somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

█████ কথোপকথন█████ রহস্য -রোমাঞ্চ গল্প

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



" আমি এখানে কোথায় এসেছি? আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিনা কেন? চারপাশে অন্ধকার কেন? কেউ কি আছেন? কেউ কি শুনছেন? আমি কোথায় আছি?"

"তোমাকে সেটা উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই "

"কে-কে ? কে কথা বলছেন? "

"আমি কেউ না"

" কেউ না মানে?"

...................................................

"আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না কেন? "

...................................................

"এই যে আমি কি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি? আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিনা কেন?"

"কারন পরম শুন্যতার কোন রুপ নেই"

"কিন্তু আমাকে পরম শুন্যতায় কে এনেছে? আপনি?"

"এখানে কেউ স্বেচ্ছায় আসেনা-এখানে নিয়তির ইচ্ছায় আসে সবাই। সবাই কেই আসতে হয়"

"মানে কি দাঁড়াল? "

"কোন কিছুর অর্থ বুঝাতে আমি বাধ্য নই"

"কিন্তু আপনি কে ? আমি কার সাথে কথা বলছি?"

"আমি কেউ না- আমার কোন পরিচয় নেই"

"আপনার কোন নাম নেই?"

"নাম কি জিনিস?"

"নাম মানে পরিচয় - আপনার কোন পরিচয় নেই?"

"না আমার কোন পরিচয় নেই- এখানে কারো কোন পরিচয় থাকেনা"

"কিন্তু আমার ছিল। আমার আবছা আবছা মনে পড়ছে আমার একটা নাম ছিল।আমাকে এক নামে সবাই চিনত। আমার ঠিক মনে পড়ছেনা"

"হয়ত ছিল- হয়ত ছিলনা। এখন তাতে কিছুই এসে যায়না"

"এর মানে কি ? আপনি কি আমাকে কিডন্যাপ করেছেন নাকি? শুনেন ভাই - আমি আপনার চাহিদা পুরন করে দেব। প্লিজ ভাই আমাকে ছেড়ে দেন"

" এখানে কেউ তোমাকে নিয়ে আসেনি- তুমি নিজেই এসেছ- এটা এক পূর্বপরিকল্পিত প্রক্রিয়া। এখানে কারো কোন দায় নেই "

"মানে কি? আপনি কি প্লান করে আমাকে কিডন্যাপ করেছেন?"

"আমি কিছু করিনি- কিছু করাই ও নি-সব স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ঘটেছে"

"কিন্তু আমি এখন কোথায়?"

"স্থানু প্রক্রিয়ার সপ্তম স্থরে। এর বেশি আমি কিছু বলতে আগ্রহী নই"

"আমি এখানে এলাম কি করে?"

" জাগতিক দেহের মৃত্যু হলে এখানেই প্রথম আসে সবাই।"

"হা হা হা হা- চরম হাসির কথা বললেন তো আপনি??
মৃত্যুর পর কেউ কথা বলে নাকি?"

"বলে আবার বলেনা"

"মানে কি? আপনি কি পাগল নাকি?"

"কোন কিছু বোঝাতে আমি বাধ্য নই"

"আচ্ছা আমি যদি মরেই গেলাম তবে আমি কিভাবে দেখতে পাচ্ছি??"

"দেখা তো একটা নিন্মস্থরের শারীরিক প্রক্রিয়া।এখানে কারো কোন শরীর নেই।"

"কিন্তু আমি তো গাঢ় কালো রং দেখতে পাচ্ছি"

"এখানে সব কিছু নিরঞ্জন- সকল ই রং হীন। চোখ নামের নিন্মস্থরের ইন্দ্রিয়ের প্রকাশভাব মাত্র। কোন কিছুর রং না থাকা মানেই কালো। সময় নামের হাস্য কর বস্তুত রং ও কালো বলে অনেক নিন্মস্থরের জীব কল্পনা করে।"

" আমি নিজেই তো সময়কে কালো বলে মনে করতাম। তারমানে আমি ও কি নিন্মস্থরের প্রাণী?"

" একসময় ছিলে। এখন আর সেই স্থরে নেই। এখন তুমি আমাতে বিলীন। আমাদের কোন স্থর নেই। আমরা এখন এক।"

" হ্যাঁ মনে পড়েছে।আমার নাম মনে পড়েছে। আমি রামেন্দু চৌধুরী।আপনি বলতে চাইছেন আমি নিন্ম স্থরের প্রাণী? ফাইজলামির জায়গা পাননা? আমাকে এখুনি আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দিন। ভাল চাইলে এখুনি দিন- নাইলে আপনাকে আমি সাত ঘাটের জল খাইয়ে ছাড়ব। আপনি জানেন না আমি কত ক্ষমতাবান।"

"আগেই তো বললাম -এখানে কারো কোন পরিচয় নেই। তুমি মরে গেছ।
তোমার জাগতিক দেহের মৃত্যু হয়েছে। এখানে তোমার কোন পরিচয় নেই। তুমি আর আমি এখন একাকার।"

" ফাজিল কোথাকার। আমাকে বুদ্ধু পাইছেন? মরে গেলে মানুষ কথা বলে? কানে শুনে?"

"এটা খুব নিন্মস্থরের প্রক্রিয়া। আমি চাইছি বলেই শুনছ। না চাইলে শুনতে না। মৃত্যুর পর সবাইকেই জানানো হয় । আমি চাই বলেই হয়।"

"তার মানে আমি আপনার দয়ায় কথা বলছি?"

"এখানে আমি ই তুমি। তুমি ই আমি। আবার এখানে আমি তুমি বলে কিছু নেই। এটা স্থানু অংশের নিয়ম।আমরা সপ্তম স্থানু অংশের নির্লিপ্ত অংশ। "

" তার মানে -আমি কি সত্যিই মারা গেছি? তাহলে আমার স্ত্রীর কি হবে? আমার সন্তান দের কি হবে? কাল বাদে পরশু আমার ছোট মেয়ের বিয়ে। বিয়ে কিভাবে হবে?"

"তুমি ছাড়া ও ওর বিয়ে ঠিক মতই হবে। এটাই নিয়ম"

"বাবা ছাড়া কিভাবে মেয়ের বিয়ে হবে?"

"সব হবে। চিন্তার কোন কারন নেই।"

" আচ্ছা কালকেই তো আমার কাছে বিদেশী বায়ার রা আসবে। কিভাবে আমার সাথে আলোচনা হবে? "

" তুমি ছাড়া কেউ কি কিছু করতে পারবেনা নাকি? তুমি না থাকলে ও সব ঠিক মতই হবে। এটাই জগতের নিয়ম।"

"কিন্তু .।.।"

"আর কোন প্রশ্ন নয়- এখন তুমি স্থানু হবে। কোন শব্দ চেতনার মাঝে ঠাই দেবেনা। এখন তুমি পরম স্থানু। তুমি পরম শুন্যের বিস্মরণ। তুমি এখন পরম শুন্য স্থানু।"

"স্থানু- স্থানু- স্থানু- পরম স্থানু, পরম শুন্য স্থানু- তুমি স্থানু- আমি স্থানু সব স্থানু.।.।.।। "

"তুমি স্থানু -আমি স্থানু- সব স্থানু"

"স্থা ন ঊ ঊ ঊ "
....................................




উফ বাঁচা গেল। গাধাটাকে বিশ্বাস করানো গেছে যে সে মারা গেছে। এখন গাধাটার মুখের আদলে বানানো মুখোশ পড়ে একবার সব সম্পত্তি নিজের দখলে আনতে পারলেই কেল্লা ফতে। কৌশলে জেনে নিলাম কয়েকদিনের মাঝে গাধা টা কি কি করবে। এখনই অবশ্য ওকে মেরে ফেলব না। ওর হাতের ছাপ কাজে লাগবে। কথাগুলো কাঊকে জানাবেন না যেন। জানালে কিন্তু আপনাকেও ..........



(সমাপ্ত)

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৮
৪৭টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×