নতুন বছর শুরু হল।বাচ্চারা নতুন ক্লাসে উঠেছে।নতুন নতুন বই নতুন ক্লাস বাচ্চাদের মাঝে উৎসব উৎসব ভাব।কিন্ত এবার সেই উৎসব যেন হারিয়ে গেছে,বাচ্চারা বাসায় বন্দি।ঘরে বাইরে আমাদের এখন অনিশ্চিত জিবন।স্কুল খোলা কিন্ত বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা।প্রতিদিনের সংবাদপত্রে পেট্রোলবোমায় পুড়ে যাওয়া মানুষের আহাজারি,দুঃখ দুর্দশা দেখে অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে সাহস হয়না।অনেক বাবা মা আছেন জারা কর্মজীবী।তাদের সন্তানেরা একা স্কুলে যায়,হয়ত নিজেদের প্রাইভেটগাড়িতে অথবা স্কুল ভ্যানে।প্রশ্ন হল যদি পেট্রোলবোমা মারা হয় তবে গাড়ির চালক বা ভ্যান চালক নিজের জীবন বাঁচাবে নাকি আমার সন্তানের জীবন বাঁচাবে!সকালবেলার প্রথম খবর পাই আমরা বার্ন ইউনিটে আর কতজন নতুন ভর্তি হল।বড় দুঃখ লাগে স্বাধীন দেশে বাস করেও আমরা রাজনীতির বলি।রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের কাছে আমরা জিম্মি,গোটা দেশ জিম্মি।প্রায় মাস হতে চলল কোন উদ্যোগ নেই এই সমস্যা সমাধানের।নতুন এক কাহিনী হচ্ছে দেশে কোন সমস্যা হলেই টিভি চ্যানেলগুলোতে টকশোর উৎসব বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে আলোচনা পর্যালোচনা কিন্ত সমাধানের কিছুই হয়না।আজ আমার সন্তান স্কুলে যেতে পারছেনা,আমার ঘরের মানুষটি কাজে বের হবে কিন্ত সে সুস্থভাবে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই,দেশের বাড়িতে বাবা মা অসুস্থ হলেও ঢাকায় আনা সম্ভব নয় কারন দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ।এভাবে কত দিন?আজ ঘর থেকে বের হতে মানুষ ভয় পায়।কেমন ভাবে বেচে আছি আমরা।কৃষক তার ফসল নিয়ে জমিতে বসে কাঁদছে,তার এত কষ্টের ফসল পচে যাচ্ছে,বিক্রি করতে পারছে না।ছোট ছোট ব্যাবসায়িরাই বেশি খতিগ্রস্থ হচ্ছে এসব টানা অবরোধ আর হরতালের কারনে।এত রাজনীতি নয়,গরিব মানুষকে পিষে মারার কৌশল।ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে,তথ্যপ্রজক্তির ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে,ঘরে ঘরে ছোট, বড়,ছেলে, মেয়ে সবাই ফেইসবুক নিয়ে ব্যাস্ত কিন্ত কোন গরিবের সন্তান পাইপের ভিতরে পরে গেলে তাকে উঠাবার মত কোন প্রযুক্তি আমাদের দেশে নেই।রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনায় ব্যবহার করার মত প্রযুক্তিও আমাদের দেশে নেই,আছে সুধু টকশো।কোন ঘটনা ঘটে যাবার তা নিয়ে পর্যালোচনা ব্যাস এপর্যন্তই।
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?
৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?
মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন