somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

✖✖✖✖✖পরিবার✖✖✖✖✖ রহস্য- রোমাঞ্চ- সাইকো গল্প

১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পরিবার /////// ১০-১১-২০১১




এই যে দেখছেন আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আমার প্রাণপাখি- ওর নাম শকুন্তলা। আমি নাম রেখেছি শকুন্তলা দেবী। দেখেন না কি মিষ্টি করে ঘুমুচ্ছে আমার কোলে- দেখেন। কি সুন্দর ওর টানা টানা চোখ দুটো- অপরূপ তাইনা? আহা দেখলে ভোলা যায়না। ভুলতে পারিনা আমি- তাই তো বার বার আমি ছুটে আসি আমার শকুমনির কাছে। আহা- ওর স্পর্শে আমার যেন সোনার কাঠির জিয়ন ছোঁয়ায় ঘুম ভাঙ্গে। আমি বাঁচতে শিখি। জীবনকে ভালবাসতে শিখি নতুন করে।অপূর্ব সুন্দর তার চুল গুলো দেখলে মনে হয় যেন আমি হারিয়ে যাই। আহা কি সুন্দর মোলায়েম। আমি ওকে আদর করে ডাকি সোনাই। একদিন শকুন্তলার রুপে মজেছিল দুষ্মন্ত। প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল শকুন্তলা কে। আমি কিন্তু কোনদিন আমার শকুন্তলা কে ভুলবনা। কারন আমি দুষ্মন্তের চেয়েও আমার শকুন্তলাকে ভালবাসি। তাই আজ থেকে তিন বছর আগে আমি ওকে বিয়ে করি।আর বিয়ের পর যেন নতুন করে আমি আবার মজেছি প্রেমে।আহা রুপ যেন দিন দিন ঝরে পড়ছে। আমি যখন ওর সাথে লুকোচুরি খেলি তখন মনে হয় যেন ও হাসে- আমি বাতাসে ওর হাসির শব্দ পাই- রিনিরিনি শব্দে আমি আবার ঘায়েল হই - আবার পড়ে যাই প্রেমে।

জানেন আমি না মরে গেলে ও ভুলতে পারব না ওকে। মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে? কে জানে। আমি ওর মাথার চুলে হাত বুলাই- হাত বুলাই ওর নিশ্চল কপালে-চোখে-গোলাপের পাপড়ির মত ঠোঁটে।ওকে চুমু খেতে এত ভাললাগে- আহ- যেন স্বর্গীয় সুধা। তাই তো আমি ওকে আদর করে ডাকি সোনাই। আমি আমার সোনাই কে কখনো ভুলতে পারব না। আমি কখনোই দুষ্মন্ত হতে পারব না।

জানেন প্রতিদিন সকাল বেলা ঊঠে আমি কি করি? আমি সকাল বেলা ঘুম থেকেই উঠে সোনাই কে চা বানিয়ে খাওয়াই। অবশ্য সেই চা আমাকেই পুরোটা খেতে হয়। ও না কিচ্ছু খেতে চায়না। ঘুম থেকে উঠতেই বেলা করে ফেলে। আমি জোর করে জাগাই। চা খাওয়াই। তারপর কোলে করে নিয়ে যাই বাথরুমে । সেখানে আগে থেকে তৈরি থাকে সাবান গোলা জল। আমি ওকে প্রতিদিনের মত স্নান করিয়ে দেই। ওনা লক্ষ্মি মেয়ের মত চুপটি করে থাকে। এত লক্ষ্মি মেয়ে দেখেছেন কখনো? জানি দেখেন নি। জানেন ওর না শরীরে একটা দাগ ও নেই। একটা ও না। শুধু নাভির নিচে একটা সামান্য কাঁটা দাগ আছে- আমি সেটাকে দাগের সংজ্ঞা থেকেই বাদ দেই। এই মিহি দাগটা ছাড়া কোন দাগ নেই ওর শরীরে। হলুদ আলতা মেশানো গায়ে চমৎকার দেহবল্লবী। আমি না ওকে স্নান করাতে গিয়ে আবার পাগলামি শুরু করে দেই। দেখা যায় সেখানে ই সব কাজ ফেলে আমরা দুজনে ....

হুম কি ভাবছেন? জানেন আমরা না দুইজন খুব সুন্দর জুটি। আর আমার এক বদভ্যাস- আমি ওর কাছে গেলেই পাগলামি শুরু করে দেই।আর ও যেন অপেক্ষা ই করে আমি কখন আদর করব ওকে। আমাকে যদি একটু ও বাঁধা দিত। আমি ও যেন পাগল হয়ে যাই। আস্কারা পেয়ে মাথায় উঠেছি। দেখা যায় স্নান আর খাওয়া ছাড়া ওর সাথেই সারাদিন কেটে যায়। অবশ্য বাড়ির অন্যান্য রা ও বুঝে আমাদের ভালবাসা। তাই তো মা আর বোন আমাকে একটু ও বাঁধা দেয় না। আর আমি ওর নরম পেল্ব ঠোটের মাঝে হারাই বারে বার। কেন হারাব না বলুন? ওকে দেখলে ই যে কেউ ওর প্রেমে পড়ে যাবে।এত সুন্দর মানুষ হয়না। মানুষ এত সুন্দর হতে পারেনা। ও হয়ত মানুষ না- অন্য কিছু। আমার জানটুসের মত মানুষ হয়না। আপনি একবার ওকে উপলব্ধি করতে পারলেই দেখবেন আপনি ও ... কিন্তু না- তা হবেনা- আপনাকে আমি উপলব্ধি করতে দিলে তো। ওকে শুধু আমি ভালবাসব। শুধু আমি। ও শুধু আমার ।

অবশ্য ওর সাথে যে আমার মনমালিন্য হয়নি তা না। একবার ও পাশের বাড়ির স্বরূপের সাথে একটা বাজে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। আমি ওকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ও শোনেনি। পরে আমাকে সরি বলেছিল । তাই আমি ও ওকে আবার আপন করে নেই। কিন্তু ঐ হারামজাদা স্বরূপ কে আমি ছাড়িনি। কারন আমি মনে করেছিলাম ও সোনাই কে ভুলে যাবে। কিন্তু একদিন ওকে আমি আমার সোনাই এর সাথে একরুমে দেখে ফেলি। ঐ দিন আমার এত রাগ উঠেছিল না। ঐ দিন আমি স্বরূপ কে বেঁধে পিটিয়েছিলাম। কারন আমার সোনাই ও হারামজাদা স্বরূপ কে ভালবেসে ফেলেছিল। আমি জ্বলেছিলাম- তাই স্বরূপ কে জ্বালিয়েছিলাম। আমি সত্যি সত্যি ওকে জ্বালিয়েছিলাম। না না আগুনে না- এসিডে।স্বরূপের গায়ে আমি দুই মগ এসিড ঢেলে ছিলাম। সেদিন আমি স্বরূপ কে মারার সময় ভিডিও করে সেটা সোনাই কে দেখিয়েছিলাম। সেই ভিডিও দেখে সোনাই এর চেহারা এমন হয়েছিল না- দেখার মত। হা হা হা। আমার ভেতরে জ্বালা আমি স্বরূপের উপর ঢেলেছি।

জানেন সেই ভিডিওটা দেখে আমার সোনাই বিষ খেয়েছে। আমি সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তখন বিষ খেয়েছে। একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন ছিল। সেটা করতে গিয়েছিলাম- সেই ফাঁকে সোনাই বিষ খেল- তারপর তরপাতে তরপাতে মরল। আমি বাসায় এসে দেখি আমার জানটুস মরে পড়ে আছে। শক্ত হয়ে গেছে শরীর। আহ কি ভয়ংকর। আমি ভাবতে ও পারিনা। আমার অসাবধানতার জন্য আমার বউ মরে পড়ে থাকবে? আমি ওকে কোলে নিয়ে একটানা দুই দিন কেদেছিলাম। এভাবে আমার বাবা মারা যাবার পর ও কাঁদিনি।

তারপর হটাত দেখি পঁচতে শুরু করেছে আমার সোনাই। পঁচতে শুরু করেছে ওর সোনাবরন দেহ। পঁচে গন্ধ বের হয়েছে ওর হৃদয় থেকে- যেটা ছিল আমার- শুধু আমার। সেখানে বাসা বাঁধতে শুরু করেছিল পোকা মাকড়। আমি ঠিক সেই সময় সিদ্ধান্ত নেই সোনাই কে কবর এ ফেলে দেবনা। ছেড়ে দেবনা আমি ওকে পোকা মাকড়ের আস্তানায়। আমি প্রতিদিন ঊঠে ওর চাঁদ মুখ দেখব।ওর পেলব ঠোঁটে চুমু খাব।ওর বুকে মাথা গুঁজে শুয়ে থাকব দিনের পর দিন। তাই শুধু মাত্র সোনাই এর শরীরটা বাঁচাতে আমি ছোট্ট একটা অপারেশন করেছি। জানেন সেই অপারেশন করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। অনেক কেঁদেছি আমি। মনে হচ্ছিল আমার জানটুস ব্যাথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে।তাই আমি খুব সাবধানে শরীর থেকে সব পঁচে যাওয়া অংগ ফেলে সেখানে খড় ঢুকিয়ে দিয়েছি । তাই তো দেখেন ওর পেটের দিকটায় কেমন যেন শক্ত।কিন্তু এখন ও এতদিন পর ও টিকে আছে ওর সেই পেলব ঠোঁট। এখন ও আগের মতই দ্যুতি ছড়ায় ওর সোনাবরন শরীর। ওর সাথে মিলনের সময় খানিকটা কষ্ট হয়। ও আমাকে আগের মত জড়িয়ে ধরেনা। শুধু সান্তনা ও আর কাউকে জড়িয়ে ধরবেনা। ও এখন শুধু ই আমার। আমাকে আগের মত আদর করেনা। আঁচড়ে পাঁচরে আমাকে পাগল করে তুলেনা সঙ্গম কালে। চিৎকার করে আমাকে করেনা আদিম পুরুষ। একদম চুপচাপ থাকে সে। এতে আমার কোন সমস্যা হয়না। আমি তো ওকে আগের থেকে ও বেশী ভালবাসি- তাইনা?

কি আমাকে পাগল ভাবছেন? নাকি ভাবছেন সাইকো? ভাবছেন আমাকে ডান্ডা বেরি পরিয়ে নিয়ে যাবেন পাগল খানায়? হুম তা পারবেন না। আমাকে ঢাকায় দেখতে এসে আমার মা আর বোন ও তাই করেছিল। কিন্তু আমি ওদের ও চুপ করিয়ে দিয়েছি। জানেন- আমি চাইনি ওদের মেরে ফেলতে- কিন্তু ওরা যেন কেমন হয়ে গেছিল। পাগল পাগল বলে নিজেরাই পাগলামি শুরু করে দিয়েছিল। তাই আমি ওদের মেরে ফেলেছি। কিন্তু এক দম ফেলে দেই নি। ওরা এখন আমার ডাইনিনে বসে থাকেন। যেমন চুপ করে থাকে আমার সোনাই। ওইখানে আজকে একটা পার্টি আছে।

জানেন- আজকে আমার বোনটার ২৫ বছর হবে। ওর জন্য পার্টি হবে বাসায়। আমি সবাইকে সাজিয়ে গুজিয়ে বসিয়ে রেখেছি। এখন সোনাই কে সাঁজাবো। তারপর পার্টি শুরু হবে। আমি বেলুন এনেছি- কেক এনেছি। ওরা কেউ খাবেনা। তবু ও আমি এনেছি। সব আমাকেই খেতে হবে। তবে এখন আগের মত সবার খাবার একা খেতে পারিনা। বয়স হয়ে যাচ্ছে। তাই ভাবছি আমার বোনটার জন্য একটা বর খুঁজব। ভাই হিসেবে একটা দায়িত্ব আছেনা? দেখেন আমার বোন কিন্তু অনেক লক্ষ্মী। অনেক ভাল একটা মেয়ে। ওকে বউ হিসেবে পেলে কিন্তু আপনি খুশিই হবেন। আর একটা কথা না বললেই না- আপনাকে না আমার খুব পছন্দ হয়েছে। জামাই হিসেবে আপনার সাথে ওকে দারুন মানাবে। বিয়ে করবেন আমার বোনটাকে? বেচারি অনেক একা। প্লিজ- করেন না। আপনাকে ও আমার পরিবারের একজন বানাবো। তারপর আপনাকে কিছু ই করতে হবেনা। আপনাদের ম্যারিজ এনিভারসারি ও আমি ই নিজ দায়িত্বে পালন করব। কি হবেন? আমার পরিবারের একজন?


(সমাপ্ত )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৭
৫৭টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×