জুলাইয়ে আকাশে ড্রোন, মাটিতে দ্রোহ – ঢাবি থেকে ছাত্র-জনতার জাগরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই মাসের বর্ষপূর্তিতে আয়োজন করা হয় ঝাঁ-চকচকে ড্রোন শো। রঙিন আলোয় আলোকিত আকাশ, হাততালি, বাহবা—দেখতে যতই মোহময় লাগুক, বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।
ড্রোন শোর পেছনে ঢাকা পড়ে যায় ছাত্র-জনতার আক্ষেপ, ক্ষোভ, ও গর্জন।
---
ভিডিও যা বলছে...
ভিডিওটিতে দেখা যায়:
রাজপথের দুই পাশ জুড়ে শত শত সাধারণ শিক্ষার্থী;
তাদের কণ্ঠে ছিল ক্ষুব্ধ স্লোগান, চোখে ছিল প্রত্যয়ের আগুন;
অনেকেই বলছিলেন, "আমরা বর্ষপূর্তি চাই না, আমরা জবাব চাই!"
একজন শিক্ষার্থী বলেন:
> “আমার বন্ধুকে গুম করা হয়েছে। আমি আজো জানি না, সে বেঁচে আছে কি না! আজকে আকাশে আলো ওড়ানোর আগে, আমাদের চোখে যাওয়া আঁধার সরাও!”
কেন এই অভ্যুত্থান?
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন আকস্মিক কিছু নয়, বরং এটি সময়ের দাবিতে উত্থিত হয়েছে।
মূল কারণগুলো:
দলীয় ছাত্রসংগঠনের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস
নিরাপত্তার অভাব ও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ
ভোটাধিকার হরণ এবং জনগণের কণ্ঠরোধ
শিক্ষাঙ্গনে বিচারহীনতা ও রাজনৈতিক দখলদারিত্ব
---
দুই বাংলাদেশ, একটাই ক্যাম্পাস
একদিকে ড্রোন শো—নির্মল আলোয় ভরা,
অন্যদিকে ছাত্রদের ক্ষোভ—যেখানে আলো নেই, শুধু প্রশ্ন।
এই দু’টি দৃশ্য যেন দুই বাংলাদেশ:
একটি পুতুল নৃত্যে রঙিন,
অন্যটি ঘাম ও রক্তে ন্যায্য অধিকার চাওয়া।
---
এই আন্দোলন কোনো দলের ছিল না
এই অভ্যুত্থান দল-মত নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর;
এটি ছিল একটি “সচেতন প্রজন্মের আত্মঘোষণা” —
যারা ভীত নয়, আর চুপ করে থাকতেও রাজি নয়।
---
উপসংহার:
ঢাবির জুলাই বর্ষপূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
ড্রোন শো হতে পারে চমকপ্রদ,
কিন্তু ইতিহাস লেখা হয় ছাত্র-জনতার কণ্ঠে।
আশা করছি, এই অভ্যুত্থান স্মৃতিতে হারিয়ে যাবে না,
বরং এটি পরিণত হবে স্থায়ী গণচেতনার আন্দোলনে।
---
“আকাশে যত আলোই জ্বলুক, নিচে যদি ন্যায়বিচার না থাকে—
তবে সেই আলোর কোনো মূল্য নেই।”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



