somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~: এক নজরে সিলেট ভ্রমন (শুধু মাত্র সিলেট ভ্রমন পিপাসুদের জন্য প্রযোজ্য ;) !!!) :~

০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চা বাগান আর ৩৬০ আউলিয়ারদের পূর্ণভূমি অপূর্ব সুন্দযের জায়গা সিলেট । ভ্রমন পিপাসু যে কেউবার না একবার সিলেট যাবেই কিন্তু বুঝতে পারে না কিভাবে, কোথা থেকে ভ্রমন টা শুরু করলে তা ষোল কলায় পূর্ণ হবে। তাই সেইসব সিলেট ভ্রমন পিপাসুদের সামান্য সাহায্য করবার জন্যই আমার এই পোস্ট, যেহেতু আমি নিজেও একজন ভ্রমন পিপাসু মানুষ ! :)

সিলেট বেড়ানোর জন্য যেতে পারেনঃ
১. জাফলং, ২. লালাখাল, ৩. শাহ্জালাল এর দরগাহ্, ৪. শাহ্পরান দরগাহ্, ৫. মালনীছড়া চা বাগান, এবং ৬. বাদবাকি নিচে দেখেন বিস্তারিত... :)

শাহজালাল ও শাহপরান মাজার জিয়ারত করে সবাই সাধারনত যাত্রা শুরু করে সিলেট ভ্রমন ।

দিনের আলোতে মাজার

রাতের আলোতে মাজার।।

সিলেট শহরের মাঝে ঘুরতে গেলে ভেটেনারী কলেজ (আলুরতল, গ্যাস ফিল্ড + চা বাগান), শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি ক্যাম্পাসে আসলে দেখতে পারবেন দেশের সর্বোচচ শহীদ মিনার যা পাহাড়ের উপর অবস্থিত , দুনিয়ার সবচেয়ে লম্বা পথ-আল্পনা আর ক্যাম্পাস তো বোনাস ই আশা করি ভাল লাগবে ..) নিচে কিছু ছবি দিলাম...নিজের ইউনিভার্সিটি বলে কথা...:)

ছায়া সুনিবিড় আমাদের কিলো রোড

মেইন কাম্পাস

পাহাড়ের চুড়ায় শহীদ মিনার !


পর্যটন টিলা (এয়ারপোর্ট রোড, সড়কের পাশে অনেক চা বাগান দেখা যাবে),


গৌর গবিন্দের টিলা, এমসি কলেজ, এছাড়া শাহজালাল, শাহপরান মাজার মাজারে তো যাবেন । সিলেট মালনি চড়া চা বাগান দেখবেন এয়ারপোর্ট রোডের পর্যটন পার্ক দেখতে যাওয়ার পথে। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান মালনীচড়া ও লাক্কাতুড়া চা বাগান অপরূপ সাজে সজ্জিত যা আপনার চোখে ও মনে প্রশান্তি এনে দিবে । এটা সিলেট শহরের পাশেই রিকশাহ ও যেথে পারবেন । এখানে ইচ্ছে করলে পর্যটন মোটেল এ থাকতেও পারেন ।

এবং একটু দুরে জাফলং শ্রীপুরে আপনাকে স্বাগতম ।

মনোরম সুন্দয জাফ্লং...
তারপর আপনি যাবেন জাফলং । জাফলং এ আপনি দেখবেন চা বাগান ,খাসিয়া পুঞ্জি ও খাসিয়া রাজ বাড়ি এবং বল্লা ঘাট এ পাথর তুলার দৃশ্য ।এখানে আপনি কিছু পাথর এর সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারেন ,দামাদামি করে কিনলে জিতবেন । আর খাবার দাবার এখানে না করে সিলেট শহরে যে কোন জায়গায় করলে ভালো হবে । কিন্তু শহরের আম্বরখানা পয়েন্ট এ ইষ্টি কুটুম হোটেল টাতে ভুলেও যাবেন না। ওই খানে খাবার এর দাম অনেক বেশি। X((

জাফলং থেকে ফিরার পথে যাবেন শ্রীপুর পিকনিক স্পটে।


তারপর যাবেন জৈন্তাপুর বাজার , এ জায়গায় আছে জৈন্তা রানীর বাড়ি আর দিঘি । আছে টকফল গবেষণা কেন্দ্র আমার খুব ভালো লাগত জায়গা টা । আমি অনেক বার গিয়েছি এ টকফল কেন্দ্রে , সব ধরনের টকফল এর বাগান এক সাথে দেখার সুযোগ আপনি অবস্যই মিস করবেন না ।

এ জায়গাটা জৈন্তা বাজার থেকে আপনি হেটে গেলে ১০ মিনিট লাগবে ।

জৈন্তাপুর দেখা শেষ করে আসার সময় রাস্তায় পাবেন লালাখাল নামক স্থান।

লালাখাল নদীর ব্রীজ এর নিচ এ গিয়ে দেখতে পাবেন নিল রঙের পানি ,ব্রীজ এর বামপাশে আছে নৌকা ঘাট ,এখানে আপনি পাবেন স্পীড বুট ও ছুটো নৌকা এগুলু দিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন লালাখাল এর নিল রঙের পানি ও বাংলার রূপ ।

তারপর হাতে সময় থাকলে একদিন মাধবকুন্ড জল্প্রপাত দেখে আসতে পারেন কিন্তু অইটা সিলেট থেকে অনেক দূরে , প্রায় ২ ঘণ্টা লেগে যাবে শুধু জেতেই। মাধব্কুন্ধ জলপ্রপাত না দেখলে সিলেট ভ্রমন এর আসল সাদ পাবেন না ।:P .........

এবার, বাঙ্গালী হইয়া ফ্রী এডভাইস দিব না তা কি হয়, বলেন ??;) এই লন কিছু দরকারি তথ্য ...:)

# জাফলং দেখার আগে মাধবকুন্ড দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। জাফলং দেখবেন লাষ্টের দিন, যখন ফিরবেন তখন যেন চোখে জাফলং ভেসে থাকে। পাশে থাকা মনের মানুষটা কেও যেন ভুলে যান !!! শুধুই জাফলং হাঃহাঃহাঃ...
# লোকাল লোকজন অতিথিপরায়ন কিন্তু তাদের সাথে তর্কাতর্কি তে না যাওয়াই ভাল।
# টুরে অযথা বীরত্ব না দেখানোই উচিত, হয়তো কিছুই হবে না কিন্তু যে দেশের সীমান্তরক্ষীরা ফেলানীকে মেরে কাটা তারে ঝুলিয়ে রাখে তাদের "কিছু করবে না" এই বিশ্বাস আমি করতে রাজি না।
# উগ্র ড্রেস পরা উচিত না সিলেটে, মনে রাখবেন আপনি যাচ্ছেন "বার আওলিয়ার মাজারের শহরে"। ভদ্রতা বজায় রাখুন।
# জাফলং যান আর মাধবকুন্ড যান, যেখানেই যান, পানিতে আপনে নামবেনই, তাই কাপড় চোপড় সাথে রাখবেন। ভাড়াও পাবেন তবে নিজেরটাই ব্যবহার করা উচিত।
# মাজারে যাবেন কিন্তু লক্ষ রাখবেন আপনার সব ভক্তি যেন আল্লাহর প্রতিই থাকে। সব আল্লাহর ইচ্ছায় হয়, মাজারে গিয়ে মাথা ঠেকাবেন না।
# পাঠিকাদের বলছি, ভুলেও মেকআপ নিয়েন না, অনেক গরম পরিবেশ, একটুপর আপনাকে ভুতের মত লাগবে। হাঃহাঃহাঃ
# টুরে যাবেন তো হালকা ড্রেস পরার চেষ্টা করুন। ভারি ড্রেসে আপনি সহজে মুভ করতে পারবেন না।
# অনুমতি না নেওয়া থাকলে চা-বাগানের বেশি ভিতরে ঢুকা উচিত না।
# কোন ছাইয়া পাবলিকদের দলে ভিরাবেন না, মনে রাখবেন, একজন স্বার্থপর টুর মেম্বার আপনার স্বাধের টুরের ১২টা বাজায় ফেলতে পারে।

জানার কোন শেষ নাই, তাই আরও জানতে ভিজিট করেনঃ ভ্রমন লিঙ্ক

সিলেট ভ্রমন আপনার আনন্দময় হোক।:D
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×