
আজ আকাশটা শুধু বিস্ফোরণে কাঁপেনি, কেঁদেছে… শিশুদের আর্তনাদে
একটি স্কুল ছিল, সেখানে ছিল বই, বন্ধু আর স্বপ্নভরা চোখ।
কিন্তু সেসব পুড়ে ছাই হয়ে গেল যুদ্ধবিমানের আগুনে।
শুধু মাটি নয়, আজ আকাশও বুকে রক্ত নিয়ে নেমে এসেছে।
আজ রাজধানীর বুকে, শিশুদের মাথার উপর থেকে নেমে এসেছে মৃত্যু।
হঠাৎ আকাশচিরে ছুটে আসা সামরিক জেট আছড়ে পড়ল একটি স্কুলে।
শিশুরা ভয়ে চিৎকার করছে, জানালা ভেঙে দৌড়াচ্ছে, কেউ পড়ে যাচ্ছে আগুনে…
কতজন বেঁচে আছে?
কতজন আর ফিরবে না?
কতজনের জীবনে আজ চিরস্থায়ী দুঃস্বপ্ন জেগে উঠল?
এই কি সেই শহর, যেখানে আমাদের সন্তান স্কুলে গিয়ে ফিরে আসার গ্যারান্টিও পাচ্ছে না?
বারবার বলেছি, যুদ্ধবিমান যেন জনবসতিপূর্ণ এলাকার আকাশে না উড়ে।
বারবার বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ হোক নির্জনে, জনমানবহীন এলাকায়।
কিন্তু কে শোনে কার কথা?
আজ সেই অবহেলার মাশুল দিল ছোট ছোট শিশুরা।
তাদের কী দোষ ছিল?
শুধু স্কুলে যাওয়া?
---
একটি মা ছুটে এসেছে স্কুলের গেটে, কাঁদছে—“আমার বাচ্চা কোথায়?”
এক শিশু কাঁপতে কাঁপতে বলছে—“স্যার, ওরা মরেগেছে…”
আরেকটি শিশুর মুখ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না…
---
আর না!
আর একটি শিশুর কান্না শুনতে চাই না আমরা।
আর একটি নিথর দেহ দেখতে চাই না।
এই শহর যুদ্ধক্ষেত্র নয়।
আমরা চাই:
✅ অবিলম্বে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ রাজধানী থেকে সরানো হোক।
✅ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক।
✅ আর একটি শিশুর প্রাণ যাতে না হারাতে হয়—সেই ব্যবস্থা আজই নিতে হবে।
---
আকাশ হোক শান্তির, শিশুরা হোক নিরাপদ।
আজকের কান্না যেন আগামীকালের আর্তনাদ না হয়।
#বিমান_বিধ্বস্ত
#শিশুর_জীবন_শক্তির_চেয়ে_গুরুত্বপূর্ণ
#রাজধানীর_আকাশ_হোক_নিরাপদ
#আমরা_মর্মাহত
#প্রতিবাদ_জরুরি
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



