জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং ভোটার আইডির ডিজিটাল ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সবকিছু কেন আলাদাভাবে করতে হয়! চাইলেই তো স্বয়ংক্রিয়ভাবে একীভূত ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নাগরিকগণ জন্ম নিবন্ধন করলে তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভোটার আইডি তৈরি এবং কারো মৃত্যু নিবন্ধিত হলে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা করা কোন রকেট সাইন্স নয়। তারপরেও ঘটা করে ভোটার আইডি হালনাগাদ করনের এন্তেজাম কেন? ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডাটাবেজ তৈরি শুধু ব্যয়বহুলই নয় তা অনেক সময় কাজের জন্য বাড়তি জটিলতা সৃষ্টি করে। আমরা চাইলেই এখন আমাদের সমস্ত নাগরিকের মৌলিক তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরি করতে পারি যা সরকার তার নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন দপ্তর তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করতে পারে, আর এই কাজ করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে কেবল দরকার ইচ্ছার! অপরিকল্পিতভাবে আমাদের তথাকথিত তিলোত্তমানগরী ঢাকাকে যেমন ইট পাথরের জঙ্গলে পরিণত করেছি ঠিক তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে আমরা তৈরি করেছি ডিজিটাল জঙ্গল। কেবল হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার থাকলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হয় না, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম যা আমাদের নাই (যদিও আমাদের ডিজিটাল যন্ত্র এবং সফটওয়্যার এর কোন অভাব নাই কারণ কেনাকাটা বড়ই লাভজনক) সবচেয়ে বড় দুঃখের কথা আমরা এখনো ডিজিটাল ইকো সিস্টেম যে প্রয়োজন সেটাও জানি না।
হালে শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বানানোর এন্তেজাম। এতে হয়তো অনেকেরই হালে পানি পাবে, পালে বাতাস লাগবে, বেগম পাড়ায় বাড়ি হবে, আরো আরো অনেক কিছুই হবে কিন্তু কাজের কাজ কি হবে?
আহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৬