বিয়ের পর দ্বিতীয় বারের মত বাসা পরিবর্তণ করলাম।
বিয়ের পূর্ব হতেই আমি সাবলেটে ভাড়া ছিলাম, কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারলাম, এই ঘরে বেশি দিন থাকা যাবে না। আমার একার জন্য ঠিক থাকলেও আমাদের দুজনের জন্য খুবই ছোট এবং নতুন মেহমান আসলে এখানে টেকাই যাবে না। এই কথা ভেবে পাশেই নতুন একটা ৪তলা বাড়ীর নিচ তলায় ভাড়া একটি ২-রুমের ছোট ফ্লাট ভাড়া নিলাম। এখানে আসার ২ পরেই আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আমার ছেলে আরেফিন জারিফ (আহনাফ) আসলো।
আহনাফ যখন হামাগুড়ি দিতে শিখলো তখনি বুঝতে পারছিলাম, এই ঘরে আমার আর বেশী দিন থাকা হবে না। তখন হতেই নতুন বাসা খুজতে ছিলাম। অবশেষে গতমাসে অনেকটাই মনমত ফ্লাটের সন্ধান পেলাম। ফ্লাটটি ৩-তলায়, উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে। দুপুরের পর হতেই সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেয়া পাওয়া যায়। গতকাল ১লা ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ এই বাসায় উঠলাম। গতকাল আমার ছেলের কোন পরিবর্তণ বুঝতে না পারলেও আজ সকাল হতেই বুঝতে পারছি, বাসাটি আমার ছেলের পছন্দ হয়েছে।
আমাকে ১২টার দিকে কল করে আমার ছেলের অনুভূতির কথা জানানো হয়েছে। সে জানালা ধরে আত্নচিৎকারের মাধ্যমে তার আনন্দের কথা জানান দিচ্ছে। বাইরে দূরে কিছু দেখা পেলেই সে তার মাকে ডেকে দেখাচ্ছে, চিৎকার করে তাদেরকে ডাকছে, মাথা ঝাকাচ্ছে।
এই আনন্দের পুরো কৃতিত্ব তার মায়ের। কারণ তার মা তার কথা চিন্তা করেই এমন একটি ফ্লাট খুজে বের করেছে, যেখানে সে পর্যাপ্ত পরিমানে আলো-বাতাস পাবে, দুপুরের রোদ পাবে, আর তিনতলার উত্তর-পশ্চিম পাশে কোন বিল্ডিং না থাকায় বাতাসের কোন কমতি নেই।
আর পুরোটাই আল্লাহর দান, তার রহমত ছাড়া আমার সামর্থের মধ্যে এমন একটা ফ্লাট পেতাম না।