স্বাধীনতার ৪০ বছর চলছে। আমাদের মাঝে থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা চলেগেছে। অনেকে এখনও আমাদের মাঝে বেঁচে থেকে অনুপ্রেরনা যোগাচ্ছে। আমার আব্বুও একজন মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু সনদ পত্র নাই। সে যাই হোক। আমাদের জাতিও সাত বীরের সম্ভবত ৫ জনের পারিবারিক অবস্হা ভাল না। হাজারও মুক্তিযোদ্ধা নির্মম দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত। যদিও অনেককে ভাতা দেওয়া হয়। তরপরও এখানে আছে লুটপাট আর অপ্রতাশিত দলীয় করন।
অনেক সময় দেখি অনেক মুক্তিযোদ্ধা বলছে "১৯৭১ দেশ স্বধীন করলাম কিন্তু এই দেশ আমাকে কি দিল আমি যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলেনা" এখন আবার সরকার মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনী দেরও কোটায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দিচ্ছে।
শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধাদের এই ধরনের কথা আর সরকারের কোটা ভিত্তিক ভর্তির ক্ষেত্রে আমার প্রবল আপত্তি আছে।
কারন এর জন্য মেধা অবমুল্যায়িত হচ্ছে। আর আমি মনে করি প্রায় সব মুক্তিযোদ্ধাই যুদ্ধ করেছে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, নিজের পাড়ার জন্য, নিজের গ্রামের জন্য। তাদের এই ভালবাসার যোগফলই হচ্ছে দেশ প্রেম। এই ব্যাপারে হয়তো আপনারাও একমত হবেন।
কিন্তু আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপি রা যদি কোটি কোটি টাকার শুল্ক না দিয়ে গাড়ি কিনতে পারে, তাদের যদি ফ্লাট দেওয়া হয়, তাদের যদি বিশ্বকাপ উদ্ভধনী অনুষ্ঠানের মত একটা অনুষ্ঠানের ১২০০০ টিকেট দেওয়া হয়, তাদের যদি সব কিছুতেই এতো সুবিধা দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের সরকারের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আরো অনেক বেশী কিছু পায়।
অবশ্যই বেশী পায়......................................................
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নামের রিলিপ দিয়ে তাদের অবদানকে ভিক্ষুকের কাতারে না নামালেও হয়।
যদি সম্মাননা দেওয়া হয় তাহলে সে ভাবেই দেওয়া উচিত
অনেকের এই ব্যাপারে ভিন্নমত থাকতে পারে কিন্ত এটা আমার নিজের মত