somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Warm Bodies (2013)ঃ ভালোবাসা পেলে মৃতরাও জীবিত হতে পারে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

He is still Dead, but He is getting warmer!!!
ভালোবাসা এখনো জীবিত, যদি চাপ দিয়ে ধরা যায়!!!
সিনেমাটি আমার প্রিয় সেইসব সিনেমাসমূহের মধ্যে একটি, যার মধ্যে একই সাথে গতি, ক্লাইমেক্স আর থটফুল মেসেজ আছে। সিনেমাটি আমি দেখতে বসি একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখবো এই চিন্তা নিয়ে। কিন্তু দেখতে বসার পর থেকে প্রতি মূহুর্তে আমার উত্তেজনা বাড়তে থাকে। যারা উচ্চ রেটিং দেখে মুভি বাছাই করেন, তারাও স্বচ্ছন্দে না দেখে থাকলে রিলিফের মাল হিসেবে সিনেমাটি দেখে নিতে পারেন।
অর্ধ সাইন্স ফিকশনাল সিনেমা বলা যেতে পারে এটিকে যেখানে ভবিষ্যতের পৃথিবীর একটি কল্পিত রূপরেখা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। সিনেমার শুরুতে দেখা যায় যে,ভয়ানক প্লেগে পৃথিবীতে তিনটি দল তৈরি হয়েছে।
একদল সাধারণ মানুষ, অন্যরা আকৃতির দিক থেকে মানুষ, কিন্তু তারা মৃত জোম্বি আর তৃতীয় দলেরা বোনি বা কঙ্কাল।
নায়িকা হচ্ছে সাধারণ মানুষ, আর নায়ক একজন মৃত জোম্বি যার হৃৎপিণ্ড নেই, রক্ত নেই, ঘুম নেই। আছে শুধু নৃশংসতা।
জোম্বি ও কঙ্কালরা একত্রে থাকে। মানুষদের সাথে তাদের অনেক পার্থক্য। মানুষের মগজ জোম্বি ও কঙ্কালদের খাদ্য। মানুষ লোকালয়ের মধ্যে থেকে প্রতিটা মূহুর্তে প্রস্তুতি নেয় জোম্বি ও কঙ্কালদের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার জন্য। জোম্বি ও কঙ্কালরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত মানুষদের নিরাপত্তা নেই।
এরকমই এক জোম্বি ও কঙ্কাল নিধন টিমে নায়িকা ও তার একটি টিম যায়। দুঃখজনকভাবে নায়িকার বয়ফ্রেন্ড মারা যায় নায়ক জোম্বিটির হাতে। নায়ক জোম্বিটি সেই ছেলের মগজ খেয়ে ফেলে ও ছেলেটির মগজে থাকা নায়িকার স্মৃতিগুলো জোম্বিটি গভীরভাবে অনুভব করতে থাকে। এ অবস্থায় নায়িকাদের টিমের দু’জন ছাড়া সবাই মারা যায় জোম্বিদের হাতে। নায়িকাকে জোম্বি নায়কটি খুব সাবধানে জোম্বিদের মতো সাজিয়ে নিয়ে যায় নিজেদের বাসস্থান পরিত্যাক্ত এয়ারপোর্টের একটি বিমানে। নায়িকা অবাক হয় তাকে বাঁচিয়ে রাখার কারণ বুঝতে না পেরে।
গল্প এগিয়ে যায় সাবলিলভাবে।
মৃত জোম্বি নায়কটির নাম R, আর মানুষ নায়িকাটির নাম জুলি। R জুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য সব সতর্ক ব্যবস্থা নেয়। অন্যান্য জোম্বিরা যাতে জুলিকে দেখতে না পায় তার জন্য সাবধানে আশ্রয় দিয়ে রাখে। এদিকে R যে জুলির বয়ফ্রেন্ডের মগজ খেয়ে ফেলেছে, তার জন্য সব স্মৃতি তার ভিতরে আসতে থাকে। সে প্রবলভাবে নায়িকাকে ভালোবেসে ফেলে। নায়িকা R এর বৈশিষ্ট্য, গান শোনার অভ্যাস এসব দেখে অবাক হয়। একজন জোম্বি আর যাই হোক, শিল্পানুরাগী হবে তা তার ভাবনায় ছিলো না। ধীরে ধীরে অদ্ভুত এক সম্পর্ক গড়ে উঠে জীবিত আর মৃতের মধ্যে!
অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেড়িয়ে R যখন জুলিকে বাসায় পৌঁছে দেয়, তার আগে সে জুলিকে জানায় যে, সে তার বয়ফ্রেন্ডের মগজ খেয়েছে। জুলি কিছু বলে না। বিষণ্ণভাবে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে। R তীব্র অনুশোচনায় দগ্ধ হয়। এবং এই প্রথমবার সে একজন জোম্বি হওয়া সত্ত্বেও ঘুমিয়ে পড়ে। সে স্বপ্ন দেখে। ঘুম থেকে উঠে R দেখে জুলি পাশে নেই। বাইরে অন্য জোম্বিদের সাথে দেখা হয়। তারা বলে যে তারা স্বপ্ন দেখতে পেয়েছে, এই প্রথমবার তাদের নিজেকে মনে হচ্ছে জীবিত কেউ। তাদের হৃৎপিণ্ডও ডেকে উঠেছে কয়েকবার।
R অবাক হয়, বুঝতে পারে তাদের মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু বোনিরা খুব হিংস্র। তাদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তি নেই। তারা চায় জোম্বিদের সাথে মিলে মানুষকে হত্যা করতে। তাই জোম্বিরা যখন পরিবর্তন হওয়ার পথে, তখন বোনিদের সাথে জোম্বিদের যুদ্ধ শুরু হয়।
R অন্যান্য জোম্বিদের সহায়তায় এই কথা নায়িকা জুলিকে জানাতে যায়। সে ছদ্মবেশে লোকালয়ে যায় এবং জুলির বাসায় গিয়ে জুলির দেখা পায়। এবং প্রথমবারের মতো আর বুঝতে পারে, জুলি তাকে ভীষণ পছন্দ করে ফেলেছে। জুলির বাবা মানুষদের সমাজে একজন উচ্চসারির নেতা। কিন্তু সে R কে দেখা মাত্র গুলি করে মেরে ফেলতে চায়।
জুলি মানুষের সমাজ হতে পালিয়ে জোম্বি আর বোনিদের এলাকায় যায় R কে নিয়ে। যেভাবেই হোক, বোনিদেরকে ধ্বংস করে, জোম্বিদেরকে মানুষের ভালোবাসা দিয়ে সমাজে মানুষের মতো স্থান করে দিতে হবে।
সিনেমার এই রূপক অংশ যেন বলতে চাচ্ছে, মানুষকে ভালোবাসা না দিয়ে হিংস্র বানানোর জন্য মানুষই দায়ী। কিন্তু তাই বলে তাদের মৃত ভেবে অবজ্ঞা করে ছুড়ে ফেলে দিলে তারা কখনোই মানুষ হবে না।
জুলি এবং R- এই দু’জন বিপরীতধর্মী প্রাণের ইচ্ছা কি পূরণ হবে?
তারা কি পারবে বোনিমুক্ত সমাজ গড়ে জোম্বিদেরকে মানুষের ভালোবাসায় কাছে টেনে নিতে?
তাদের দু’জনের সম্পর্ক কি মেনে নিবে গ্রেজিওর বাবা, মানুষেরা?
এর জবাব আছে সিনেমার শেষ অংশে।
ডাউনলোড করুন টরেন্ট থেকেঃ
https://yts.to/movie/warm-bodies-2013
6.9/10·IMDb
81%·Rotten Tomatoes
59%·Metacritic
3.5/4·Roger Ebert
Initial release: January 16, 2013 (Italy)
Director: Jonathan Levine
Screenplay: Jonathan Levine
Featured songs: Midnight City, October, Lonely Boy, With a Girl Like You
Music composed by: Marco Beltrami, Buck Sanders
Cast
Nicholas Hoult (R)
Teresa Palmer (Julie)
Dave Franco (Perry Kelvin)

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×