১। ভালবেসে প্রেমিক বা প্রেমিকার হাত ধরে ঘর ছাড়ার অসংখ্য উদাহরণ আমরা দেখেছি। আমাদের বাংলা ফিল্ম গুলো এ ব্যাপারে অনেক বেশিই অগ্রসর। প্রেমে পড়লে আমরা কেমন যেন উন্মাতাল হয়ে যাই। আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত যে মানুষগুলোর কাছে ঋণী তাদেরকে ভুলে গিয়ে আমরা কারো হাতে হাত রাখার জন্য বেড়িয়ে পড়ি। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, যে মা-বাবা আমাদের জন্ম দিলেন, বড় করলেন তাদের সেই ভালবাসা কি আসলেই প্রেমিক প্রেমিকার ভালবাসার চেয়ে কোন অংশে কম কি না?
২। মানুষ বাতাসের ভেতর থেকে যেমন কখনোই বুঝতে পারে না যে তার চার পাশে বাতাস আছে তেমনি আমাদের পরিবারের ভালবাসায় আমরা এমন ভাবেই ডুবে থাকি যে আমরা বুঝতেই পারি না ভালবাসার বাধন কতটা তীব্র। তাই আমরা ভালবাসার খোজে কখনো কখনো মেকি ভালবাসার দিকে হাত বাড়াই।
৩। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই তো যারা যারা প্রেম করেন তারা সবাই তাদের ভালবাসার মানুষটির কাছে ফোন করেছিলেন। আপনাদের ভালবাসার গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন করছি না, তবে কেও কি এমন আছেন যে প্রথম ফোনটি তার "মা" কে করেছিলেন??? ভালবাসা দিবসে যে মানুষটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে তাকে কি একবারও জানানো যেত না "ভালবাসি"???
৪। আমাদের দেশ তো আমাদের মায়েরই আরেক রুপ। এ দেশের তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বিগত যে কোন সময়ের ভেতর সর্বোচ্চ এখন। সত্যিই, সত্যিই খুব বড়সড় কলংক হবে এ তরুণ সমাজের যদি দেশের এমন অবস্থায় আমরা শুধু প্রেমিকার নরম হাতকেই আরাধ্য ভাবি, যদি আমরা ভালবাসা বলতে শুধুই প্রেমিক বা প্রেমিকার ভালবাসা বুঝি। আসুন না, আজ ভালবাসা দিবসে একবার হলেও আমাদের মা বাবাকে বলি "ভালবাসি" আর প্রেমিক বা প্রেমিকার হাতে হাত রেখে দুজনেই এ দেশ বা এ দেশের মানুষকে ভালবাসার প্রতিজ্ঞাটি করি।
৫। ভালবাসা ভাগ করলে কমে না। একটা মোমবাতি যেমন হাজার হাজার মোমবাতিকে জ্বালিয়ে দেয়, আপনার দেশের প্রতি একটু ভালবাসাও হাজার হাজার ভালবাসার শিখা তৈরি করতে পারে।
****** ভালবাসার দাবানলে পুড়ে খাটি হোক তরুণ প্রজন্ম। সবাইকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।