somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর ইতিহাসের নিঃসন্দেহে কিছু ভয়ংকর যুদ্ধ গোষ্ঠী /:) :-& :-0

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সভ্যতার কালক্রমে কত জনপদ ধ্বংস হল আর কত নগর গরল। যুদ্ধের তো শেষ নেই। কিন্তু কিছু জাতি গোষ্ঠী সমরে তাদের অসাধারন কলা কৌশলের জন্য অমর হয়ে আছে। চলুন একটু তাদের সাথে পরিচিত হওয়া যাক।

১০ Aztecs



যুদ্ধে করুন নির্মমতার জন্য Aztecs রা বিখ্যাত ছিল। তারা সাধারনত ইগল বা জঙ্গলের আনান্য প্রাণীদের মত পোশাক পরিধান করত। তারা ক্লাব এবং bows মত সুন্দর আদিম অস্ত্র ব্যবহার কিন্তু তা অত্যন্ত চমৎকার দক্ষতার সাথে ব্যবহৃত হত। “Shorn Ones” ছিল তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ারিয়র্স। শত্রু আসার খবর পাওয়া মাত্র খুব দ্রুত তারা তৈরি হয়ে যেতেন। এবং যোদ্ধ ক্ষেত্রে তারা পিছনের দিকে কোন পদখেপ গ্রহণ করতেন না। পরবর্তীতে তারা স্পেনীয় শক্তি দিয়ে পরাজিত হয়েছিল কিন্তু সেটি অনেক পরে ঘটনাক্রমে বলতে গেলে মূলত আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এর সঙ্গে তারা পরাজিত হয়েছিল।

৯ মঙ্গোল যোদ্ধা



ইতিহাসে মঙ্গোল দের সবচেয়ে জঘন্য তম barbarians আর অসভ্য বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তাদের ইউরোপ এবং এশিয়াতে আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছিল। এবং তাদের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ছিলেন ঘোড়ায় চড়ে যোদ্ধ করার জন্য বিখ্যাত, চেঙ্গিস খান। তারা অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। তারা ঘোড়ার পিঠে চরে তিরধনুক এর ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষিপ্রটার সাথে করতে পারত। তারা বর্মের মাধ্যমে তীর ধনুকে চেরা পরাতে পারত। এছাড়া lances scimitars এর সঙ্গে চমত্কার ভাবে ব্যাবহার করতে জানত। তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এবং ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে পৃথিবীর বৃহত্তম সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল।

৮ মামুলুক



মামলুক রা মূলত ছিল স্লেভ সৈনিক যারা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং মধ্যযুগে মুসলিম খলিফার এবং আযুবিদ এর সুলতানাত কে সেবা প্রদান করে। সময়ের সাথে সাথে, তারা হয়ে ওঠে একটি শক্তিশালী সামরিক জাতি যারা প্রায়ই ক্রুসেডার্স দের হুমকির কারন হয়ে উঠে। কখনও কখনো তারা ক্ষমতা দখল করে নেয়। উদাহরণস্বরূপ, মামলুক ওমানে 1250-1517 থেকে এবং মিশরের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। মামলুকরা ইসলাম গ্রহণ করার পর তাদের অনেকে রিসালা সৈন্য হিসাবে প্রশিক্ষিত ছিল। মামুলুকরা সাহস এবং উদারতার জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও রিসালা কৌশল, অশ্বারোহীতা, ধনুর্বিদ্যা এবং চিকিত্সা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে তারা উন্নতি করেছিল।

৭ রোমান সৈন্যবাহিনী



রোমান সেনাবাহিনীর আকার ও শক্তির পদ ছিল অতুলনীয়। রোমান সম্রাজের নেতৃত্বের মধ্যে যে দৃঢ়তা তার অনেকটাই রোমান সৈন্যবাহিনীর কারনে। তারা বর্ম এবং একটি ঢাল পরিহিত সৈন্য। প্রাচীন গ্রীকের পরে স্থাপিত ভারী পদাতিক সৈন্যবাহিনী রোমানদের ই ছিল। তারা তলোয়ার বর্শা এবং একটি ঢাল এর অসাধারন সমন্বয় করে শত্রু ঘায়েল করতে পারত। অর্থ বিত্তের স্বমনয়ে গঠিত সেনারা সে সময়ের শ্রেষ্ঠ অস্ত্র ও বর্ম পরিধান করত। তারা উত্তমরুপে শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে সশস্ত্র ছিল। অস্র বিদ্যার কৌশল তাদের সাম্রাজ্য অতিক্রম করতে পাহাড় সমান বাধা ছিল প্রতিপক্ষের কাছে যা স্থায়ী ছিল পরবর্তী কয়েক দশক।

৬ অ্যাপাচি



অ্যাপাচিরা অনেকটা আমেরিকার নিনজা সম্প্রদায়ের মত ছিল। তারা নিশব্দ ভাবে কারও পিছু নিতে পারত যেন কেউ টের না পায়। এমনকি গলা কেটে নিলেও শত্রু টেরই পেত না। তারা আদিম কাঠ এবং হাড় তৈরি বেশিরভাগ অস্ত্র ব্যবহার করত। তারা ছিল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ছুরি যোদ্ধা। যুদ্ধকুঠার এবং নিক্ষেপ কুঠার চমত্কার দক্ষতার সাথে ব্যাবহার করতে পারত। তারা যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী হামলা এবং সামরিক বাহিনির জন্য এখন ও হুমকি। তাদের মহান যোদ্ধারা তাদের উত্তরাধিকারদের কিভাবে হাতে হাতে লড়াই করতে হয় তা যোদ্ধাদের শেখান।


৫ সামুরাই



জাপানী ফৌজি অফিসার হিসেবে সামুরাই দের সুনাম অনেক দিনের। তাদের জাপানের নাইট হিসেবে আভিহিত করা হয়। সামুরাইরা কাতানা মাস্টার বা কাতানার অধিপতি। তাদের বর্ম পরিহিত সশস্ত্র সৈন্য ছিল। তারা তাদের কর্তা জন্য মরে ইচ্ছুক এমন ভয়ানক প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষিপ্র ও ক্ষুরধার তলোয়ার চালনায় তারা অনন্য ছিল। সামুরাই তলোয়ার দিয়ে অনায়াসে এক কোপে দুই জন মানুষ কে কতল করা যেত। প্রাচীন বিশ্বের সেরা yumi (bow) চালনায় ও তারা দক্ষ ছিল। তারা পেশাদার সৈনিকদের মত ছিল। তারা যথেষ্ট প্রশিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান সমাজে তারা সম্মানিত ব্যাক্তি হিসেবে গন্য হত। তাদের হিংসাত্মক কর্ম সূচির ফলে কৃষকরা তাদের বিরুদ্দে বিদ্রোহ করে এবং নিনজার জন্ম হয়।

৪ নিনজা



নিনজা ছিল চুরি এবং অন্তর্ঘাত সঙ্গাতের মাস্টার। তারা মূলত ছিল marauding জাপানী সামুরাইদের সর্বনাশ কৃষক প্রশিক্ষণ এর বিরোধী কিন্তু ঘটনাক্রমে অধিকাংশ মানুষের মনে হয়ে ওঠে কাল্পনিক হত্যাকারী। তারা তলোয়ার, blowgun, নিনজা বড়, এবং kusarigama মত একটি Kanata ব্যবহার করে যা খুনে অস্ত্র নামে পরিচিত। তারা বেমালুম রাতে ছায়া ওয়ারিয়র্স জন্য পরিচিত। তারা ব্যাপকভাবে তাদের ক্ষমতা সামরিক এবং কঠোর প্রশিক্ষণে ব্যায় করেছেন।

৩ ভাইকিং



ভাইকিং (ইংরেজি: Viking) বলতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সমুদ্রচারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা ও জলদস্যুদের একটি দলকে বোঝায়, যারা ৮ম শতক থেকে ১১শ শতক পর্যন্ত ইউরোপের এক বিরাট এলাকা জুড়ে লুটতরাজ চালায় ও বসতি স্থাপন করে। এদেরকে নর্সম্যান বা নর্থম্যানও বলা হয়। ভাইকিঙেরা পূর্ব দিকে রাশিয়া ও কনস্তান্তিনোপলপর্যন্ত পৌঁছেছিল। অন্যদিকে পশ্চিমদিকে গ্রিনল্যান্ডে ভাইকিঙেরা ৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপন করে এবং সম্ভবত প্রথম ইউরোপীয় জাতি হিসেবে ১০০০ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা মহাদেশ আবিস্কার করে। আইসল্যান্ড ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অনেক গাথায় ভাইকিংদের শৌর্য-বীর্যের কথা বলা হয়েছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার মানুষেরাখ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হতে শুরু করলে ভাইকিংদের অভিযান ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়ে সমাপ্ত হয়ে যায়।

২ স্পারটা



স্পাটা বাসীদের জীবন মানেই যুদ্ধ। তাদের ছোট বেলা থেকেই যুদ্ধ প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তাদের একটা প্রচলিত লোক কথা ছিল “come back with the shield or on top of it” which means don’t come back unless you are victorious। যুদ্ধের সময়ে কুখ্যাত কিছু কার্যকলাপ দুনিয়াতে তাদের অমর করে রেখেছে।

১ নাইট



সোলমনের মন্দির এবং খ্রিস্টের দরিদ্র সহযোগী-সৈনিকবৃন্দ (Poor Fellow-Soldiers of Christ and of the Temple of Solomon) সাধারণ মানুষের কাছে নাইট টেম্পলার নামে পরিচিত। এছাড়া একে অর্ডার অফ দ্য টেম্প্ল-ও বলা হয়ে থাকে। খ্রিস্টান সামরিক যজক সম্প্রদায়গুলোর (অর্ডার) মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিখ্যাত এবং পরিচিত। তারা ছিল ক্রুসেডের সময়কার সর্বোৎকৃষ্ট অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত, সর্বোচ্চ মানের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং সর্বোচ্চ শৃঙ্খলাবিশিষ্ট যোদ্ধা দল।

তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত।
১৪টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×