somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আমার জীবনের লক্ষ্য" বা "my aim in life".

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলায় একটা রচনা প্রায়ই আমরা লিখতাম, "আমার জীবনের লক্ষ্য" বা ইংরেজিতে "my aim in life".

গৎবাঁধাভাবে বেশিরভাগই লিখতাম আমরা চিকিৎসক হতে চাই, প্রকৌশলী হতে চাই বা শিক্ষক হতে চাই ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমাদের বাবা-মায়েরাও চাইতেন এগুলোই লিখি আর এগুলো হই, এই পেশাগুলোর পেছনে ছুটি।

আমি লিখতাম সায়েন্টিস্ট হতে চাই। আরেকটু বড় ক্লাসে উঠে লিখতাম ফিজিসিস্ট হতে চাই, অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট হতে চাই।

শেষ পর্যন্ত যদিও মধ্যবিত্ত জীবনকে আলিঙ্গন করে বাবা-মায়ের ইচ্ছেকে নিজের ইচ্ছের সাথে মিলিয়ে চিকিৎসক হয়েছি।

সে যাক গে!

অনেকেই আমরা অনেক কিছু হতে চেয়েছিলাম। কেউ মনে এক, কাগজে আরেক আর বাস্তবে অন্য আরেক।

আমরা সবাই আসলে অমলকান্তির মত রোদ্দুর হতে চেয়ে চেয়ে শেষ পর্যন্ত আর রোদ্দুর হতে পারিনি। সেই একই অন্ধকার ছাপাখানায় আমরা সবাই আসলে বন্দী!

বিশ্বাস হচ্ছে না তো?

গভীর রাতে হঠাৎ যখন ঘুম ভাঙবে, শুয়ে শুয়ে বুকে হাত দিয়ে একবার ভাববেন, দেখবেন আসলে বিশালাকার অফিসের সর্বোচ্চ পোস্টে থেকেও আপনি সেই অন্ধকার ছাপাখানায় যার যার দিনলিপি ছাপিয়ে যাচ্ছেন সময়ের পাতায় পাতায়। একদিন পাতা ফুরিয়ে গেলে আপনার দিনলিপি অকস্মাৎ শেষ হয়ে যাবে!

যাক গে, অনেক দূর চলে এলাম কথায় কথায়।
যা বলছিলাম।

আমাদের যেটা কখনোই "আমার জীবনের লক্ষ্য" হিসেবে লিখতে উৎসাহিত করা হয় না, তা হল, 'একজন সত্যিকার ভাল মানুষ হওয়া'।

এই কথাটা আমাদের মাথায় আসেও না, কেউ বলেও দেয় না কেন যেন!

আমরা যদি একজন সত্যিকার ভাল মানুষ হতে পারতাম, এই চিকিৎসক, প্রকৌশলী ইত্যাদি হবার পেছনে উন্মাদের মত না ছুটে, আমরা আজ সেই অন্ধকার ছাপাখানায় রোজনামচা লিখতাম না!

একটা সুন্দর, সুখী জীবন পেতাম, সমাজ পেতাম, বাংলাদেশ পেতাম।

আশা করছি আমাদের সন্তানদের "আমার জীবনের লক্ষ্য" অন্তত বদলাবে।

তাদের জীবনটা যেন অন্ধকার ছাপাখানায় রোজনামচা লিখতে লিখতে একদিন হঠাৎ শেষ না হয়ে যায়!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×