নানা নাটকীয়তার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নুরুল হক নামের একজন জামাত শিবির এর সমর্থক কে বোকা ছাত্র ছাত্রী রা নির্বাচিত করেছে !!!!!!!!অস্বচ্ছ স্টিলের বাক্সে রাত জেগে অনেক কষ্ট করে যারা ভর্তি করে রেখেছিলেন তাদের কাছে নুরুল হকের বিজয় যে খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক
কারচুপি ,ভয়ভীতি প্রদর্শন ,অনিয়ম নানা অভিযোগ হলেও মাননীয় উপাচার্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর মতো বলেছেন সুষ্ঠ!!!!! নির্বাচন হয়েছে , সাধুবাদ জানাই তার সততার । এই মহান জ্ঞানী ব্যাক্তিরা ভাবেন মানুষ কিছু বুঝে না আসলে মানুষ বুঝে কিন্তু ঝামেলার ভয়ে মুখ খোলে না । কারণ হামলা মামলা দেখে দেখে মানুষ নিজেদের নিরাপদ রাখতে চুপ করে থাকে ।উপাচার্যের কথা ঠিক যেন জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর কথার হুবহু প্রতিফলন । কিন্তু উনার কথা সঠিক হলে নির্বাচিত ভিপি কেন পুন্ নির্বাচন চাইলেন ? ছাত্ররা কেন আমরণ অনশন করছেন ? ছাত্রীরা কেন আন্দোলন করছেন , কে সত্য বাদী আর কে মিথ্যাবাদী সবাই তা বুঝে কিন্তু মিথ্যা বাদীরা সেটা বুঝে না ।, টাকা পদ আর পদবীর লোভে নানা রঙে দলীয় সুবিধা পদ পদবি আর মালকড়ি পাওয়ার জন্য সং সাজা শিক্ষকদের লজ্জা নেই । পত্রিকায় দেখলাম , সিলমারা ব্যালট বাক্স উদ্ধার , হুমকি , মারধর সব সঠিক মাত্রায় বিরোধীদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে । নির্বাচন কমিশনার এর গাড়িতে বিশেষ দলের পক্ষে মারা ব্যালট দিয়ে ঢেকে দিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই যদি হয় সুষ্ঠ নির্বাচন তাহলে অ-সুষ্ঠ নির্বাচন বলে কিছু নেই । খবরে দেখলাম ডাকসুর নির্বাচন কমিশনার ধাওয়া খেয়ে পালাচ্ছেন ।
কোনো পত্রিকায় সুষ্ঠ নির্বাচনের খবর দেখলাম না তবে সিস্টেম দেখে বোঝা গেলো নির্বাচন সুষ্ঠ পরিকল্পনা মাফিক করার সবরকম চেষ্টাই করা হয়েছে কিন্তু তারপরেও সব পদে না জেতানোর ব্যার্থতা থেকে গেলো । নুরুর বিজয়ে খুশি নয় আমরা যা বলবো সেটাই হবে চিন্তাধারার তথাকথিত ভয় সৃষ্টিকারী অ-জনপ্রিয় নেতারা ।ফার মার্স ব্যাংকের ( নাম বদলে এখন হয়েছে পদ্মা ব্যাঙ্ক ) শত কোটি টাকা মেরে লন্ডনে বিনিয়োগকারী হিসাবে নাগরিকত্বের ভিসায় থাকা সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম তো ফেসবুকে লিখেই বসলেন আটাশ বছর নয় দরকার হলে আটাশ শত বছর নির্বাচন বন্ধ থাকবে , তার বিবৃতি তার চেহারার সাথে মিল আছে ।
পর্দার অন্তরালে খেলা ছিল আছে থাকবে । জিতলেই আর শপথ নিলেই কেস জেল তো আর থেমে থাকে না ।তার অনেক উদাহরণ আছে । সিলেটে মেয়র আরিফুল হকের কথা ভুলে গেলে চলবে না ।তাই যথারীতি নুরুল এর বিরুদ্ধে কেইস হয়েই আছে , পদ বাতিলের আবেদন ও করা আছে, লাগলে আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে । অর্থাৎ শামীম ওসমানের ভাষায় খেলা চলবে -----।
এখন শুনছি (কালেরকণ্ঠে লিখেছে ) সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের মতো নুরুকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা চলছে ।দরকার হলে ঢালো কড়ি মারো তেল প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হবে ।তবে বরিশালের দরিদ্র পরিবারের এই ছেলে যে সহজে মাথা নত করবে না বা লোভের ফাঁদে পা দেবে না এটা অনেকটাই নিশ্চিত ।বিবেকের কাছে অনেক সময় লোভের পসরা সাজিয়েও কোনো লাভ হয় না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯