বখাটে ছেলেদের লুইচ্চামি করার একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে গেলো হিন্দুদের এই হলি খেলা পড়ার আগে ভিডিওটা দেখে নিন।
খবরে দেখলাম, একটি মেয়ে হেটে যাচ্ছে, আচমকা ঘিরে ধরল কিছু লম্পটের দল। সাথে সাথে সবাই তার গালের উপর ঝাপিয়ে পড়লো। পাশে কলেজ পড়ুয়া অারেকটি মেয়ের একই অবস্থ ঘটলো। মেয়েটি বললো, তার গালে হাত দেওয়ার পাশাপাশি শরীরেও হাত দিয়েছে।
উৎসব আবার সার্বজনীন হয় কী করে?!
উৎসব যখন সার্বজনীন হয়ে যায় তখন সেটা আর ধর্মীয় উৎসব থাকেনা। সেটা জাতীয় উৎসবে রূপ নেই। প্রকৃত ধর্মোৎসব কখনো সার্বজনীন হতে পারেনা। ধর্মোৎসব ধর্মানুসারীদের জন্য প্রযোজ্য। ধর্মোৎসবকে সার্বজনীন বলে খোলামেলা উৎযাপন করা কৌশলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো বৈ কিছু নয়। ইসলামী উৎসবগুলো নিয়ে আমরা কখনো মিডিয়াকে সার্বজনীন উৎসব বলে প্রচার করতে দেখিনা। তাহলে হিন্দুয়ানী কিম্বা অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবকে কেনো সার্বজনীন উৎসব বলে প্রচার করা হবে? কেনো এতে সার্বজনীনতার রঙ মাখা হবে?
সার্বজনীন উৎসব বলতে আমরা জাতীয় উৎসবকে বুঝি। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সার্বজনীন উৎসব রয়েছে। যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি দিবসগুলোকে সার্বজনীন উৎসব বলা যায়। কারণ এই দিবসগুলো আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মিলেমিশে উৎযাপন করি। এগুলোকে সার্বজনীন জাতীয় উৎসব বলা নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারেনা। এছাড়া কোনো ধর্মোৎসবকে আমরা সার্বজনীন উৎসব বলে মেনে নিতে পারিনা। আর নোংরা ধর্মোৎসবকে সার্বজনীন হিসেবে মেনে নেওয়ার প্রশ্ন-ই আসেনা।এবার ভেবে দেখুন কোথায় সার্বজনীনতা প্রয়োগ করবেন।
আর একান্ত যদি ধর্মোৎসবকে সার্বজনীন উৎসবের রূপ দিতেই হয়, তাহলে মুসলমানদের কোরবানির ঈদকে সার্বজনীনতায় রূপ দিন। তখন দেখা যাবে সার্বজনীনতার আসল রহস্য কী!
জোরপূর্বক মুসলিম মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া কিংবা মুখে হোলির রঙ লাগিয়ে দেওয়া....সাথে যৌন হয়রানি করা.....
এ কেমন ধরনের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ??
কি আমরা মুসলিমরা তো কুরবানীর ঈদে কোন হিন্দুদের পকেটে গরুর গুস্ত ঢুকিয়ে দেয় না তাহলে তারা আমাদের হিজাব পড়া বোনদের গায়ে মুখের নেকাব খুলে কেন রং মাখিয়ে দিবে ?????
কৈ সেই সব নারীবাদীরা আর টকশো বুদ্ধিজীবীরা যারা সর্বক্ষণ নারীর অধিকার নিয়ে জাবর কাটে, এখন দেশে এই সব কি হচ্ছে কই সেই ন্যাড়া মাথার বুদ্ধিজীবীরা ?? যদি উল্টো এই কাজগুলি মুসলিম করত তাহলে বেল মাথায় চুল গজিয়ে এতক্ষণ পাকনা ধরে ঝরে পড়ত! !
একটা মেয়ে মিডিয়ার সামনে জোর করে তাকে রং লাগিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ করছিলো, ঐ সময়ও একটা কুজন্মা এসে মেয়েটার মুখে তথাকথীত ধর্মীয় উত্সব হোলির রং মেখে দিচ্ছিলো! কি নির্লজ্জ এরা।
এইটা নাকি উৎসব।
জোর করে রং লাগাচ্ছে জনোয়ারটা।
এইটা একটা সত্যিকারেই জানোয়ার মনে হচ্ছে..
কান্নারত দুটো মেয়ে. আর একটা জানোয়ার রিকশার হুড তুলে যাওয়া হিযাব পড়া দুইটা মুসলিম মেয়েকে জোর করে তাদের গালে রং লাগিয়ে দিচ্ছিলো। মেয়েগুলো পরে কাঁদতে কাঁদতে যায়গা ত্যাগ করেছে.. কত বড় সাহস এদের।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪