গোমুখ :
গোমুখ একটি সুন্দর জায়গা যা গঙ্গোত্রীর হিমবাহের অন্তিম চরনে অবস্থিত। এটি উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশি জেলায় অবস্থিত। এই স্থানটি শিবলিংঙ্গ পিকের কাছে অবস্থিত, যা চ্যালেঞ্জিং ক্লাইম্বিং ট্রেকের জন্য পরিচিত। ভাগীরথী নদী,গঙ্গা নদীর একটি সহায়ক উৎস, যা গোমুখ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই স্থানটি তোপোবন মেডো অর্থাৎ ঘাসভূমির কাছাকাছি অবস্থিত এবং দর্শকরা এখানে প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্যের অবগাহন করতে পারে।
গোমুখে যা দেখার :
গোমুখে যা যা দেখার আছে তার মধ্যে গঙ্গোত্রী হিমবাহ প্রধান। এটি হিমালয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হিমবাহগুলির মধ্যে একটি এবং এটি শিবলিং, থালিয়া সাগর, মেরু এবং ভাগীরথী তৃতীয় নামক তুষারের পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত।
এই গ্লাসিয়ার টার্মিনাল পয়েন্ট গরুর মুখের মত দেখতে লাগে, এ কারণে এই জায়গাটি গোমুখ নামে পরিচিত। এই স্থান পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় ট্র্যাকিং রুট গঙ্গোত্রি থেকে পথটি শুরু হয়ে গিলা পর্বত ও চিরবাসার মধ্য দিয়ে যায়। এই রাস্তা ভূমিধস এবং কঠিন ঢালের সমন্বয়ে একটি চ্যালেঞ্জিং ট্রেকিং রুট। নন্দনবন ও তপবন জন্য ট্রেকিং পথও গোমুখ থেকে শুরু হয়।
নন্দনবন ও তপবন ট্রেক
গঙ্গোত্রী থেকে 6 কিলোমিটার দূরে নন্দনবন ও তপবন গঙ্গোত্রী হিমবাহের বিপরীতে অবস্থিত। নন্দনবন থেকে ভাগীরথী, কেদার ডোম,থলয়সাগর এবং সুদর্শন পীকগুলির দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এই জায়গা কিছু পীক ট্রেক করতে যেমন সাতোপন্ত, খরচাকুন্ড, কালিন্দীকল, মেরু এবং কেদার ডোম পিক গুলির বেস ক্যাম্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ট্রেকাররা ভাগীরথী নদী বরাবর ট্রেক করতে করতে গোমুখ দেখতে পারেন। এটা সবচেয়ে বিখ্যাত ট্রেকিং সারকিট যেখানে আপনি ট্রেকিং ছাড়াও, পর্বত আরোহণ, বোল্ডার হপ্পিং, হিমবাহ ট্রেক ছাড়াও রক ক্লাইম্বিং করতে পারেন। ট্রেকিং য়ের রাস্তা পাইন,দেবদারু গাছ পরিবেশ্টিত হয়ে চিরবাসা ও ভাজবাসা পৌছেচে। নন্দনবন ট্র্যাকিং রাস্তা পাহাড়, পাথুরে এলাকা হয়ে পরিশেষে ঘাসের সুবিশাল সমতল এলাকা্য শেষ হয়।
কিভাবে যেতে হবে
পর্যটকরা দহরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে পারবেন। এখানে পৌঁছানোর জন্য, নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হরীদ্বার, যা গঙ্গোত্রীর থেকে মাত্র 230 কিলোমিটার। কলকাতা থেকে দুন এক্সপ্রেস বা উপাসনা এক্সপ্রেসে হরীদ্বার যাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২