ইভটিজিং বন্ধে সরকার একটার পর একটা পদপে নিচ্ছে । সর্বশেষ ২৮ আগস্ট সমকাল থেকে জানা যায় সরকার স্কুল –কলেজগুলোতে ইভটিজিং প্রতিরোধে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে এবং আগামী শিাবর্ষ থেকে ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ল্েয পুস্তিকা আকারে একটি নির্দেশিকা দিতে যাচ্ছে । এসবই ভাল উদ্যোগ । কিন্তু ইভটিজিং তৈরীর সব উপাদান সমাজের মধ্যে জিইয়ে রেখে, অনেক েেত্র আমদানী করে ইভটিজিং বন্ধের শ্লোগান দেয়াটা স্ববিরোধী নয় কি ?
প্রথমত বলা যায় পর্ণোগ্রাফির কথা- পর্ণোগ্রাফি আমাদের দেশে এখন অত্যন্ত সহজলভ্য । ইন্টারনেটগুেলো পর্ণের জন্য একেবারে উন্মুক্ত । এছাড়া বর্তমান ভারতীয় অনেক ছবি পর্ণের নামান্তর । কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েরা এসব দেখে দেখেই বড় হচ্ছে । এগুলো দেখে কোন মানুষ যৌন জীবন সম্পর্কে স্বাভাবিক থাকতে পারবে না । কিন্তু আমাদের সরকার এগুলো কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রন করছে না । দ্বিতীয়ত মাদকের কথা বলা যায় । মাদকাসক্ত ছেলেরা স্বভাবতই অস্বাভাবিক যৌন জীবনে অভ্যস্থ হয় । অথচ মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন কার্যকরী পদপে নেই । তৃতীয়ত আমাদের দেশে আইনের কোন প্রয়োগ নেই । যারা অপরাধ করছে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না । আবার বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যারা অপরাধ করছে তারা প্রভাবশালী এবং অনেক সময় তারা সরকার দলীয় লোক । ফলে তারা সরকারের কাছ থেকে সুরা পাচ্ছে । গত ১৭ আগষ্ট রাতে নিকুজ্ঞ এলাকা থেকে ইভটিজাররা পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিল অথচ সে অস্ত্র আজও পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারল না পুলিশ । উদ্ধার না হওয়ার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে । যে দেশে র্যাবের অস্ত্র উদ্ধারের নাটকে অসংখ্য মানুষ ক্রস ফায়ারে মারা যায় সেখানে একাব্বর বাহিনী পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে দিনের পর দিন লুকিয়ে আছে । সরিষার মধ্যে ভূত রেখে সেই সরিষা দিয়ে কি ভূত তাড়ানোর যায় ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



