somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিয়ে.............................

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনেক দিন কিছু লিখা হয় না। সামহোয়্যার এ যে একদম ঢু মারি না তা নয়। তবে যখনই ঢু মারি তখনই শুধু দলাদলির লিখা বেশী চোখে পরে। তাই আমার মত দল বিমুখ লোকদের চেয়ে থাকা ছাড়া আর কি বা করার।

ও আমার টপিক তো বিয়ে তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক মুল গল্প।

তখন আমার বয়স ৮-১০ হবে। সেই সময় আমাদের এলাকার বিয়ের ধরণাটা ছিল ভিন্ন রকম। বিয়েগুলোতে যে জিনিসগুলো লক্ষণীয় তা ছিল, বরযাত্রী কণের বাড়ীতে রাওনা হতো রাত ১০ টার পর। তাও যাত্রার মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি। গরুর গাড়ির সামনে বসানো হত একটা মাইক। যাই হোক সারারাত নানা ধরণের স্থানীয় আচার মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কণে সহ বরযাত্রী ফিরত ফজরের নামাজের পর। আমাদের কানে মাইকের আওয়াজ ( নির্দিষ্ট পল্লী গীতি যা শুনে বুঝতে পারতাম বিয়ের গাড়ী আসতেছে) আসা মাত্র আমরা তরিঘরি করে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় দৌড় দিতাম। গরুর গাড়ির সাউনির সামনে একটি বিশেষ পর্দা দেওয়া থাকত। যার ভিতরে কণে থাকত। গরুর গাড়িটি কিছু দুর দুর থামাত ( তবে কয়েক জন মানুষ না থাকলে থামাত না)। গাড়িটি থামার পর একজন পর্দা টেনে একটু ফাকা করে দিত যা দিয়ে আমরা নববধু কে দেখতাম। দেখা শেষ হলে আবার পর্দা টেনে গাড়িটি পুনরায় যাত্রা শুরু করত। অনেক বেলা পর্যন্ত চলত বিয়ে নিয়ে মখরোচক কথা বার্তা। যদি ও এখন ধরণটা অনেক বদলেছে। এখন আর গরুর গাড়ির চল নেই। এখন সবাই প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এইসব ব্যবহার করে।

আর এখনকার বিয়ে, বিশেষ করে ঢাকার বিয়ে একদমই অন্য রকম। কয়েকদিন আগেই আমার অফিসের এক মেয়ে কলিগ এর বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম। এমনিতেই আমার বাসার পাশে কমিউনিটি সেন্টার থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠানের শব্দের কারণে আমি বিরক্ত। কিন্তু কোন দাওয়াতে গত দুই বছর যাওয়া হয়নি আমার। দাওয়াতে যাওয়ার পর আমি স্বভাবতই আমার কলিগকে খুজছিলাম। নাম বলতেই দেখিয়ে দিল। আমি তো উনাকে দেখে চিনতেই পারছিলাম না প্রথমে। উনার সালাম শুনে উনাকে চিনলাম। কেননা এখনকার বিয়েতে সবাই এমন মেকআপ দেয় যেন ঘর ডিস্টেমপার করেছে। মেকআপ দেওয়া মেয়েদের সবাইকে আমার একই রকম লাগে। এতে একটা মেয়ের সাথে আর একটা মেয়ের যে চিহারা গত পার্থক্য খুব একটা বুঝা যায় না ( হতে পারে এটা আমার কাছে এমনটা মনে হচ্ছে)। আশে পাশে বসা অনেকের মাঝে নিজেকে অসহায় মনে হল। কেন যেন মনে হল আমি বোধহয় বিশেষ কোন চশমা পড়েছি যা মেয়েদের শাড়িকে পাতলা করে দিয়েছে, ব্লাউজের হাতা ছোট করে দেখাচ্ছে আমাকে, পোশাকের ভিতরের শরীরের পুরো অবয়ব পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এই চশমার কল্যাণে। কিন্তু কই না তো চোখে তো কোন চশমা পরিনি আমি। ও যা দেখছি তাই সত্যি। আসলে যুগের সাথে সাথে পোশাক ও ছোট হয়ে গেছে। খাওয়া দাওয়ার পর গান শুরু হল। আহা কি সুন্দুর গান। আমাদের সময় কত পচা গান শুনতে হত। আর এখন কি সুন্দর গানের কথা এই তো শোনা যাচ্ছে.................হেই....সেক্সি বেইবে,.........তার পর ...........ত্যারে হাতোছে............ভেভিকল সে, ভেভিকল সে....,উ লা লা উলালা........উলালা উলালা...................(হায়রে বিয়ের জন্য কত কিছুই না শিখলাম)....
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×