somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ব্লগার ভাইয়েরা সাবধান এদের কথায় দিকভ্রান্ত হবেন না লক্ষে এগিয়ে চলুন"

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আব্দুল ওহাব নামে একজন সোনার বাংলাদেশ ব্লগে এই পোস্ট টা করেছে এই রকম আরো বহু পোস্ট ফেইসবুক ও আন্নান্য ব্লগে ঘুরছে এসব দেখে দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না ।

লিংক


এক গ্রামে এক আবুলের মা-বোন ধর্ষিত হয়েছে। সে এটার বিচার চায়। অন্যান্য মানুষও এর একটা বিহিত চায়। গ্রামের মোড়ল তা লক্ষ্য করেছে। মোড়ল আবুলকে ডেকে আবেগি ভাষায় বলল, "দ্যা-খ আবুল, আমি তোমার পরিবারের উপর সংঘঠিত এই মানবতা বিরোধি অপরাধের বিচার করব।"

মোড়ল সমাজের ক্ষমতাবান প্রতাপশালি; সে লাঠিয়াল পাঠিয়ে উত্তর বাড়ির কালামিয়া ও তার ভাইকে ধরে এনে আটকালো। বলল, "আবুল, এদের বিচার করলে তুই যতটুকু খুশি হবি, তার চেয়ে বেশি স্বস্তি পাব আমি।"
আবুল তো মহা খুশি!

অথচ, খোজ নিয়ে জানা গেল, এই মোড়লের বাহিনি-ই আবুলের মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে এবং কালামিয়া হলো ঐ মোড়লের একমাত্র বলিষ্ঠ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধি। আগামি চেয়ারম্যান নির্বাচনে সেও সম্ভাবনাময়ি প্রার্থি। তারও জনসমর্থন কম নেই।

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধির বিচার হলো এই আবুল আর মোড়লের কাহিনির মত।
অথচ, আবুলেরা এখনও বুঝে উঠতে পারছেনা।

গল্পের সমর্থনে কিছু তথ্য দেয়া হলো:

"পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কলাবরেটর এ্যাক্ট এর অধীনে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ১৯৭৩ সালে লক্ষাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ৩৭,৪৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। এবং ৩০,৬২৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।
মাত্র ২,৮৪৮ জনের বিচার হয়। এর মধ্যে ৭৫২ জন দোষী সাব্যস্ত হয়।

কিন্তূ সে সময় জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতা বিরোধী অপরাধ বা অন্য কোন অপরাধের অভিযোগ আসেনি। শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তাদের কোন নেতার বিরুদ্ধে চার্জ আনতে পারেনি। "

তাহলে এখন এটা কিসের বিচার?

বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে কিছু তথ্য:

যে বিচার ব্যাবস্থায় দলিয়ভাবে বিচারক নিয়োগ হয়,
যে বিচার ব্যাবস্থায় বিচারক কলন্কিত হয়ে পদত্যাগ করে,
যে বিচার ব্যাবস্থায় সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ ধরা পড়ে,
যে বিচার ব্যাবস্থায় চোর, ডাকাত আর ক্ষুনিদেরকে স্বাক্ষি বানানো হয়,
যে বিচার ব্যাবস্থায় কোর্টের সামনে থেকে স্বাক্ষিকে গায়েব করা হয়,
যে বিচার ব্যাবস্থায় কেবলমাত্র একটি দলকে টার্গেট করে গায়েল করার চেষ্টা করা হয়,

এরকম প্রশ্নবিদ্ধ, নগ্ন পক্ষপাতমুলক প্রহসনের বিচারের রায় বাংলার মানুষ কোন যুক্তিতে মেনে নিবে?

আরো তথ্য:
"মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার-দালালদের তালিকা: গোয়েবলসীয় প্রপাগান্ডায় তরুণ প্রজন্ম আসল দালালদের সম্পর্কে অন্ধকারে!
১৯৭১ এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র তালাশ করলে পাওয়া যাবে কিভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়েছে। পুলিশের যেমন সহযোগী বাহিনী আছে আনসার, তেমনি পাকিস্তান পুলিশের সহযোগী বাহিনী হিসেবে গঠন করা হয়েছিল রাজাকার বাহিনী। তাদের তখন অনেক সহযোগী ফোর্স দরকার ছিল। বর্তমান থানা কর্মকর্তাকে ইউএনও বলা হয়। তখন বলা হতো সার্কেল অফিসার। এসব সার্কেল অফিসারদের মাধ্যমে ইউনিয়ন বোর্ডে ঢোল পিটিয়ে রাজাকার বাহিনীতে জনবল রিক্রুট করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে সরকারিভাবে।
এবং তখন প্রতি ইউনিয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগের কর্মীরা ছিল ক্ষমতাশালী তাই তখন পাকিস্তান সরকার আওয়ামীলীগ এর বেশীর ভাগ মানুষকে ৯০% রাজাকার বাহিনীতে নিয়োগ দেয় যাতে গ্রামের মানুষ এদের ক্ষমতায় ও কথায় কাজ করে । এবং তারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে।
আর জামায়াত ছিল তখন অতি নগণ্য ও ক্ষমতাহীন কিছু ইসলাম প্রিয় মানুষের দল... এরা কিভাবে তখন মানুষকে অত্যাচার করবে??? আর ঠিক তখন সকল এলাকায় ছিল ক্ষমতাশালী সরকারি বর্তমান আওয়ামীলীগ এর কিছু মানুষ... যেমন, প্রমানসহ রাজাকার শেখ হাসিনার বেয়াই, মন্ত্রি কামরুল ইসলাম এর পরিবার, কবি শামসুর রহমান, সুশীল সমাজের কবির চৌধুরী ও আওামিলিগের বর্তমান MP ও মন্ত্রিসভার আরও অনেকে...
অর্থাৎ রাজাকারদের যেসব অপরাধ জামায়াতের ওপর চাপানো হচ্ছে,সেগুলো পাকিস্তান আর্মির অপরাধের একটা অংশ ছিল।এবং অবশ্যই অইসব সমস্ত কর্মকাণ্ডের দায়ভার পাকিস্তান আর্মির,বর্তমান আওামিলিগের ও তখনকার সরকারি বাহিনীর."

সূত্র: বই: "রাজাকার ও দালাল অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের তালিকা"। এটির সংকলন ও সম্পাদক এ এস এম সামসুল আরেফিন (আরেফিন)। মি. আরেফিনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, ঢাকা এ বইটি ২০০১ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশ করেছে। মি. আরেফিন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে মনোযোগী গবেষক। তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আরো কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। ‘রাজাকারদের তালিকা’ শিরোনামে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর রংপুর জেলার ওপর তার দু’টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। Collaborators of Pakistan Army শিরোনামে তার আরেকটি গ্রন্থ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রোপটে ব্যক্তির অবস্থান শীর্ষক তার একটি গ্রন্থ বেশ আলোচিত হয়েছে। আরেফিন চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন তথ্য সংগ্রহকারী।



৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×