পদ্মা সেতু নিয়ে আমরা বড়াই করি , অনেক সত্য মিথ্যা মিশিয়ে ফেলি যেমন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু কথাটা মিথ্যা । সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক হিসাবে পদ্মা সেতু বলা হয় কিন্তু যারা পাটুরিয়া বা লালন সেতু দিয়ে পদ্মা নদী পার হবেন তারাই দেখবেন পদ্মা প্রায় শুকিয়ে মরার পথে ।আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র চুক্তি করেও সঠিক পানি তো ঠিকমত দেয় ই নাই বরং আরো কিছু পানি আসার পথেও বাঁধ দিচ্ছে । পদ্মার অবস্থা নিয়ে বলার মত নতুন কিছুই নেই কারণ মানুষ কিছু বললে বা লিখলে পদ্মায় পানি আসবে না ।এখন যেখানে ব্রিজ হচ্ছে ভবিষ্যতে সেখানে মানুষ হেটে পার হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।সেতু মানে ইঞ্জিনিয়ারদের ,কন্ট্রাক্টরদের , আর কর্মকর্তাদের পকেট ফুলে টেপা মাছ ।
একসময়ের প্রমত্তা পদ্মা মরে এখন এখন শীর্ণ জলাধার , , আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাকের মত চৈত্র বৈশাখ মাসে অনেক জায়গায় হাটু পানি আর শুকনা বালুর চড় থাকে ।আগামী দশ বছর পরে এখন যেখানে ব্রিজ সেখানে গরু চড়বে | ব্রিজের কাজে যাদের পকেট ফুলে যাবে তারা বলবে এই ব্রিজ মানে সেই রকম ব্রিজ , বাংলাদেশ এই ব্রিজ দিয়েই সিঙ্গাপুর কে ছাড়িয়ে যাবে ।যেহেতু বর্ষার পানি মাত্র চারমাস থাকে তাই এই চারমাস ফেরি রেখে বাকি সময় সড়ক পরিবহনের ব্যবস্থা করলে দেশের কোটি কোটি টাকা অন্য উন্নয়ন মূলক কাজে লাগানো যেত। চাকুরী পেতে যে দেশে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ লাগে সেখানে পদ্মা সেতু যুবকদের কতটা কাজে লাগবে তা সেতুর সাথে সংশ্লিষ্ট লোকেরা আর দলকানা সমর্থকরা ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবেন । একদিন হয়তো দেখা যাবে বিপুল খরচে সাময়িক প্রয়োজনের এই সেতু করার জন্য কারো কারো বিচারের মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে ।সেতু যোগাযোগের জন্য প্রয়োজন, কিন্তু নদীতে পানি যে হরে কমছে ও নদী শুকিয়ে চড় পড়ছে ভবিষ্যতে এই সেতু আমাদের কতটুকু উপকারে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন করলে গুম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সেই প্রশ্নের ভার বিবেকবান মানুষদের উপরি ছেড়ে দিলাম ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৭