীতে
সময়ে অব্যবহৃত থেকে থেকে এখন হারিয়ে ফেলেছে গুরুত্ব
প্রাকৃতিক নির্বাচনে এটাই নাকি বির্বতনীয় মহত্ত্ব।।
মহত্ত্বের নয় এখানেই শেষ
আরো বহু বহু দিন যদি কর্মহীন এভাবে
দিন কাটায় অ্যাপিন্ডিক্স
তাহলে সেও নাকি একদিন নাম লেখাবে বিলুপ্তের খাতে।।
আজকের এই ধূসর সময়ে
পৃথিবীর প্রেমহীন ভালোবাসা-বাসিতে
বারবার অব্যবহৃত থেকে যায় মন
অব্যবহৃত মন মেনে প্রাকৃতিক নির্বাচন
অব্যবহৃত মামলায় জানি কি হয় রায়
বিচারক যখন ডারউইনীয় বির্বতন।।