সবই দেখি,দেখতে চোখে শ্রান্তি এসে যায়,
সবই বুঝি, বুঝতে বুঝতে মগজে শূল ধরে যায়।
বলতো, দেখার মত কেন দেখিনা?
এত অসত্য,অসঙ্গতির মাঝে নির্বিকার থাক,
এ কোন শক্তি কাজ করে তোমার ভেতর?
শত অবুজ লাশের উপর হায়ানারা হেঁটে যায়,তান্ডব
নৈত্য দেয়, পাঁজরের হাড় পিটে টেকে যায়।
তবো আধো আধো কথা বলা শিশুর মত তুমি থাকিয়ে
থাক!
বলতো এই কোন চোখ তোমার?
অধিকারের অপপ্রয়োগ হয়,
যেখানে তুমি দর্শক মাত্র!
শাসকেরা ছড়ি ঘোরায় তোমার উপর,
তুমি ক্রীতদাস ওদের।
রক্তের দামে নগর গড়ে,
তোমার স্বপ্ন গুলো মিশে যায় ইট,বালি,কংক্রিটে।
সভ্যরা দেখেও অসভ্যের মত মুখ লোকায়,
উদ্ভুত তাদের দর্শন জ্ঞান!
চাক্ষুসমান বর্ণনা অন্ধকে চাঁদ দেখানোর মত!
রক্তের মূল্য বুঝি এই!
তোমার মাঝে আমি নবজাতকের কান্না দেখি, দুঃখ
বিদােয়র আহ্বান দেখি,
তোমার জাগরণে অবনত শীরকে উন্নত দেখি।
হিমালয় কাঁপানো ভূ-কম্পন ভর করুক তোমার উপর
৭.৬ রিক্টার স্কেলে কেঁপে ওঠুক অত্নাচারীর শেঁকড়,
জেগে ওঠো হে স্বপ্নচারী আত্না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯