somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শার্টের পরিচয়

৩১ শে মে, ২০১২ রাত ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাতা দিয়েই শার্টের পরিচয়। এই যেমন_ফুল হাতা শার্ট আর হাফ হাতার শার্ট। তারপর আবার এই দুই হাতার মধ্যে নানা রকমফের। ঢিলেঢালা, আবার কখনো একটু আঁটসাঁট। তাই শার্টের বেলায় হাতার কদর আগে থেকেই। আর এখনকার তরুণরা তো শার্ট কেনেন হাতাকে প্রাধান্য দিয়ে। হাতার বৈচিত্র্যই একটা শার্টকে অন্যটি থেকে আলাদা করে। ফ্যাশন হাউসগুলোও তাই শার্ট তৈরিতে হাতায় অধিক মনোযোগী।

বোতামে বৈচিত্র্য
ফুল না হাফ। শার্টে বোতামের বিচিত্র ব্যবহারের কারণে বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময়ই পাবেন না। বোতাম ও ফিতার কারসাজিতে ফুল হাতাকে বানিয়ে নেওয়া যায় শর্ট বা হাফ হাতায়। এ ক্ষেত্রে আগের মতোই হাতা গুটিয়ে নিয়ে তারপর বোতামবন্দি করা যায়। এ ধরনের শার্ট পরা যায় বছরের সব সময়। গরম কি শীত_হাতা গোটানো বা ছেড়ে রাখা যায়। গোটানোর পর হাতার কাপড়ের উল্টো অংশটি যাতে ধরা না পড়ে, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শার্টের ওপরের অংশের রঙের কাপড় ভেতরেও জুড়ে দেওয়া হয় বা আলাদা কাপড়ও থাকে, যা পকেট, প্লেট, কলারসহ অন্যত্র ব্যবহৃত হয়েছে। এ ছাড়াও যত্রতত্র বোতাম ব্যবহার করে নকশা করা হয় হাতায়। তখন বিভিন্ন জায়গায় বোতামের রংও ভিন্ন ভিন্ন।

কফের কত রং
ফুল হাতার একেবারে শেষ অংশ, যা কবজির কাছাকাছি চলে যায়, তাকে বলে কফ। হাতাকে আরো সুন্দর করতে ব্যবহার করা হয় নানা রঙের কফ। এ ক্ষেত্রে শার্টের কাপড়ের রং যা-ই থাকুক না কেন, কফের কাপড়ের রঙের সৌন্দর্যগুণে শার্টের ধরনই পাল্টে যায়। কফে বোতামের বৈচিত্র্য তো আছেই।

হাফ হাতায় চিকন লেইস
হাফ হাতায় সাধারণত বোতাম বা কফের কাজ করার সুযোগ নেই। তাই বলে থেমে নেই এর রং-বাহার। শার্টের রং যা, তার ধারে-কাছেও না গিয়ে ভিন্ন রঙের চিকন লেইস জুড়ে দেওয়া হচ্ছে হাতার কাছায়।

শার্টের রং এক হাতার রং আরেক
এ রকম হাতার ক্ষেত্রে শার্টে যে রঙের কাপড় ব্যবহৃত হয়, হাতায় সে রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয় না। শার্টের রং উজ্জ্বল হলে হাতার রং তুলনামূলক মলিন, আবার বিপরীতও ঘটে।

পাবেন
মেনজ ক্লাব, ক্যাটস আই, ওয়েস্টেকস, সানমুন, লা রিভ, নিত্য উপহার, ওয়েস্টিন, ইস্টওয়ে, দর্জিবাড়ি, টেঙ্মার্ট, শার্ট গ্যালারি, রঙ, আড়ং, কে-ক্র্যাফট, বাংলার মেলা, অন্যমেলা। এ ছাড়া ইনফিনিটি, রেঙ্, আনলিমিটেড, এলিগ্যান্ট, র‌্যাগলার, অরভিস, ব্যাঙ, ইয়েলো, প্লাস পয়েন্ট, ট্রেন্ডজ, লার্ক ইত্যাদি শোরুমে পাবেন নানা হাতার শার্ট।

টিপস
কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই পড়ি। জেনে নিন দাগ তোলার কিছু টিপস।

* রঙিন কাপড় কিংবা সিল্ক ফ্যাব্রিকের দাগ তুলতে হলে কাপড়টি বোরেঙ্ সলিউশনের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। এ ছাড়া লবণ ও লেবুর রসে একত্রে মিশিয়ে কাপড়ের ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার ও মুলতানি মাটির পেস্টও দাগ তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভেজা কাপড় দিয়ে দাগের ওপর ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
* কলমের দাগ তুলতে পারেন টমেটোর রস দিয়ে। এক টুকরো কাপড়ে খানিকটা কাঁচা টমেটোর রস নিয়ে কাপড়ের দাগের মধ্যে লাগান। ১ ঘণ্টার মতো রেখে দিয়ে অনেক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কালির দাগটি প্রথমে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এরপর টক দইয়ের মধ্যে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, যেন কাপড় শুকিয়ে না যায়। এরপর গুঁড়ো সাবান ও প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কালির দাগ তোলার আরেকটি উপায় হলো, দাগের ওপর লবণ দিয়ে রাখুন। এরপর লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। এরপর সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কার্পেট বা সোফায় কালির দাগ পড়লে প্রথমে দাগের ওপর খানিক তরল দুধ ঢেলে দিন। এরপর ভেজানো তুলা দিয়ে ঘষুন। কিছুক্ষণের মধ্যে দাগ উঠে যাবে।
* চা-কফির দাগ তুলতে প্রথমে দাগটির ওপর গরম পানি ঢালুন। এরপর ঘষুন, দাগটি উঠে যাবে। পুরনো কফির দাগ তুলতে হলে গরম পানিতে বোরেঙ্ মিশিয়ে দাগের ওপর ব্যবহার করুন, দাগ উঠে যাবে।
* লিপস্টিকের দাগ তুলতে হলে দাগের ওপর গি্লসারিন দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ উঠে যাবে। যদি গি্লসারিন না থাকে, তবে পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন।
* কাপড়ে ঝোল কিংবা তরকারির দাগ পড়লে দাগের ওপর প্রথমে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষুন। প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার পাউডার দিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×