জানি এই উড়ন্ত মেঘ আমাকে নিবে না তাদের দলে। পাখিরাও না। হলুদ বিকেল সে ও হবে না আমার। আমি তবু মেঘ ভালোবাসি, ভালোবাসি পাখি। নিজেকে বলি কোথায় আমার ছোট্ট ভালোলাগা?
আমাদের স্বপ্ন কেবল বন্ধ ঘরের বাইরেই থাকে, কখনও সখনও যদিও ঢুকে ঘরে আমরা কি আর পারি ধরে রাখতে! এই না পারার শোক কাটিয়ে আবার স্বপ্ন বুনি। রাতের আধাঁরে। নদীর কিনারে। আকাশের নীলে, মেঘে, তপ্ত দুপুরে ভরা পূর্ণিমায় এমনকি ঘুমের ভেতরও।
যখন ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম রাতের ভেতর যা দেখি সেটাই স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কি আর মনে রাখতাম। মন-ই বা তখন কতো বড়ো ছিলো? ছোট থাকতে কতোই না ভুল বুঝতাম। কনডম কে বেলুন করে উড়িয়ে দিতাম বাতাসের শিবিরে। নিজেও বাতাসের মতো উড়ি বেড়াতাম। স্কুল ফাঁকি দিতাম, সারাক্ষন ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ততা...। ভাবতাম এটাই জীবন। কিন্তু জীবন যে সেটা না তা এখন স্পষ্ট বুঝি, বুঝি জীবন হলো এমন বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন, জীবন হলো একদিন মৃত্যুকে জয়ি ঘোষনা করে দেওয়া।
আর এমন জীবনে কতো স্বপ্ন দেখা- কতো দেখানো।
আমার স্বপ্নগুলো আমার থেকেও বড়ো। আর সেই স্বপ্নে তুমি থাকো, তোমার রঙে রাঙে স্বপ্ন প্রাচীর। সেই তোমাকেই বলি: এই স্বপ্ন ভাঙার পৃথিবীতে, এই ফিকে জীবনে। একলা থাকার বিষন্ন ক্ষণে তোমার কাছে বলি আমার যা সব সুফল কারুকাজ অন্যেরা তা পাক। তুমি আমার ক্লান্তিমাখা ব্যর্থতাটুকু রাখো ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৬