আজ অর্থীর গায়ে হলুদ কাল বিয়ে । বিয়েটা
অনেক ধুম ধাম করেই হচ্ছে । বাড়ির সবাই
আনন্দ করছে শুধু মাত্র অর্থী ছাঁড়া কারণ
বিয়েটা ওর অমতে হচ্ছে । তবুও ইচ্ছে করেই
বিয়েতে রাজী হয়ে যায়...
অর্থী খুব বেশি রাগি আর জিদও রয়েছে
সম্পূর্ণ, নিজে যা চায় তাই আদায় করে নেয় । এর জন্যই আকাশের সাথে বিয়ের
জন্য সম্মতি দেয় । তবে এই সম্মতিটা
শুধুমাত্র একজনকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য...
সেই একজন হচ্ছে কাব্য ! হ্যা অর্থীর
কাব্য । অর্থী খুব বেশি ভালোবাসে
ছেলেটাকে । দেখতে শুনতে ছেলেটা খুব
ভদ্র আর নামাজী । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পড়ে জামাতের সাথে তবে একটা সময়
খুব বেশি নেশার ন্যায় ধ্বংসের মধ্য চলে গিয়েছিলো আর সেখান থেকে অর্থী
কাব্যকে নতুন করে বাঁচার জন্য হাজার কারণ
দেখিয়েছে । প্রায় তিন বছর ধরে
নেশা করেছে কাব্য । আগে সারাক্ষণ ঘুমের
সিরাপ খেয়ে পড়ে থাকতো ।
কাব্য এখন আট দশজন সাধারণ মানুষদের মত বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে তবে সব স্বপ্ন
যে মানুষের পূরোণ হয় না, এটাই বিধাতার
নিয়ম । ভালোবাসা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে
সুন্দর করা যায় । একমাত্র ভালোবাসাই
পারে মৃত্যু পথ যাত্রীকে, সুন্দর পৃথিবী
উপহার দিতে ।
কাব্য অর্থীকে নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসে
তবে অর্থীকে বুঝায় এগুলো সব ভালোবাসার
অভিনয় আর অর্থী রাগী হলেও কাব্যকে
নিজের মত করে ভালোবাসতো ।
সারাক্ষণ ওদের কথা বা ম্যসেজ দিয়ে
অনুভূতি প্রকাশ করতো । অর্থী চায়
সারাজীবন কাব্যর সাথে থাকতে কিন্তু
কাব্য ইচ্ছে করেই এবয়েট করতো ।
আসলে কাব্য হচ্ছে একজন মৃত্যু
পথযাত্রী । ঘুমের ঔষধ খেতে খেতে
ভিতরের সব নষ্ট করে ফেলেছে হয়তো
বেশি দিন বাঁচবে না, এরজন্যই কাব্য
সবসময় অর্থীকে এবয়েট করতো ।
কাব্য কখনোই অর্থীকে কষ্ট দিতে
চায়নি । সে চায়না অকালেই অর্থীর
জীবন নষ্ট হয়ে যাক ! যেকোনো সময়
কাব্য পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারে !
আর তাইতো নিজের সবচেয়ে কাছের,
তার ভালোবাসার মানুষকে আজ
অন্যর হাতে তুলে দিয়েছে কাব্য ।
দেখতে দেখতে সেই শুভক্ষনটি
চলে এসেছে । কাব্য যেমন চেয়েছে ঠিক
তেমন করেই বিয়েটা হচ্ছে ।
আর কিছুক্ষন পর অর্থী সবাইকে ছেঁড়ে
চলে যাবে এক নতুন ঠিকানায় ।
আকাশ ছেলে হিসেবে খুব ভালো,
ভালো একটা জব করে, বেতনও
অনেক, অর্থী অনেক সুখেই থাকবে...
আসলে ভালোবাসার চেয়ে ত্যাগ অনেক বড় !
অর্থী শুধু সুখে থাকবে এটাই চায় কাব্য...