somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ শুভ-অশুভ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ক্যাম্পাসে যেতে আজ বেশি দেরি হয়ে গেল ঘুমের জন্যে। অটো থেকে নেমেই দৌড়াতে দৌড়াতে ঠিক স্যারের পিছ পিছ ক্লাসে ঢুকলাম। বেঁচে গেলাম অল্পের জন্যে। আর দুই মিনিট দেরি করলে এই স্যার আর ক্লাসে ঢুকতে দিতেন না। পিছের দিকে জায়গা খালি পেয়ে বসে পড়লাম। সামনে থেকে বন্ধু শুভ পিছন ফিরে শুধু বললো, "এই ক্লাস শেষে ক্যাফেটেরিয়াতে যাস আমার সাথে। দরকারি কথা আছে।" বলেই আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সে সামনে ঘুরে গেল। তাকিয়ে দেখি স্যার আমার দিকে চশমার ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে আছে। তাই আর শুভকে ডাকতে গেলাম না। শুভ টা বরাবরই কেমন জানি একটু স্ক্রু ঢিলা টাইপের। যত রকম উদ্ভট উদ্ভট ভাবনা চিন্তা সব ওর মাথা থেকেই বের হয়। সেইগুলা কেমন আবার আধ্যাত্মিক টাইপের। আবার এইটাও ঠিক আমার ক্যাম্পাস লাইফের প্রথম আর সবথেকে কাছের বন্ধু শুভই। ছেলেটার বাড়ি এই শহরেই। কিন্তু আমাদের স্কুল আর কলেজ আলাদা হওয়ায় কেউ কাউকে আগে থেকে চিনতাম না। এইখানে চান্স পেয়ে আসার পর লোকাল হিসেবে প্রথমেই আমাকে পেয়ে ভাব জমিয়ে ফেলে। লোকাল ছেলে আরো আছে আমাদের ক্লাসে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমার সাথেই তার ভাবটা বেশি হয়। সাড়ে তিন বছরে বলতে গেলে আমরাই একজন আরেকজনের সবথেকে কাছের। তবে ছেলেটাকে ক্লাসের সবাই আধ পাগলা হিসেবে জানে। কারণ আর কিছুই না। মাঝে মাঝে তার মাথায় কত রকম আধ্যাত্মিক চিন্তা ভাবনা আসে আর তাই সে হুট করে আশেপাশে যাকে পায় তার সাথে শেয়ার করে। কেউ তার কথা শুনে হাসে কেউ আবার বিরক্ত হয়। আমি তার কথা শুনে শুধু মিটমিট করে হাসি কিন্তু তাকে উপহাস করিনা। আর তাই হয়তো আমাদের বন্ধুত্ব টা অন্য সবার থেকে বেশি। অবশ্য শুভর আধ্যাত্মিক কথা গুলো যে মাঝে মাঝে আমারো ভাল লাগেনা তা না। আধ্যাত্মিক ব্যাপারে টুকটাক কথা বার্তা আমারো বলতে ভাল লাগে। বলা যায় সময় কাটানো শুধু শুধু।

যাহোক, সকালের এই ক্লাসটার পরেই সকালের ব্রেক। স্যারও আজকে কি একটা কাজ আছে বলে আগে আগে ক্লাস শেষ করে দিলেন। আমি আর শুভ চলে গেলাম ক্যাফেটেরিতে। দুইজনের জন্যে দুইটা করে শামুচা আর এক কাপ করে কফি নিয়ে আমরা বসলাম ক্যাফেটেরিয়ার বাইরের সাইডে চেয়ার নিয়ে গাছের নিচে ছায়ায়। বললাম শুভকে, "কি তোর দরকারি কথা বল?"
"বলছি দাঁড়া।" মুখের মধ্যে শামুচার একটা কামড় দিয়ে এক চুমুক কফি নিল মুখে। সেইটা আস্তে আস্তে শেষ করে আমাকে বললো, "তোকে সব বলবো। কিন্তু আমার কথা শুনে হাসতে পারবি না, আর বিশ্বাস করতে হবে সব।"
আমি আন্দাজ করলাম আবার কোনো আধ্যাত্মিক আবিষ্কারের কথা শুনাবে মনে হয় আমাকে। ওর দরকারি কথার লেভেল চিন্তা করে মনে মনে একটু বিরক্ত হলেও তার সামনে সেইটা প্রকাশ করলাম না। বললাম, "কি? আবার কোনো আধ্যাত্মিক কিছু আবিষ্কার করেছিস নাকি?" আমার কথাতে কিছুটা টিটকারির আভাস পেয়ে সে একটু ঠান্ডা চোখে তাকাল আমার দিকে। তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে কেমন আনমনে বলল, "তুই যদি ব্যাপারটা নিয়ে ফান মনে করিস তাহলে তোকে আমার বলার ইচ্ছা নাই।" শুভর কথার মধ্যে কেমন একটা ঠান্ডা আভাস পেয়ে আমি একটু সিরিয়াস হলাম। এই ছেলেটা শুধু আমার সাথেই এইগুলা মন খুলে শেয়ার করতে পারে। আর কারোর সাথে পারেনা। বললাম, “আচ্ছা বল কি বলবি। বিশ্বাস করবো আমি।“
"ইয়ার্কি করবি নাতো?" শুভর প্রশ্ন।
"নারে ভাই করবো না। বল।" আমার উত্তর।
আমার দিকে মুখ আগিয়ে এনে গলা কিছুটা নিচু করে জিজ্ঞাসা করলো, "জ্বীনে বিশ্বাস করিস?"

আমি ওর দিকে তাকালাম। ওর চোখে মুখে কোনো মজা করার আভাস পেলাম না। কেমন একটা সিরিয়াসনেস কাজ করছে চোখে মুখে। বললাম, "মুসলিম হিসেবে করি বিশ্বাস। কারণ পবিত্র কুরআনেই জ্বিনের অস্তিত্ব নিয়ে বলা আছে।" শুনে শুভর চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। বলল, "তাহলে আমি যা বলবো আশা করি সব বিশ্বাস করবি।" আমি মনে মনে ভাবলাম জ্বীনে আমি বিশ্বাস করি ঠিকি কিন্তু এই ছেলেটা এখন কি কাহিনী বলবে তার নাই ঠিক। ওর কাহিনী বিশ্বাস হবে কিনা কে জানে! বললাম, "আচ্ছা বল শুনি।"
শামুচার শেষ টুকরা টা মুখে দিয়ে কফির শেষ চুমুকটা খেয়ে সে শুরু করলো। "তোকে আমার আম্মুর কথা তো বলেছি আগে। আমি আর আম্মু থাকি শুধু আমাদের ফ্লোরটাতে। একটা মাত্র বাথরুম আমাদের। সেইখানে আমার যেতে গেলে আম্মুর ঘরের সামনে দিয়ে যেতে হয়। তো আমার আম্মুর অনেকদিন ধরে একটা প্রবলেম আছে যে সে হুট করে আমার মতোন সাইজের ফিগারের ছায়া মতোন হেঁটে যেতে দেখে মাঝে মাঝে। আমাকে বললে আমি ভেবেছি তার চোখের ভুল। কিন্তু সে নাকি এইটা প্রায়ই দেখে। তো ছায়া মতোন দেখে সেও বেশি পাত্তা দেয়নি। কিন্তু গত পরশু সে একদম আমাকে দেখে। আস্তো আমি। একদম স্পষ্ট। আমি নাকি তার দিকে একবার তাকিয়েছিলামও। আম্মু ভেবেছিল যে আমি বাথরুমে যাচ্ছি। কিন্তু অনেকক্ষণ কোনো সারা শব্দ না পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখে বাথরুমে কেউ নেই। তারপর আমার ঘরের সামনে এসে দেখে আমি ঘরে। আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বললাম যে আমি যাইনি ঐদিকে অনেকক্ষণ। তবে আম্মু বেশ সাহসী। সে ভয় পায়নি। আমিও শুনে ভাবলাম হয়তো এইটাও চোখের ভুল। কিন্তু সবথেকে বেশি খারাপ টা ঘটলো আমার সাথে। গতকাল। আমি সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে একটু রেস্ট নেয়ার জন্যে ঘরের দরজা আটকে বিছানার দিকে যাই। হঠাৎ ঘুরে দেখি আমার দরজা আটকেনি। মানে ছিটকানি খোলা। আমি ভাবলাম হয়তো ঠিকমতো লাগেনি আমি খেয়াল করিনি। আবার ছিটকানি লাগালাম এইবার ভাল করে চেকও করলাম। বিছানায় এসে বসার পর তাকিয়ে দেখি ছিটকানি শুধুই খোলা না, পুরো দরজা মেলে দেয়া খুলে। আমি দরজা আটকে বিছানার কাছে যেতে যেতে পুরো দরজা ছিটকানি সহ খুলে গেল কোনো রকম শব্দ না করে এইটা সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার। আমার একটু খটকা লাগল। আমি দরজার বাইরে গিয়ে বাইরে থেকে দরজাটা টেনে লাগাতে গেলাম। তখনি আসল ঘটনা টা ঘটল। ভিতর থেকে কে জানি দরজা টেনে ধরতে থাকলো। লাগাতে দিবেনা। আমি উকি দিয়ে চেক করলাম দরজার ঐপাশে কাউকেই দেখা যায়না। দরজার সাথে কোনো কিছু বেঁধে রাখাও নেই। ঠিক একটা মানুষের মতো কেউ দরজা টেনে ধরছে ভিতর থেকে। আমাকে বাইরে থেকে লাগাতে দিবেনা। আমি সব চেক করে আবারো চেষ্টা করলাম। কিন্তু আবারো দরজা টেনে ধরলো ভিতর থেকে। তারপর আমি এইপাশ থেকে হঠাৎ করে দরজাটা ছেড়ে দিলাম। তারপর আমার কানের পাশ থেকে একটা শীতল হাওয়া ঘরের ভিতর থেকে বাইরের দিকে বের হয়ে গেল। আমার ঘরে তো আগে থেকে শীতল হাওয়া থাকার কথা না। আমাদের কোনো এসি ও নাই। বরং বাইরে ঠান্ডা ছিল। কাল সারা রাত ঘুমাইনি জানিস? আম্মুকেও বলিনি ভয় পেতে পারে তাই।"

এতোগুলা কথা বলে শুভ থামল। আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিনা। মনে মনে কিছুটা হাসিও পাচ্ছে। একটু গলা পরিষ্কার করে বললাম, "দেখ শুভ, মুসলিম হিসেবে আমি জ্বিন বিশ্বাস করি। এমনকি আমি এইটাও জানি জ্বিন জাতি আমাদের মাঝেই বাস করে। তাদের মধ্যে ভাল খারাপ আছে। যারা ভাল তারা আল্লাহ্‌-র ইবাদত করে, যারা খারাপ তারা মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয় অহেতুক হুট করে কেউ এসে তোকে বা আন্টিকে ভয় দেখানোর কোনো মানে নাই। তুই তোদের বাড়িতে অনেক বছর ধরেই বাস করিস। সেইখানে যদি কিছু থাকতো তাহলে আরো আগেই তুই টের পেতিস। কিন্তু এতোদিন তুই কিছুই দেখিসনি টেরও পাসনি। তাহলে এখন হঠাৎ করে এরকম করতে আসবে কেন কোনো খারাপ জ্বিন থাকলেও?"

আমার কথা শুনে শুভ কেমন হতাশ হলো। বললো, "আমি জানতাম তুই বিশ্বাস করবি না। তারপরেও তোকে বললাম।"
"দেখ ব্যাপারটা তেমন না।" আমি সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলাম। "আসলে এইগুলা নিজের চোখে না দেখলে কেউই বিশ্বাস করবে না। বা তোর চোখের ভুল বা মনের ভুল বলে উড়িয়ে দিবে"।

"তুই কোনটা করবি?" প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল শুভ। কিন্তু আমি কোনো উত্তর দিতে পারলাম না। শুভ ব্যাগ কাঁধে নিয়ে উঠে পড়ল। বললো, "কাল সারারাত কাউকে কিছু না বলে আমার কেমন লেগেছে শুধু আমি জানি। আমি ভেবেছিলাম তোকে বললে তুই বুঝবি। কিন্তু তুইও সবার মতোনই আমাকে আধ পাগল ভাবিস আসলে।" আমি ওকে থামানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু সে আমাকে সরিয়ে দিয়ে ক্যাম্পাসের গেটের দিকে চলে গেল। আমি ওকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "কোথায় যাচ্ছিস শুভ?" ছোট্ট করে উত্তর দিল, "বাড়িতে!"

আমি কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। এখনো দুইটা ক্লাস আছে আজকে। না করেই চলে গেল! কাঁধ ঝাঁকিয়ে ব্যপারটা উড়িয়ে দেবার মতোন করে আমি ক্লাসে চলে গেলাম। ক্লাস করে বিকেলে টিউশন করিয়ে বাড়ি ফিরে আবার শুভর কথা মনে পড়লো। সারাদিনের ব্যস্ততায় ওর আধ্যাত্মিক কথাগুলো প্রায় ভুলেই গেছিলাম। রাত প্রায় নয়টা বাজে। ওকে ফোন করলাম। কিন্তু ধরলো না। মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ দিল শুধু, "আমি ঠিক আছি। ফোন দিস না। একটু একা থাকতে দে।"

আশ্বস্ত হলাম ওর মেসেজটা দেখে। একা থাকতে চাইছে যখন একটু একা থাকুক। এই ভেবে আমি আমার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। রাতে আমার ঘুমানোর অভ্যাস একটু দেরিতে। কিন্তু আজ কেন জানি এগারোটার দিকেই ঘুম চলে এলো। ফোনে নেট চালুই ছিল আর আমার ঘুম বরাবরই খুব হালকা। মেসেঞ্জারের একটা টুং করে শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। ফোন হাতে নিয়ে দেখি শুভ মেসেজ দিয়েছে। "দোস্ত। আমি ছাদে এসেছিলাম ভাল লাগছিলনা বলে। আমার মনে হচ্ছিল ছাদে কেউ আমার সামনে আস্তে আস্তে হাঁটছে। আমি অনেকক্ষণ চুপ করে বসে আছি। অনেক সাহস মনে এনে আমি যখন ছাদের সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম দেখি সিঁড়ি ঘরের দরজাটা কেউ ভিতর থেকে আঁটকে দিয়েছে। আমি টেরও পাইনি কে কখন আঁটকে দিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে কাল যে দরজা ধরে টেনেছিল আজ সেই ছাঁদে এসেছে আমাকে একলা দেখে। সেই আঁটকে দিয়েছে। আমি ফোন করে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছি দোস্ত। আম্মুকে ফোন দিলে আমার কথা বলতে হবে। আর আম্মুরও টেনশনে খারাপ কিছু হতে পারে। তুই একটু আসবি আমার বাসায়? এসে ছাঁদে এসে আমাকে নিয়ে যা দোস্ত।" মেসেজটা পড়ে ঘুমের ঘোরে দুই মিনিট টুন হয়ে থাকলাম। এখন বাসা থেকে কি বলে বের হই! শুভকে কল দিলাম। সাথে সাথ কেটে দিল। আবার মেসেজ দিল, "দোস্ত প্লিজ আমাকে কথা বলাস না। আমার মনে হচ্ছে আমি কথা বললেই আমার সামনে যে আছে সে ছুটে এসে আমার গলা চেপে ধরবে।" আমি সাথে সাথে রিপ্লাই দিলাম, "দোস্ত তুই অপেক্ষা কর আমি এখুনি আসছি সাইকেল নিয়ে।" মেসেজটা দিয়ে আর অপেক্ষা করিনি। আব্বু আম্মুকে বললাম, "শুভর বাসায় যাচ্ছি। আর্জেন্ট দরকার।" শুভর কথা শুনে আমাকে আর কিছু বলেনি আব্বু আম্মু। আমি সাইকেল নিয়ে টান দিলাম আর আল্লাহ্ আল্লাহ্ করতে থাকলাম।

শুভর বাসার সামনে মানুষের ভীড় দেখেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠলো। ভীড় ঠেলে ঢুঁকে দেখি বাসার সামনে শুভর নিথর দেহটা পড়ে আছে মাটিতে। পাশে শুভর মা গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি করছে। পাশ থেকে একজন বললো, "এই বয়সে ছেলে মেয়েদের যে মনের মধ্যে কি হয় কে জানে! এইভাবে ছাঁদ থেকে কেউ পড়ে যায়? ওতো ছোট বাচ্চা না। নিশ্চয় কোনো কারনে সুইসাইড করেছে।" আমার কানে আর কিছু ঢুকলো না। শুভর দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ দুটো এখনো খোলা। যেন আমার দিকে তাকিয়ে বলতে চাইছে "এতো দেরি করে ফেললি দোস্ত!" ফোনটা বের করে হাতে নিয়ে দেখি শুভর আরো কয়েকটা মেসেজ। সবগুলাতে লেখা "দোস্ত জলদি আয়।" "দোস্ত কতো দেরি করবি আর!" "দোস্ত আমাকে ও মেরে ফেলবে হয়তো।" "দোস্ত আমি ওকে আবছা আবছা দেখতে পাচ্ছি। ও হুবহু দেখতে আমার মতো। আমি চিৎকার করতে পারছিনা দোস্ত। আমার গলা থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছেনা। কোনো একটা কারণে আমার ফোন থেকে কোনো কল যাচ্ছেনা। আমি আম্মুকে কল করতে পারছিনা। আমি কাউকে কল করতে পারছিনা। দোস্ত, ও আমার কিছু একটা করবে। তাই আমাকে কাউকে কল করতে দিচ্ছেনা।"

এইটাই ছিল শুভর শেষ মেসেজ। আমি একবার ওদের ছাঁদের দিকে তাকালাম। একটা শুভ আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি একবার ছাঁদের দিকে আর একবার নিচে শুভর মৃতদেহের দিকে তাকালাম। ছাঁদের শুভকে আর কেউ দেখতে পাচ্ছে বলে মনে হয়না। শেষবার ছাঁদের দিকে তাকিয়ে পৈশাচিক ভাবে হাসতে থাকা অশুভর দিকে তাকিয়ে আমি ঐখানেই পড়ে যাই........
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×