somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কান্ডারি অথর্ব
আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

দেউড়ি

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





প্রাক কথনঃ


দেউড়ি অনেকটা পরীক্ষামূলক একটি উপন্যাস লেখার অপচেষ্টা মাত্র। এটি আমার লেখা প্রথম কোন বড় উপন্যাস। তবে ব্লগে সংক্ষিপ্ত আকারেই প্রকাশ করছি। কিছুদিন আগে পুরোটা প্রকাশ করেছিলাম কিন্তু পরে ভাবলাম এত বড় উপন্যাস পড়ে অনেকেই হয়তবা বিরক্ত হতে পারেন তাই পুনরায় এটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করছি। আমাকে এর জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেই খুশি হব। এই উপন্যাসটিতে আমি মূলত মানুষের উপর শয়তানের যে প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা এবং অবশেষে স্রষ্টার কাছেই তার মুখাপেক্ষী হতে হওয়া সেই ধারনাটিকেই উপস্থাপন করার হয়ত ব্যর্থ চেষ্টা করেছি মাত্র। এই উপন্যাসটির প্রতিটি চরিত্র ও কাহিনী একান্তই কাল্পনিক তবে বাস্তবতার সাথে এই উপন্যাসের কোন মিল খোঁজা ঠিক হবেনা।


উপন্যাসটি উৎসর্গ করছি আমার ভীষণ প্রিয় একজন ব্লগার হাসান মাহবুব ভাইকে যার প্রতিটি লেখা আমাকে শুধু ভীষণ ভাবে মুগ্ধই করেনা অনুপ্রেরনা যোগায় সুন্দর, সাবলীল ও গঠনমূলক ব্লগিং এর জন্য।



বাবা আত্মহত্যা করার পর একরাতের আঁধারে দেউড়িকে জমিদারের হুকুমে তার পাইক পেয়াদারা ঘর থেকে উঠিয়ে এনে রাজদরবারের গোপন কুঠুরিতে বন্দী করে। তার প্রতি চলতে থাকে অমানবিক দৈহিক নির্যাতন। লক্ষ্য একটাই সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত মনের শয়তানি বাসনা পূর্ণ করা। বন্দী থাকাকালীন দেউড়ির সঙ্গে দেখা করতে আসে স্বয়ং শয়তান। শয়তান দেউড়িকে এই প্রচন্ড বিপদে শান্ত থাকা এবং নিজেকে সংহত রাখার পরামর্শ দেয়।

সে দেউড়িকে বলে, “এখন দুঃখ বা কান্নাকাটি করার সময় নয় দেউড়ি, তোমাকে তোমার পরবর্তী কর্তব্য নির্ধারণ করতে হবে দ্রুত। এমন কিছু কর যাতে তোমার মৃত বাবার আত্মা শান্তি পায়, তোমার প্রাথমিক কর্তব্য হল তোমার বাবার করে যাওয়া কর্মগুলোকে প্রতিষ্ঠিত রুপদান করা, সেই পথ যতই শ্বাপদসংকুলই হোক না কেন, যেন তুমি তোমার পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে পারো এবং তার কর্মের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারো। তুমি বরং পালিয়ে যাও, এমন কোন জায়গায় পালাও যেখানে তুমি থাকবে সম্পুর্ণ সুরক্ষিত এবং নিরাপদ”। দেউড়ির ভয়ার্ত পাংশু মুখের দিকে তাকিয়ে শয়তান তাকে আশ্বাস দেয়, “ভয় পেওনা, সত্যের জয় হবেই, নাও আর দেরী নয়, পালাও দেউড়ি পালাও !! আর সময় নেই, তোমার বাবার কর্মগুলোকে কে তোমার প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে”।

দেউড়ি শয়তানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাত্রা শুরু করলো অনিশ্চিতের পথে। শুরু হল তাঁর দীর্ঘ, দূর্গম পথে একাকী চলা। পদে পদে বাধা বিপত্তির অন্ত নেই। উপরন্তু জমিদারের লোক কোনভাবেই তাকে ধরে ফেলার চেষ্টার ত্রুটি রাখছেনা ফলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হল দেউড়িকে। এইভাবে চলতে চলতে একদিন সে গৌরনদীর মোহনার ধারে এক ছোট্ট গ্রামে পৌঁছল।

“উফফ্‌, মাগো !! আর যে পারিনা ”দেউড়ির স্বরে ক্লান্তি।“দেখি কোন দয়ালু যদি আজকের রাতটুকু আমাকে আশ্রয় দেন”। সামনে একটি বড় বাড়ি দেখে দেউড়ি দরজায় কড়া নাড়ে।
এক সুসজ্জিত ধনী পুরুষ দরজা খুলে “কি চাই?” রুক্ষ গলায় জিজ্ঞেস করলেন তিনি।

“আমাকে আজকের রাতটুকু একটু আশ্রয় দেবেন? সামান্য কিছু খাবার, পানীয় জল আর আশ্রয়, কাল ভোর হলেই আমি চলে যাবো”- অনুনয় করে বলল দেউড়ি। “আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে? আপনি আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়েছেন? কেউ আশ্রয় দেবেনা আপনাকে, যান এই মুহুর্তে বিদেয় হোন”-এই বলে সশব্দে ধড়াম করে দেউড়ির মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলেন তিনি।

দেউড়ি বড় ক্লান্ত, শরীরে যেন তাঁর আর বিন্দুমাত্রও শক্তি বাকী নেই, চলার চেষ্টা করেও পারলনা সে আর, অদূরেই একটা বড় পাথরের ওপর প্রায় অর্ধচেতন অবস্থায় বসে পরলো সে। কথা বলার ও শক্তি নেই আর, গলা শুকিয়ে কাঠ। হঠাৎ‌ই পাশ থেকে কেউ মিষ্টি গলায় বলে উঠল “আপনি কি অসুস্থ বোধ করছেন? যদি মনে করেন আমার সঙ্গে আমার কুঁড়ে ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারেন, এই কাছেই আমার ঘর, আপনাকে দেখে বোধ হচ্ছে আপনার পেটে দীর্ঘ সময় খাবার পরেনি। আমি একজন গরীব জেলে, আমার কুটীরে যেতে যদি আপত্তি না থাকে তাহলে চলুন, আমি যা খাব আপনাকেও তাই দেব, খেয়ে একটু জিরিয়ে নেবেন”। এরপর সেই জেলের কুটীরে গিয়ে খাবার পানি পেয়ে প্রাণ বাঁচল দেউড়ির। জেলে যত্ন নিয়ে মাটিতেই বিছানা পেতে দিল। ক্লান্তিতে চোখ বুজে এলো দেউড়ির। ঘুমের অবচেতন মনে সে স্বপ্ন দেখছে তার অতীত নিয়ে।

দীঘল কালো লম্বা চুল ও নীল চোখের তরুণী সুনেত্রা। তার চেয়ে বয়সে দশ বছরের বড় প্রোফেসর হারডিংকে বিয়ে করেন। হারডিং ভারতীয় উপমহাদেশ আসেন ইংরেজ শাসন আমলে। তাকে স্থানীয় একটি সরকারী প্রশাসনের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। তিনি থাকতেন বরিশালের একটি বাড়িতে। এখানকার মাটির বুক চিড়ে দক্ষিনের বঙ্গোপসাগরের সাথে গিয়ে মিশেছে যে নদী তারই নাম গৌরনদী। আর এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা জেলা বরিশাল এর এই অঞ্চলটির নামকরন করা হয়েছে এই গৌরনদীর নামেই। সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা অপরূপ মায়ার রূপ দেখতে পাওয়া যায় পুরো বরিশাল জেলাকে ঘিরে। এখানে থেকেই তিনি ইংরেজ সরকারের দেয়া কাজের পরিচালনা করতেন ও এর পাশাপাশি তার গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতেন। এই বাড়ির কর্তা-কর্ত্রীর সন্তান ছিলো সুনেত্রা। পড়াশোনার প্রতি ছিলো তার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। হারডিং এর সাথে পরিচয় হওয়ার পর পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সে সময় মেয়েদের পড়াশোনার চল ছিল না, তবে তা নিষিদ্ধও ছিল না। হারডিং এর অনুরোধে তার বাবা তাকে পড়াশোনার অনুমতি দেন। তিনি তার আর্জি শোনার পর বলেছিলেন, মেয়েদের কাজ রান্নাবান্না, ঘর-সংসার করা। তবে তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়েই ঘরে থেকেই বিদ্যালয়ের পড়াশোনার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এভাবে পড়াশোনা করা ছিলো কষ্ট সাধ্য তাই শুরুর আগেই তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। হারডিং এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন সুনেত্রাকে বিয়ে করে তার পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব তিনিই বহন করবেন। অবশেষে অনেক বাঁধা বিপত্তি পেড়িয়ে তাদের বিয়ে হয়। সুনেত্রা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। চলতে থাকে তার পড়াশোনা। কিন্তু সামাজিক বাঁধার কারনে আবারও সেই সমস্যার উদ্ভব ঘটে। অবশ্য হারডিং এর সাথে বিয়ে হওয়ার পর তার পড়াশোনা পায় নতুন এক মাত্রা।

হারডিং বিধর্মী আর শত্রু পক্ষের একটি মেয়েকে বিয়ে করার দ্বায়ে ইংরেজদের রোষানলে পরে তার চাকরী হারান। ওদিকে সুনেত্রার বাবা সামাজিক ব্যাঞ্জনার কারনে তার মেয়েকে এক পর্যায়ে তার জামাই সহ ঘর হতে বের করে দিতে বাধ্য হন। শুরু হয় দুইজনের জন্য ভীষণ কষ্টকর একটি জীবনের। কিন্তু জীবনের এমন এক দুর্বিষহ সময়ে হারডিং এর দর্শন ছিলো, "পরিবারের সার্বিক দেখভাল একজন স্বামীর জন্য আবশ্যকীয় এবং এক্ষেত্রে তার একমাত্র মূলধন তার কর্ম। কিন্তু আমার মতে স্ত্রী যদি কেবল স্বামীর গৃহপরিচারিকা হয়ে থাকে, তার আনন্দ এবং উদ্যমগুলো ভাগাভাগি না করে বা বুঝতে না পারে, তার সাথে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করতে না পারে তাহলে ভালোবাসা চিরস্থায়ী হতে পারে না।"

হারডিং খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন, স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে কোথাও যেতে হলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারতেন না। হারডিং মনস্থির করে ফেলেন যে তিনি তার গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করবেন। যদি তার গবেষণা সফল হয় তবে তাদের আর আর্থিক সমস্যা থাকবেনা। অভাবের সংসারে ফিরে আসবে সুখের রঙিন দিন। তবে তার নরম মনের পক্ষে এতটা আর্থিক সমস্যার মাঝে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না। তার পুরোটা সময়ই চলে যেতো অর্থের সন্ধানে বিভিন্ন কায়িক শ্রমের মাঝে। একসময় তিনি একটি স্থানীয় মন্দিরের রক্ষনা বেক্ষনের কাজ পান।

এরই মাঝে জন্ম নেয় তাদের মেয়ে দেউড়ি ও ছেলে ঈশ্বর। কিন্তু ঈশ্বরের অমোঘ নিয়তি কেড়ে নেয় শিশু ঈশ্বরের প্রান কলেরায়। এই মৃত্যুটি হারডিং এর মনের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তিনি ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন। এ সময়টা তার জন্য খুব ব্যস্ততারও ছিলো। একদিকে সংসার চালানোর জন্য কাজের সন্ধান ও অন্যদিকে তার গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। তাকে সাহায্য করার জন্য ছিলেন পাশে তার স্ত্রী সুনেত্রা। এরই মাঝে সুনেত্রা অনেকটা শিক্ষিত হয়ে উঠতে থাকেন ধীরে ধীরে। তার স্বামীর গবেষণার কাজে নানা ভাবে সাহায্য করতে থাকেন।

হারডিং মনে করতেন দর্শনের কেন্দ্রীয় বিষয় হচ্ছে অস্তিত্ব এবং জ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক। তার সবচেয়ে বড় নির্বুদ্ধিতার পরিচয় হলো তিনি এমন একটি দার্শনিক আদর্শিকতার জন্ম দিয়েছিলেন যা বস্তু জগতের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে। শুরু হয় তার কবিতা লেখা। তার কবিতার প্রথমে দেখা যায়, হারডিং পৃথিবীর দুঃখ-কষ্ট এবং পীড়ন আর সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু কামনা করছেন। এর সাথে তার ব্যক্তি জীবনও মিলে যায়, কারণ সে সময় তিনি মৃত্যুই চাচ্ছিলেন। কিন্তু এক সময় ভাষা ব্যঙ্গাত্মক রূপ নেয়। দেখা যায়, তার প্রার্থনা ঈশ্বর শুনেছেন, তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুর পর তার আত্মা স্বর্গে আরোহন করছে। পথে তিনি আরও অনেক বিশ্বের সন্ধান পান, কিন্তু স্বর্গই মূল লক্ষ্য হওয়ায় ভ্রুক্ষেপ করেননা সেদিকে। অবশেষে স্বর্গে পৌঁছালে পর পরী ও ঈশ্বরের বার্তাবাহকেরা তাকে গান গেয়ে শোনায়।

সেই গান তার কাছে বড় একঘেয়ে লাগে। গানটি আরও কিছুক্ষণ শোনার পর তিনি পরীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, গানটি তার নিজেরই রচিত। এই প্রেক্ষিতে হারডিং ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে চান এবং পরীরা তাকে সে পথে নিয়ে যায়। সাক্ষাতে ঈশ্বর তাকে জিজ্ঞেস করেন গানটি তার ভাল লেগেছে কিনা। হারডিং নীরব থাকেন। ঈশ্বর বলতে উৎসাহ দিলে তিনি জনান, তার এখানকার গানগুলো পৃথিবীর মত ভাল লাগছে না। উত্তরে ঈশ্বর বলেন, সে স্বর্গে এসে গান লেখা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ এখানে তার সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে গেছে, তার গান এবং সুরের মূল অনুপ্রেরণা ছিল মানুষের বেদনা। সেই বেদনাই যখন নেই তখন গানও নেই। কেবল শেষ বিচার বলে কিছু একটা আছে বলেই সে ঈশ্বরের আদেশে এই গানটি লিখেছে। তিনি বোঝান যে, পৃথিবীতে বিরাজমান বেদনাই আমাদের মানবীয় অনুভূতির মূল উপজীব্য। এসব শোনার পর হারডিং মানব জীবনের আয়রনি বুঝতে পারেন। তার কবিতার শেষ পংক্তিগুলো অনেকটা এমনঃ
ঘণ্টা খানেক পূর্বে তিনি বেদনামুক্তির আশায় মৃত্যু প্রার্থনা করছিলেন। অথচ স্বর্গে এসে সেই মানুষটিই পৃথিবীর বেদনা পুনরায় ফিরে পেতে আকুতি করে। হারডিং বহু কষ্টের পর কিছু গবেষণাপত্র দ্বার করানঃ

বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু বলতে পারে না। অতএব, একজন ধর্মীয় সংশয়বাদী বিশ্বাস করেন যে বিশ্বাস-অবিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত রুচির ব্যাপার এবং দু’টোই সমপরিমাণ গুরুত্বের দাবিদার। প্রোফেসর হারডিং এখানেই এই রুপকের অবতারনা করেন যে, “একজন সংশয়বাদী যদি বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে একই পাল্লায় মাপতে চান, তবে শয়তানের বিশ্বাসকেও সমপরিমাণ সম্মান দেখাতে হবে কারণ এটির অস্তিত্ব ঈশ্বরের অস্তিত্বের থেকে কোনক্রমেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়”। পরমাণু দেখা যায় না বলে তা নিয়ে কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই, তবে গণিত মেলানোর খাতিরে কিছুটা আলোচনা করা যেতে পারে। এর বদলে তিনি গনিত ও শক্তির আদান-প্রদাণের মাধ্যমে সব ব্যাখ্যা করতে চাইতেন। তার এই দর্শনের নাম তিনি রেখেছিলেন তার প্রান প্রিয় মেয়ের নামে “ দেউড়ি তত্ত্ব “।

তারপর সেগুলো পাঠিয়ে দেন ব্রিটিশ সায়েন্স একাডেমীতে। তার গবেষণাপত্রগুলো অনেক দীর্ঘ হওয়ায় সবাই সেগুলো পড়ার ধৈর্য্য রাখল না। আর তাই তারা সেসব তত্ত্বকে অবান্তর ও ভিত্তিহীন বলে তার কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। হারডিং তার গবেষণা ক্ষেত্র নিয়ে সব সময়ই খুব ওয়াকিবহাল থাকতেন। সে কারও প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন হয়ে পরতেন, সব সময় নিখুঁত হতে চাইতেন।

এসব বৈজ্ঞানিক বিতর্কের কারণে হারডিং ভাবতে শুরু করেন তার কাজ খুব কম মূল্য পাচ্ছে। দেউড়ির বিরোধিতা করে ব্রিটিশ সায়েন্স একাডেমীর মন্তব্যের জবাবে তিনি লিখেছিলেন, "আমার গবেষণাপত্র প্রমাণ করে যে আমার লেখা সবাই ভুল বুঝছে। অবশ্য এই ভেবে আমি সন্তুষ্ট যে, এটা প্রমাণ করে আমার লেখা অন্তত কেউ পড়তে শুরু করেছে।" এর মাঝে ইংরেজদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিয়ে তার অসন্তুষ্টি বেড়েই চলে। এটি অবশ্যই তার ও ভারতীয় উপমহাদেশের প্রতি সুবিচার ছিল না। এসব নিয়ে একসময় আন্দোলনে জড়িয়ে পরেন যার কারনে তার প্রচণ্ড মানসিক ধকল যায়। হারডিং মানসিক ভারসাম্য হারাতে বসেন। পাশাপাশি মাঝে মাঝেই তার হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, বেশি কাজ করতে গিয়ে প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় ভুগেন।

তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এত ধিরস্থির একজন মানুষ হঠাৎ করেই এমন অসুস্থ হয়ে পরেন। খুব বেশি হতাশা এবং উদ্বিগ্নতায় ভোগা এবং খুব নরম মনের মানুষ হওয়ার কারণেই সম্ভবত তার উপর এই ঘটনাগুলো এতোটা প্রভাব ফেলেছিল।

একটি স্থানীয় মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে আবার এক রাতে মন্দির হতে একটি মূর্তি চুরি হলে তার উপর চুরির দ্বায় এসে পরে। মন্দিরের পুরোহিত ও স্থানীয় জমিদার তাকে চার মাসের জন্য কারাদণ্ড দেয়।

এসব ঘটনার পরই তার মধ্যে নিউরাস্থিনিয়া এবং চরম হতাশার লক্ষণ বাইপোলার ডিসঅর্ডার দেখা দিতে শুরু করে। তার জীবনের শান্তি এবং সুন্দরের দিন শেষ হয়ে আসে, হতাশা, অসন্তোষ এবং অস্থিরতা তাকে অধিকার করে নেয়।

এই অস্থিরতা এবং হতাশার মধ্যেই তার স্ত্রী সুনেত্রা তাদের মাত্র এগারো বছর বয়সের মেয়ে দেউড়িকে রেখে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগে মারা যান। আরও ভয়াবহ হচ্ছে, হারডিং এই মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী করতেন। তিনি মনে করতেন, রোগের ভয়াবহতা বুঝতে না পারা এবং অভাবের কারনে চিকিৎসা না করতে পারার কারণেই তার স্ত্রী মারা গেছে। এই মৃত্যু তার হতাশা ও মানসিক রোগে নতুন মাত্রা যোগ করে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। দিনদিন তার চোখের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে, এই সময় তার গবেষণাপত্র নিয়ে তার মেয়ে লেখায় সাহায্য করত যাতে তার চোখ অধিক পরিশ্রম থেকে রেহাই পায়।

তিনি চরম হতাশার রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেন। বাইপোলার ডিসঅর্ডারের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায়ই আনন্দের পর হঠাৎ তীব্র হতাশা নেমে আসে। এক মাসের মধ্যেই তিনি এমন হতাশা এবং কষ্টে ভুগতে শুরু করেছিলেন যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ম্যানিক তথা পাগলামির দশায় থাকেন তখন ভোরে ঘুম থেকে উঠে অনেক কাজ করেন, আর হতাশার দশা আসার সাথে সাথে তার মাঝে অবসাদ এবং ঘুম ঘুম ভাব নেমে আসে। এমনটি হলে তিনি কাজের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, সকাল সকাল তার ঘুমকাতর চোখ দেখা যায় এবং তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

স্বাস্থ্যের বিশেষ কোন উন্নতি না হওয়ার কারণে তিনি আবার সেই চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পরেন, নিজের বৈজ্ঞানিক কর্মদক্ষতা নিয়ে শংকিত হয়ে পরেন এবং সেই তাড়না থেকেই নিজেকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

এই সময়ে স্থানীয় জমিদারের কুনজর পরে তার মেয়ের উপর। সে দেউড়িকে বিয়ে করতে চায়। এতে করে তার মানসিক সমস্যা আরও কয়েকগুন বেড়ে যায় মেয়েকে রক্ষা করার দুশ্চিন্তার কারণে।

মৃত্যুর দিন তাকে খুব উৎফুল্ল দেখা গিয়েছিল। সেদিন তার মেয়ে প্রতিদিনের মত সকালে যখন বাড়ির পাশে দীঘিতে গোসল করতে যায় তখন হারডিং আত্মহত্যার কাজটি করেন। হারডিং এর মরদেহ মন্দিরের দেবী মূর্তির পায়ের কাছে পরে থাকতে দেখা যায় রক্তফেনা মুখে। তার মৃত্যুতে প্রচণ্ড আহত হয়েছিলো তার মেয়ে দেউড়ি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র উনিশ বছর।

অবিকল মায়ের মত দেখতেই হয়েছে মেয়েটি। সেই দীঘল কালো লম্বা চুল ও নীল চোখের তরুণী সুনেত্রা যেন শুয়ে আছে জীবনের সব ক্লান্তি নিয়ে জেলের সেই ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের মাটিতে পাতা বিছানায়। ভোরে ঘুম ভাঙলে জেলেকে ঘরে না পেয়ে সে বেড়িয়ে পরে তার বাবার আদর্শগুলোকে প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু তার বাবার রেখে যাওয়া কাজটি ছিলো অর্ধসমাপ্ত। তাই বাকি কাজগুলো নিয়ে দেউড়ি নিজেই গবেষণা শুরু করে। তার কাছে মনে হয় যে,

“আমার বাবা মারা যাবার পর আমার ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারিয়ে যায় এবং যে শয়তান আমাকে রাজদরবারের বন্দী কুঠি থেকে মুক্ত করে আলোকিত পৃথিবীর নতুন পথ দেখায় নির্যাতনের হাত থেকে বাচিয়ে, আমার সেই শয়তানের উপর বিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। রাতের পর রাত তারা গুনতাম আর ভাবতাম। চিন্তা করার অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। এমনকি ভুলভাবে চিন্তা করা একেবারে চিন্তা না করা থেকে উত্তম। শয়তান ঈশ্বরের মুখাপেক্ষী কিনা প্রশ্নটি গণিতের সর্বশক্তিমান ক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে, যা ব্যাখ্যা করতে পারে আমাদের বসবাসযোগ্য পৃথিবী। গণিত আসে কোন একটা নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য। পরমাণু দেখা যায় না বলে তা নিয়ে কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই, তবে গণিত মেলানোর খাতিরে কিছুটা আলোচনা করা যেতে পারে। সব পারমাণবিক কণার প্রকৃতি বর্ণনা করা যা প্রায়ই এমনকি কয়েক দশক ধরে বা শতাব্দী ধরে হয়ে এসেছে ! গনিত ও শক্তির আদান-প্রদাণের মাধ্যমে যার সব ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে”।

মানব সভ্যতা একটি সময়ের চক্র প্রকৃতিতে আবর্তিত। স্বর্গীয় এবং পার্থিব চক্রের সঙ্গে প্রথা এবং উৎসব খুব কাছাকাছি একটি সংযোগস্থল । ঈশ্বরকে খুসি করে স্বর্গ পেতে হলে তাঁর জন্য মানুষ উৎসর্গ প্রথার প্রচলন করতে হবে। মানুষকে হত্যা করে তাদের বুক কেটে হৃদপিণ্ড বের করে তাদের ঈশ্বরকে উপহার হিসেবে দিতে হবে। তবে এই উৎসর্গের ক্ষেত্রে শিশুরা উত্তম উৎসর্গ হিসেবে বিবেচিত। কারন শিশুদেরকে নির্দোষ হিসেবে বিশ্বাস করা যায়। পুরো বিশ্বের প্রধান তিনটি নকশাঃ নরক, আকাশ এবং পৃথিবী। নরককে যদি একটি গুহা মনে করা যায় তবে সেখানে আদালতের মধ্যে দিয়ে পৌঁছান সম্ভব। এর আধিপত্য মৃত্যুর এবং পচনের ঈশ্বরেরই এক স্বত্বা। শয়তান হল সেই স্বত্বা যার রয়েছে সূর্যের চোখ, সে আকাশ থেকে আধিপত্য বিস্তার করে। অন্যটি হল স্বর্গ যার আধিপত্য নিয়ে রয়েছেন স্বয়ং ঈশ্বর। যদি রাতের আকাশকে একটি জানালা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যে সমস্ত অপ্রাকৃতিক কার্যকলাপ প্রদর্শন করে তবে ঋতুভিত্তিক ধারাবাহিক গতি বর্ণনার উদঘাটনে দেখা যাবে যে, সব সম্ভাব্য বিশ্বগুলোতে রাতের আকাশের মিল রয়েছে।

কিন্তু দেউড়ির এসব প্রচার প্রচারনা সাধারন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে ভীষণ ভাবে। শয়তান অবশ্যই ঈশ্বরের মুখাপেক্ষী কারন এই বিশ্ব ভ্রমান্ডে যা কিছু সৃষ্টি রয়েছে সবই এক ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং শয়তানের সৃষ্টি তাঁর ব্যাতিক্রম কিছু নয়। শয়তানের যা কিছু শক্তি রয়েছে সবই ঈশ্বর তাকে তাঁর সৃষ্ট মানুষ জাতির উপর ঈমানের পরীক্ষার জন্য দান করেছেন। একদিন মহাপ্রলয়ের পর শয়তানেরও ধ্বংস হবে এবং তাকেও তাঁর কৃত কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।

আইনসভার আইনের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয় এ ধরণের ধর্মীয় বিতর্কতা মূলক গবেষণা প্রচার করার দ্বায়ে। পাশাপাশি এসব তথ্যের পান্ডুলিপি যা সাধারন মানুষের ধর্মীয় অনুভুতির উপর আঘাত হানে সেগুলোর উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

দেউড়ির ধ্যানজ্ঞান ছিল কি ভাবে তাঁর বাবা প্রোফেসর হারডিং এর দর্শনের প্রসার ঘটানো যায়। একটা সময় দেউড়ি তাঁর এই দর্শনের জন্য ভীষণ ধর্মীয় রোষানলে পরে । সে যখন রাস্তায় বের হয় তখন জনগন চিৎকার করে তার উদ্দ্যেশ্য বলে “শয়তানের অনুসারী দেউড়ির ফাসি হোক” কিংবা “কলঙ্কিত নক্ষত্রের ধ্বংস হোক”। এই সব ব্যাপারগুলো দেউড়ির গাত্র দাহ তৈরী করত। এক দিন, রাস্তায় হেটে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ কোথা থেকে যেন উদয় হল কিছু মানুষ। এরা প্রত্যেকেই ঈশ্বরের ধর্মাবলম্বী সন্যাসী- গায়ে তাদের প্রত্যেকেরই কুচকুচে কালো রঙের আলখেল্লা মাথায় কালো টুপি। অসহায় একাকী দেউড়ি নড়ারও সুযোগ পেলনা। তার উপর চড়াও হলো খুনে মানুষগুলো, এদের নেতৃত্ত্ব দিচ্ছিল মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। এই পুরোহিত ছিলো জমিদারের ডান হাত। পুরোহিতের নির্দেশে এই মানুষগুলো দেউড়িকে টানতে টানতে এনে মন্দিরের অভ্যন্তরে নিক্ষেপ করল। এরপর বেদীর সামনে নিয়ে ঝিনুকের খোল দিয়ে ঘষে ঘষে তার শরীরের চামড়া আর মাংস ছড়িয়ে নেয়া হয়। রক্তে ভেসে গেল মেঝে। মৃত দেউড়ির দেহকে টুকরো টুকরো করে কাটা হল তারপর উন্মত্ত মানুষগুলো সেই টুকরো নিয়ে গেল শ্মশানে, সেখানে আগুন দেয়া হল দেউড়ির টুকরোগুলোকে। ছাই হয়ে গেল দেউড়ির দেহ।


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫২
৩৫টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×