somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুলে লাগুক রঙের ছোঁয়া

২৭ শে মে, ২০১২ রাত ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বারগ্যান্ডি, গোল্ডেন ব্রাউন, রেড, কপার আরও কত নাম। চুলের রংয়ের নানা শেড। পছন্দমতো বেছে নিন। সঙ্গে জেনে নিন রঙিন চুল ভালো রাখার বিশেষ উপায়। শ্বেতাঙ্গরা বাদামি বর্ণের চুল খুব পছন্দ করে। কিন্তু জন্মগতভাবে বেশির ভাগের বাদামি চুল না হওয়ায় চুলের রং বাদামি করার জন্য তারা আবিষ্কার করে কেমিক্যাল। আমেরিকার ১৮ বছরের বেশি মেয়েদের এক-তৃতীয়াংশ চুলে রং করে। আমাদের দেশেও মেয়েদের চুলে রং করার হার বেড়েছে বহুগুণ। পার্লারগুলোতে চুলে রং করার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে। চুলকে নানা রংয়ে রঙিন করতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। কারণ, চুলের স্টাইল একটু বদলে ফেললে পুরো লুকটাই পাল্টে যায়। নিস্তেজ, ম্যাড়মেড়ে চুলের স্টাইল চেঞ্জ করে পরের দিনই স্মার্ট আর ট্রেন্ডি হিসেবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারেন। বাজারে রেডিমেড হেয়ার কালারের এখন অভাব নেই। কিভাবে আপনার চুলের উপযোগী কালার বেছে নেবেন, কালার করার পর কিভাবে চুলের জৌলুস বজায় রাখবেন তা নিয়ে এবারের পরামর্শ।

বেছে নেওয়ার সময়

* প্রথমবার চুলে কালার করলে সেমি পারমানেন্ট কালার ট্রাই করাই ভালো। বেশ কয়েকবার শ্যাম্পু করার পর এ কালার ধুয়ে যায়। পছন্দ না হলে আবার কালার ট্রাই করতে পারবেন।



* কালারের প্যাকেটের গায়ে যে রং দেখতে পান, সেটা দেখে চুলের কালার বেছে নিন।

*বেশির ভাগ হেয়ার কালার দুটি ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। ওয়র্ম অথবা কুল। আপনার গায়ের রং যদি শ্যামলা হয় এবং চোখের মণির রং যদি ব্রাউন বা ডার্ক ব্রাউন হয় তাহলে আপনি ওয়র্ম ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন। আর আপনার গায়ের রং যদি ফরসা এবং চোখের মণির রং ব্লু বা গ্রিন হয় তাহলে আপনি কুল ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন।

*ওয়র্ম স্কিন টোনের মধ্যে ক্যারামেল বা ব্রোঞ্জ টোনের কালার শেড মানানসই। জেট ব্ল্যাক হেয়ার কালার ট্রাই না করাই ভালো। গোল্ডেন শেড বেছে নিলে খুব একটা হালকা শেডের রং ট্রাই করুন। না হলে চুলে অরেঞ্জ কালার টোন আসতে পারে। কুল স্কিন টোনের জন্য এরকম কালার বেছে নিন যেগুলো ত্বকের লালচে ভাবকে খুব একটা হাইলাইট করবে না। অ্যাশ ব্লন্ড বা কুল ব্রাউন ভালো হবে। গোল্ডেন কপারের মতো কালার এড়িয়ে চলুন।

* পাকা চুলের টেঙ্চার মোটা হওয়ার কারণে সহজেই কালার করে ঢাকা কঠিন। চুলের এক-তৃতীয়াংশ পাকা হয়ে গেলে সেমি পারমানেন্ট কালার ব্যবহার করুন। আপনার চুল থেকে এক শেড হালকা সেমি পার্মানেন্ট কালার বেছে নিন।

ভেজিটেবল কালার

চুল নরম করতে মাসে অন্তত একবার ব্যবহার করুন হেনা। ঈষদুষ্ণ পানিতে হেনা পাউডার মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। একঘণ্টা পর হারবাল শ্যাম্পু করুন। তারপর চামেলি টি-ব্যাগ গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে বা লেবুর রস দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে ফেলুন।

টেম্পোরারি কালার

নিজের শখে বা এক-দুদিন অনুষ্ঠানের জন্য চুলে কালার করতে চাইলে টেম্পোরারি কালার ব্যবহার করুন। চুলের উপরের মাঝে হালকাভাবে কালার করা হয়। চুলের ভেতরে কিউটিকুল ও কার্টেঙ্ রং পেঁৗছায় না।

বি্লচিং

ব্লড শেড মানে চুলের রং সোনালি করতে চাইলে বি্লচিং। তবে বি্লচিং করলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে একদিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত চুল অাঁচড়ান।

হাইলাইটিং

ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে চুল ভাগ করে চুলে রং করা হয়। পুরো চুলে রং না করতে চাইলে আপনার চুলের জন্য হাইলাইটিং আদর্শ। ভালো কোয়ালিটির হেয়ার কালার ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে শ্যাম্পুর পর নিয়মিত কন্ডিশনিং জরুরি।

যত্নআত্তি

চুলপড়া সমস্যা সারাবছর লেগেই থাকে। মাথাভর্তি কালো চুলের লম্বা বেণি দেখতে পাওয়া দারুণ ভার। আবার রেশমি কালো চুলও এখন খুব বেশি দেখা যায় না। কালো চুলের জায়গায় শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের চুল। আর এ কারণে নানা সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। চুল রং করলেই তো আর হলো না। এ রং ধরে রাখতে প্রয়োজন চুলের বিশেষ যত্ন। সারাদিনের ব্যস্ততায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে মাথাও ঘামে ভিজে যায় আর তার মধ্যে জমতে থাকে ময়লা। এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় এবং চুল উঠতে শুরু করে। চুল ওঠা সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি, যাদের চুল রং করা। কেমন করে আপনার রঙিন চুলের রং ধরে রাখবেন আর তার যত্ন নেবেন, আসুন এ বিষয়টা জেনে নেওয়া যাক। যদি আপনি প্রথমবার চুলে রং করেন, তাহলে এর পেছনের দিকে ঘাড়ের অংশের কিছু চুল নিয়ে তাতে রং ব্যবহার করে দেখুন। যদি আপনি রোজ বাইরে বের হন বা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, তাহলে আপনার চুলের রং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। এর থেকে বাঁচতে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যা সূর্যের তাপ আর জল থেকে আপনার চুল রক্ষা করবে। নতুন করে রং করার আগে চুলে যে রং লাগানো ছিল তা রিমুভারের সাহায্যে তুলে ফেলুন। পাকা চুলের ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো রং ব্যবহার করতে পারেন। কালার করার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে চুল সম্পূর্ণ শুকনো থাকে, কারণ ভেজা চুলে রং আসতে দেরি হয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×