গতকাল রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ী বাঙালী ছাত্রের মধ্যকার সামান্য মারামারী ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। টিভির খবর ও ব্লগের খবর পড়ে যা বুঝলাম তা হল, প্রথমে পাহাড়ী ছাত্র দ্বারা বাঙালী একজন ছাত্র বেড়ধর পিটুনি খায়। এর পর বাঙালী ছাত্রদের সাথে পাহাড়ী ছাত্রদের হাতাহাতি হলে কিছুসময় পর বহিরাগত পাহাড়ীরা লাঠি ও ছোরা নিয়ে সারা কলেজ তল্লাশি করে বাঙালি ছাত্রদের পিটায় যা কলেজের গার্ড স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এর পর তা সামগ্রিক রুপ নেয় এবং সমস্ত শহরে ছড়িয়ে পড়ে পাহাড়ী বাঙালী সংঘর্ষে।
এই সংবাদ নিয়ে সব পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে এবং শুধু শিরোনাম তুলে ধরলামঃ
প্রথম আলো: বাঙালি-আদিবাসী সংঘর্ষ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা
মানব কন্ঠ: রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে আহত ৬০
কালের কন্ঠ: রাঙামাটিতে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে আহত ৬০
ইত্তেফাক: পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ, রাঙ্গামাটিতে১৪৪ ধারা
আমার দেশ: রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত : ১৪৪ ধারা জারি, সরকারি কলেজ বন্ধ ঘোষণা
যুগান্তর: পাহাড়ি – বাঙালী সংঘর্ষে রাঙামাটি উত্তাল
বাংলাদেশ প্রতিদিন: রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
একমাত্র প্রথম আলোকে দেখলাম ওর চুলকানি বেশী। বিষটিতে আদিবাসী রং লাগানোর ধান্ধায় আছে। বিষয়টিতে পরিষ্কার যে একমাত্র প্রথম আলো বিশেষ কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সতর্ক হতে হবে এখনই । আমরা কি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজাকারকে চিনতে পারছি ? সরকারী ভাবে যেখানে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই, সেখানে প্রথম আলোর কেন এত চুলকানি?
আবার প্রথম আলো একটা লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে কারা কারা আহত হয়েছে, সেখানে সব পাহাড়ীদের নাম। ভাবটা এমন বাঙালীরা নিরীহ পাহাড়ীদের ধরে ধরে পিটিয়েছে। অথচ সেখানে পাহাড়ী বাঙালী দুই পক্ষই হাসপাতালে। অন্য পত্রিকায় (যেমন কালের কন্ঠ ও যুগান্তর) পাহাড়ী বাঙালী সবার নামই এসেছে।
এই কুলাংগার পত্রিকার কুলাংগার সম্পাদককে এখনি জবাব দিহিতায় আনতে হবে, নইলে যে বড় দেরী হয়ে যাবে। কিছুই করার থাকবে না শেষে।