somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ব্লগার সাবরিনার সংগ্রাম

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুরো নাম সাবরিনা সুলতানা। বয়স ৩০, বাড়ি চট্টগ্রাম। অপরূপ গড়নের এই মেয়েটি ছোটবেলা থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ‘মাসকুলার ডিসট্রফি’ নামক জটিল এক রোগে আক্রান্ত তিনি। হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। ঘরেই তাকে সারা দিন থাকতে হয়। তাই মনের অব্যক্ত কথাগুলো প্রকাশে তিনি বেছে নিয়েছেন ভাবপ্রকাশের ও যোগাযোগের ভিন্ন মাধ্যম ইন্টারনেটে লেখালেখি বা ব্লগকে। আর এজন্যই গত বছর ‘ডয়চে ভেলে’র আয়োজনে বিশ্বের সেরা ব্লগার নির্বাচনে পাঠক ভোটাভুটিতে সাবরিনার ব্লগ-ই ছিল শীর্ষে। শুধু কি তাই? ভিন্নভাবে সক্ষম তথা অন্য প্রতিবন্ধীদের জন্য সাবরিনার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ভিন্নধর্মী সংগঠন।
এই অদম্য সাবরিনাকে নিয়ে
লিখেছেন—- আতাউর রহমান কাবুল
[email protected]


সাবরিনার দুঃখের কথাগুলো
জীবনের প্রথম ব্লগ পোস্টে সাবরিনা লিখেছেন, ‘বাইরের দেশগুলোতে দেখুন, প্রতিবন্ধীরা পরিবার থেকে অনেক সাপোর্ট পায়, কিন্তু আমরা অসহায়!’ এ যেন সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া, বাংলাদেশে কতটা অসহায় প্রতিবন্ধীদের জীবন! প্রতিবন্ধীদের সমাজে কীভাবে আলাদা করে দেখা হচ্ছে সেটি বোঝানোর জন্য তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘শুনেছি, যেদিন দু-চোখ মেলে প্রথম ধরণীর আলো দেখলাম, সেদিন পরম মমতায় বাবা আমায় কোলে নিয়ে নামকরণ করেছিলেন ‘সাবরিনা’। ১০ বছর পরে সমাজে আবার নতুন করে আমার নামকরণ হলো, ‘প্রতিবন্ধী’!

প্রতিবন্ধী নয়, ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষ
প্রতিবন্ধী শব্দটি ঠিক পছন্দ নয় সাবরিনার। বরং ‘ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষ’ সংজ্ঞাটিকে মানানসই মনে করেন তিনি। দিনকয়েক আগেই ফেসবুকে এই বিষয়ে সাবরিনার উচ্ছ্বসিত মন্তব্য ছিল, ‘ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষ! এমন কিছুই শোনার এবং দেখার জন্যে প্রাণটা আনচান করে সব সময়...।'
সত্যি বলতে কি, ‘প্রতিবন্ধী' শব্দটি আসলে ভিন্নভাবে সক্ষম এই মানুষদের অন্য স্তরে নামিয়ে দেয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনও প্রতিবন্ধীরা বোঝা হিসেবে বিবেচিত। অথচ সমান অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা পেলে ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষরা আমাদের এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সমানতালে।

সারা বিশ্বে শীর্ষে ছিল সাবরিনার ব্লগ
গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সেরা ব্লগারদের খুঁজে সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে ‘ডয়চে ভেলে’। কিন্তু বাংলা ভাষা যুক্ত হয় গত বছর। নিবন্ধিত ব্লগগুলো থেকে ডয়চে ভেলের নিযুক্ত বিচারকরা গত বছরের ২২ মার্চ প্রকাশ করেন ১৮৭টি ব্লগের মনোনয়ন। গোটা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ১১টি ভাষায় ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রায় দুই হাজার ১০০ প্রস্তাব পেশ করেন। এর মধ্যে বিচারকমণ্ডলীর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সদস্যরা প্রতিটি বিভাগে মোট ১১ জন করে মনোনীত করেন। এরপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠকদের ভোটাভুটি শুরু হয়। সেখানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের সেরা ব্লগগুলোর মধ্যে পাঠক ভোটাভুটিতে সাবরিনার ব্লগ-ই শীর্ষে ছিল। তবে অনলাইন ভোটাভুটির শেষ দিনে পেছনে পড়ে যায় সাবরিনার ব্লগ। শেষ হিসাব অনুযায়ী সাবরিনা পান ৩৪ শতাংশ ভোট। তার থেকে ২ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন একজন পার্সিয়ান ব্লগার। বিচারকদের বিচারেও দুই ভোটে পেছনে পড়ে যান সাবরিনা। দুই বিভাগের ভোট মিলিয়ে বিশ্ব ব্লগ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আমাদের সাবরিনা।

নানা সমস্যার মুখোমুখি সাবরিনা
আঙ্গুল দিয়ে কম্পিউটারের কিবোর্ড চাপতে পারেন না সাবরিনা। তাই কলম দিয়ে তাকে কিবোর্ড চাপতে হয়! চলাফেরাতেও অন্যদের মতো স্বাধীনতা পান না তিনি। সাবরিনার সঙ্গে ‘যোগাযোগ করলে সে প্রথমে ফেসবুকে রিপ্লাই দেয়। বিভিন্ন বিষয় জানার এক পর্যায়ে তিনি লিখেন-এই টুকু মেসেজ লিখতে তার লেগে গেল প্রায় আধা ঘন্টা। অথচ অন্যদের জন্য তা এক/দুই মিনিটের কাজ। কম্পিউটারে স্বাভাবিক একজন ব্লগার যখন একটি পোস্ট লিখে ফেলতে পারেন সে সময়ে সাবরিনা লেখেন সর্বোচ্চ একটি মন্তব্য। অন্যরা যে লেখাটি এক ঘণ্টায় লিখে ফেলতে পারেন, সেটি লিখতে সাবরিনার ব্যয় হয় তিন থেকে চার ঘণ্টা। সে জানাল, ইদানীং তার কথা বলতেও সমস্যা হচ্ছে। শরীরটা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে তার। কিছুদিন আগে হাসপাতালে কয়েকদিন কাটিয়েছেন। এখন বাড়িতে মোটামুটি হাসপাতালের মতো করে জীবন কাটাতে হচ্ছে তার। তিনি বলেন, ‘আমার মাংসপেশিগুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আমার এখন সেটা গলায় এসে গেছে। শ্বাসনালী আরও শুকিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। কথা বলতেও কষ্ট হয়, আমি একনাগাড়ে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারি না আর।
ঠিক যেই মুহূর্তে পাঠকরা এই প্রতিবেদন পড়ছেন, তখনও তিনি অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শায়িত। এর আগে শীর্ষ ব্লগগুলোর তালিকায় মনোনয়ন পাওয়ার পর ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় নিজ হাতে সেলফোনটি পর্যন্ত ধরতে পারেননি। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছেন তার মা।

বিছানা আর চেয়ার এই নিয়েই তার জীবন
প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে বেশ কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি একটি চিঠি লিখেছেন। তার চিঠিটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হলেও সাবরিনার জানা নেই এই চিঠিটি প্রধানমন্ত্রী পড়েছেন কিনা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠিতে তিনি লিখেছেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি ‘মাসকুলার ডিসট্রফি’ নামক জটিল এক রোগে আক্রান্ত যা ভাল হবার নয়। বিছানা আর হুইল চেয়ার এই নিয়ে আমার ছোট জীবন। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করার জন্য বিভিন্ন সুপারিশমালা পেশ করে বলেন, আমি যদি আপনার মেয়ে হতাম তবে সমাজের চোখ থেকে এভাবে আড়াল করে রাখতে পারতেন? চিঠিটির অডিও ভার্সন ইউটিউবে এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে— Click This Link

গড়ে তুলেছেন ভিন্নধর্মী সংগঠন বি-স্ক্যান
বি-স্ক্যান এর ওয়েবসাইটে লেখা আছে, ‘কিছু মানুষ,যারা নিজেরাই প্রতিবন্ধিতার শিকার কিংবা যারা খুব কাছে থেকে এমন মানুষদের কষ্টগুলো অনুভব করেছেন তাদের নিয়েই বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক সংক্ষেপে বি-স্ক্যান। বাংলাদেশের আর দশজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের যা নাগরিক অধিকার অথচ এই দেশেরই নাগরিক প্রতিবন্ধী মানুষেরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তাই বি-স্ক্যান নামের স্বেচ্ছাশ্রমধর্মী সংস্থাটির হয়ে প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, কর্মসংস্থাান, সর্বক্ষেত্রে প্রবেশের সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা আদায়ের লড়াইয়ে নেমেছি আমরা ক’জন অবহেলিত মানুষ।
জানা গেছে, একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ‘বি-স্ক্যান’ এর সূচনা হয়েছিল কয়েকবছর আগে। সংগঠনটি এখন অনেকটাই পরিপকস্ফ। সাবরিনা-ই এর প্রধান উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি সভাপতি। আর একজন ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষ সালমা মাহবুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের কাজকে অনেকটা এগিয়ে নিচ্ছেন। তাদের কর্মকাণ্ডের ফেসবুক গ্রুপ—https://www.facebook.com/groups/bscan17
বি-স্ক্যান এর ছোট্র একটি প্রয়াস ৭ মিনিটের শর্ট ফিল্ম এক টুকরো মেঘ। এটি দেখা যাবে ইউটিউবের এই লিঙ্কে-
Click This Link

সাবরিনার ইন্টারনেট দুনিয়া
সাবরিনার লেখালেখিগুলো ইন্টারনেটের এই ঠিকানায় পড়া যাবে— http://www.amarblog.com/blog/7433
আবার—www.b-scan.org ঠিকানা থেকে পড়া যাবে তাদের সংগঠন বি-স্ক্যানের সব কার্যাবলি এবং বি-স্ক্যান ব্লগ। এছাড়াও তিনি যেসব ব্লগসাইটে লিখেন সেগুলোর ঠিকানা হলো—
http://www.sachalayataom/sabrina_sultana
http://prothom-aloblog.com/blog/sabrina
http://www.shobdoneer.com/sabrina-sultana

প্রতিবন্ধীদের জন্য আউটসোর্সিং ট্রেনিং
তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয়ের একটা ব্যবস্থা করতেও উদ্যোগী হয়েছে তারা। এজন্য শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যে আউটসোর্সিংয়ের বেসিক (এসইও) ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণটি শুরু হবে। এদের মধ্যে তিনজনের নিজস্ব কম্পিউটার নেই, তাদের আলাদা তিনটি ল্যাপটপ দেয়া হবে। বি-স্ক্যান এর সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব যিনি নিজেও একজন হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী তিনি জানালেন, যার যে ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার তাকে সেই ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হবে।
এছাড়াও তারা যেসব কাজ করছেন তা হলো—তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করতে সেমিনার, একীভূত শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রেজেন্টেশন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে গণসচেতনতা শীর্ষক সেমিনার। এছাড়াও রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের সহযোগিতায় একজন সফল শারীরিক প্রতিবন্ধী কৃষক বেলাল হোসেন ও মগবাজার বস্তি এলাকাবাসী রাইসুল ইসলামকে দুটিসহ মোট ১৭টি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়েছে। এসবই করা হয়েছে সাবরিনার গড়ে তোলা সংগঠন বি-স্ক্যানের পক্ষ হতে।

চাই সর্বজনীন প্রবেশগম্যতা
তারা লক্ষ্য করে দেখেছেন, বসুন্ধরা সিটি, জাতীয় জাদুঘরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিশ্চিত হচ্ছে না সর্বজনীন প্রবেশগম্যতা। প্রতিবন্ধীদের সর্বজনীন প্রবেশগম্য করার জন্য ইতোমধ্যে তারা বসুন্ধরা সিটি ও জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে লিখিত সুপারিশমালা পেশ করেছেন। এছাড়াও বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন।

প্রতিবন্ধীরা পাবেন সুদমুক্ত ঋণ
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে অনেকেই আছেন যাদের অবস্থা এতো খারাপ নয় যে তারা আর্থিক সহযোগিতা নেবেন, কিন্তু কিছু টাকা সুদমুক্ত ঋণ পেলে তারা একটা কিছু ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সে কথা মাথায় রেখেই বি-স্ক্যান থেকে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যায়ে সাভারের মৃদু বাক প্রতিবন্ধী এ এম রিয়াদকে তার মাশরুম ব্যবসা সমপ্রসারণের লক্ষ্যে এক বছরের জন্য বিশ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।

নীলাকে নিয়েও দুঃশ্চিন্তার অন্ত নেই সাবরিনার
সাবরিনার ছোট্র বোন তাসনিন সুলতানা নীলা। দশম শ্রেণীতে পড়ে। তাকে নিয়েও দুঃশ্চিন্তার অন্ত নেই সাবরিনার। সেও ‌‌‌'মাসকুলার ডিসট্রফি’ নামক অসুখে আক্রান্ত। সাবরিনার কথা, একই অসুখ যখন ছোট্ট নীলার শরীরের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে পড়ে তখন থেকেই আমি সবসময়ে একটা আতঙ্কের মাঝে থাকি। প্রতিমুহুর্তে মনে হতে থাকে, এই বুঝি আমার জীবনের নিকষ কালো ছায়া ওর ওপর এসে পড়ল....এই সব ছোটখাট সমস্যার কারণে আমার পড়ালেখাও সেই ছোট্টবেলায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে জানে, এই রোগের জিন পরবর্তী প্রজন্মকে আরও কিছুদিন বহন করতে হবে। তবুও তার আশা নীলাকেও যেন একই পথের পথিক হতে না হয়।

এবারও সাবরিনা মনোনীত
এবারও ডয়চে ভেলের সেরা ব্লগ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতার শুরু হচ্ছে এবং সেখানে সাবরিনা নির্বাচিত হয়েছে। এই ভোটাভুটি পর্ব চলবে আগামী ২ মে পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে thebobs.com/bengali ঠিকানায় ফেসবুক, টুইটারসহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভোট প্রদান করা যাবে।

সাবরিনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা
এ ব্যাপারে সাবরিনার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সমমনা কয়েকজন ব্লগকে হাতিয়ার বানিয়েছি একটি অসম্ভব যুদ্ধের তাগিদে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যানের ছায়াতলে দাঁড়িয়ে এদেশের অবহেলিত- নাগরিক অধিকার বঞ্চিত প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষের জন্য বাসযোগ্য একটি বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে। ২০১৫ সালের মধ্যে তাদের জন্য সহায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সর্বত্র প্রবেশের সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহলকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি দেশের ৫০ শতাংশ সাধারণ মানুষকেও সচেতন করে তুলতে চাই আমরা। কারণ মৌলিক এই অধিকারগুলো নিশ্চিত হলেই একমাত্র তারা ভিন্নভাবে সক্ষম হিসেবে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। আর কোনো সাবরিনা বা সালমাকে যেন চার দেয়ালের আঁঁধারে কাটাতে না হয় এর বেশি কিছু আমার চাওয়ার নেই।’

সূত্র : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৩
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×