সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যার সাথে আমাদের সংস্কৃতিরও এক বিশেষ দিক জড়িত আছে, ভারতের সংস্কৃতিও এমন কিছু উন্নত নয়। সেটা হল উর্দিওয়ালারা যা ইচ্ছে করতে পারে, বিশেষ করে গরীব লোকের ওপর, সরকার গা করবে না, বড়জোর কিছু মানবাধিকার সংস্থা কান্নাকাটি করবে!!
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা দ্বারা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানায় মূলত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী,
বিএসএফ কর্তৃক সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর সংগঠিত নিয়মিত নির্যাতন ও হত্যাকান্ড। সীমান্তে চোরাচালান ও বাংলাদেশ থেকে কথিত অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিতর্কিত শ্যুট-অন-সাইট (দেখামাত্র গুলি) নীতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বহাল আছে, যার প্রেক্ষিতে বিএসএফ কারণে কিংবা অকারণে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করতে পারে।আত্মীয়ের বাসায় যাওয়া, বাজার-সদাই করা, এবং কাজ খুঁজতে সঙ্গে অনেক মানুষ নিয়মিতভাবে সীমান্ত পারাপার করে।
ছোটখাটো এবং গুরুতর আন্তঃসীমান্ত অপরাধে নিয়োজিত
সাধারণত সিমান্তে অবধ্য কার্যকর্ম বন্ধের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে বিশেষ করে, মাদক দ্রব্য পাচার,যৌন কাজের জন্য নারী পাচার,জাল নোট পাচার,বিস্ফোরক পাচার ইত্যাদি।
এই পযন্ত ২০০০ সালের পর থেকে ১৫০০ সাধারন বেসামরিক লোক হত্যা করছে বিএসএফ।২০১১ সালে জানুয়ারি থেকে জুন পযন্ত ১৭ জনকে হত্যা ও নির্যাতন করেছে বিএসএফ।
ব্যাড এডামস, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের এশিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বলেন,
"Routinely shooting poor, unarmed villagers is not how the world's largest democracy should behave."
২০০৮ সালের ১৮ঈ জুলাই যখন তৎকালীন BDR এর দুই সদস্য ১) আব্দুল হান্নান সরকার এবং কৃষ্ণপদ সাহাকে BSF গুলি করে হত্যা করেছিল। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিমান্তে গড়ে প্রতি মাসে তিনজন বাংলাদেশি হত্যা করা হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সিমান্তে হত্যার সংখ্যা ২১৪ জন । আহত / গুলিবিদ্ধ ৩২৩ জন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম গ্লোবালপোস্ট তাদের এক নিবন্ধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে অভিহিত করেছে ‘মৃত্যুর প্রাচীর’ হিসেবে।
শেষ করবো বিএসএফ এর প্রধান এর একটা কথা দিয়ে!!!,তারা আমাদের কি মনে করে তা এই উক্তি মাধ্যমে পরিস্কার বোঝা যায়!!!
বিএসএফ-এর প্রাক্তন প্রধান, রমণ শ্রীবাস্তব, বলেন যে মানুষের এই শিকারগ্রস্তদের জন্য দুঃখ বোধ করা উচিত নয়। তিনি দাবি করেন যে, যেহেতু এইসব ব্যক্তি প্রায়শই রাতে, অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করছিল, তাই তারা "নির্দোষ না" ছিল এবং সেই কারণে এরা বৈধ লক্ষ্য ছিল।
এবং মনে হয় এই কারণে ওরা ফেলানী বা ওই সব নিরিহ মানুষদের কে নিরবিচারে গুলি করতে পারে।
লিংক:বাংলা উইকিপিডিয়া
বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহিত।