ভেবেছিলাম মানুষ হব,
বসুধার সমস্ত স্তবক ফুল দিয়ে সাজাবো ,
মিলিয়ে যাওয়া আভা গুলো আবার সমুজ্জল করব,
পৃথিবীর সকল প্রত্যর্থী প্রাণগুলোকে জাগিয়ে
তুলবো।
হিংস্র – জন্তু জানুয়ারের মর্ন্দোষ্ণ আত্মাকে
মন্ত্রবৎ করে মহীয়ান করব।
নব উদিত সূর্যকে দিয়ে আলোর পথযাত্রীদের পথ
দেখাবো।
হে ধরণীর ত্রাতা, হে নর কুল
আমায় গ্রহন কর।
আমার আত্ম চিৎকার আকাশ অবধি প্রতিধ্বনিত
হয়েছিল,
ফেরিত জলধার, জলরাশির বাণ
হিমালয়ের চুড়ায় আরোহন করেছিল।
তবু আমার ডাক কেউ শুনেনি
হে পৃথিবীর রাজা, তুমি কি আমার ডাক শুনোনি?
হে উরুগভূষণ পূজারী, অপসদের অনাবেশ,
অভিমর্দনকারী
আমার প্রাণায়ন ডাক কি তোমার কানে বাজে নি!
এই নরকুষ্মন্ড ঘোর, গতাসু সমাজ
আমায় গন্ডক পরিয়েছে,
প্রথার বেঢ়ী বাঁধে আমায় চকমিলানে আবদ্ধ
করেছে।
আমার ভিতর নরপশুর আত্মা ঢুকিয়েছে,
বিকৃত করেছে আমার দেহ, মন ও সত্ত্বাকে।
ভালবাসার ঘ্রাণ আজ ডাইনোসরদের মত দূর্লব,
সাম্যবাদ বিরল প্রজাতির কিছু,
এখানে আর তারাদের দেখা মেলে না,
ফুলগুলো নিবৃতে ঝরে যায়,
আজন্ম কুঁড়িতে থেকে যায় সকল মুক্ত প্রাণ।
হে পাপীদের সমাজ, আমায় মুক্তি দাও
আমার জৃন্তিত সত্ত্বাকে বাঁচতে দাও।
হে স্বর্বগ্রাসী সমাজ, আমায় মুক্তি দাও
না হয় আজ নতুন সূর্য উদিত হবে না
পাখির সুমধুর কলতানে ঘুম ভাঙবেনা।
অনাচারের কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রীন হাউজের
বলয়ের মত ঘিরে ধরবে
শিরায়- উপশিরায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে কার্বন
মনোঅক্সাইড নিরবে খিলবিল করবে
জারজ পশুর মত পড়ে থাকবে মনুষ্য লাশ।
হে জগন্নাথ, হে রাহুর সমাজ, আমাকে মুক্তি দাও,
না হয় আজ প্রলয়ের ঝড় উঠবে
প্রত্যেক তনূরুহে লিকলিকিয়ে উঠবে কিং কোবরা।
অক্সিজেনের কোয়ায় নিক্ষেপ করা হবে তোমার
আত্মাকে
তারপর একটি কাঠিই যথেষ্ঠ।
দাও দাও করে জ্বলবে তোমার অন্তর আত্মা
জলাধির বারি এই শিখার কাছে পরাজিত।
তুমি আমায় মুক্তি দাও, না হয়
পৃথিবীর সকল নেকড়ে, চিতা রক্ত পিপাসুর আত্মা ভর
করবে তরুণের মাঝে
তোমার সমস্ত শরীর টেনে হিচড়ে জ্বলসে খাবে
তারা।
হে বীরু, কাপুরুষ, বৃদ্ধ রুহের সমাজ
আমায় মুক্তি দাও।
আমি আজ জাগরিত আত্মাদের নিয়ে মিছিল করব
বিভব মননকে জাগাবো,
তাদের রক্তিম আলো দেখাবো।
হে আলোর দিশারীরা
রবির ধ্বংস, সত্যের জয় যেমন নিশ্চিত
আমাদের বিমোহ, বিষয়ব বিসর্জনের দিনও আজ
নিশ্চিত।
আমরা গরলের গলায় মালা পড়াবো,
এসো হে ঝড়ো হাওয়া, যুবাদের আত্মায় ভর করো,
বিধাতার ধ্বনি আজ উচ্চার্ষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩