আমি কখনোই আপনাকে বলব না যে, আপনার প্রিয় মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে লড়াই করে যান। কারণ আপনার প্রিয়মুখ অনেকগুলোই থাকতে পারে। তাছাড়া এখানে অলিখিত ভাবেই সূক্ষ্ম একটা স্বার্থ থাকে। অবশ্য এই স্বার্থ খারাপ না। এই স্বার্থ ভালো। খুব ভালো।
আমি আপনাকে অবশ্যই বলব, বারবার বলব যে আপনি যাদের কাছে প্রিয় মুখ তাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে লড়াই করুন। হয়তো আপনি হেরে যাবেন। আপনি যাদের কাছে প্রিয় তাঁদের মুখের তাকান। বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার হেরে যাওয়াতে তাঁদের হৃদয়ে কত কষ্ট! কত যন্ত্রণা। অন্তর্দৃষ্টি মেললে আপনি সেই মুখচ্ছবিতে স্পষ্ট দেখতে পাবেন আপনার হেরে যাওয়াতে তারা যে কষ্ট যে যন্ত্রণা পেল তা সমুদ্রের চেয়ে কম না।
অনুধাবন করতে চেষ্টা করুন আপনি যখন বিজয়ের মুকুট পরবে তারা কত আনন্দ পাবে। তাঁদের চোখে মুখে কি স্বর্গীয় হাসিটাই না ফুঁটে উঠবে।
তারপর আপনি আবার লড়াই করুন। তীব্র ইচ্ছাশক্তি আর অদম্য সাহসের সাথে বারবার লড়াই করুন। তাঁদের সেই সমুদ্রসম যন্ত্রণা কমাতে লড়াই করুন। তাঁদের চোখে মুখে স্বর্গীয় আনন্দের স্বর্গীয় হাসি ফুঁটাতে লড়াই করুন।
ইনশাআল্লাহ আপনি আপনার লড়াইয়ে একদিন জিতবেন। জেতানোর মালিক আল্লাহ্। আপনার কাজ শুধ লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
হায়রে, কি লোক আমি! সামুর ব্লগার পাঠকদের এসেছি অনুপ্রেরণা দিতে!!
আসলে প্রতিদিন চোখের সামনে অনেককিছুই ঘটে। ঘটনাগুলো গল্প আকারে লিখতে ভীষণ ইচ্ছা হয়। কিন্তু অলসতার কারণে পারিনা। তাছাড়া লেখার হাত একটুও ভালো না। কিন্তু আজকে উপদেশ এর মতো লিখলাম। না লিখে পারলাম না।
জিবনযুদ্ধে নামার অনেকবারই পণ করেছি। কিন্তু কোনবারেই দুইদিনের বেশি তিনদিন লড়াই করেনি। ইনশাআল্লাহ এবার থামার ইচ্ছা নেই। একটুও নেই। এবারের প্রেক্ষাপট অনেক বেশি ভিন্ন।
যদি কোনদিন সফল হই আমি তাহলে আজকের এই পোস্টটি লেখার পেছনের ঘটনাটি হবে সেই সফল হবার মূলমন্ত্র। আজ থেকেই, এখন জিবনযুদ্ধে নামছি। যাদের কাছে আমি সবচেয়ে প্রিয়মুখ, যারা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মুখ তাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে জীবনযুদ্ধে নামছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৮