somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষে কী না খায়!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একই খাবার খেয়ে খেয়ে যাঁরা অতিষ্ঠ, তাঁরা এখন নতুন করে ভাবতে পারেন। আশপাশেই মিলতে পারে এমন সব মানুষের দেখা, যাঁরা নুড়ি, পাথর, বালি থেকে শুরু করে সুন্দর নকশা করা কার্পেটও চিবিয়ে যাচ্ছেন অবলীলায়! বিশ্বাস হচ্ছে না? অদ্ভুত খাদ্যাভাস নিয়ে অক্সফোর্ড ব্রুক ইউনিভার্সিটির রিপোর্টখানায় চোখ বুলালে সেই চোখ কপালে উঠবেই!


পাকিস্তানের ৬১ বছর বয়সী ওয়াসায়ওর সবচেয়ে প্রিয় খাবার কার্পেট। দুপুরের সাধারণ খাবার মেন্যু হলো এক বাটি ভাঙা কাচ আর কয়েকটা ঘাস কাটার কাঁচি। তিনি মনে করেন, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই বিচিত্র খাবারের বৈচিত্র্যময় স্বাদ থেকে বঞ্চিত। করাচির এক ফাইভ স্টার হোটেলে হাজারও মানুষের সামনে বাল্ব আর গুঁড়ো করা চায়ের কাপ গিলতে গিলতে জানালেন, তিনি মুরগির মাংসও খান।
তালিকা অনেক লম্বা। এ ক্ষেত্রে এশিয়ানরা একটু এগিয়ে। ভারতের কানপুরের দশরথ বিয়ার খেতে খুব ভালোবাসেন। তবে বিয়ারের বোতলকে আরো বেশি ভালোবাসেন। তাই বিয়ার শেষে বোতলটাও কুড়মুড় করে চিবিয়ে খেয়ে
ফেলেন।
আমরা যেমন ভাতের সঙ্গে ডাল মিশিয়ে খাই, তেমনি চীনের ওয়াংচেংকি কাচের বোতলের সঙ্গে ছাই খান। এর পরও দিব্যি সুস্থ আছেন ৫০ বছর বয়সী এ খাদ্যরসিক। ডাক্তাররা অবশ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ওয়াংচেংকির পরিপাক রস সাধারণ মানুষের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি শক্তিশালী। তবে এ অসাধারণ পরিপাকতন্ত্র অর্জনের কারণ জানা যায়নি।
ছোটবেলা থেকেই বালি খেয়ে আসছেন ভারতের লক্ষ্নৌয়ের বৃদ্ধা রামরতি। বালি খেতে যেন সুবিধে হয় এ জন্য দীর্ঘকাল ধরে সমুদ্রের পাশে বাস করছেন। তাঁর বয়স এখন ৮৪। প্রতিদিন এক থেকে দেড় কেজি বালি না খেলে তাঁর চলে না! ডাক্তাররাও আর নিষেধ করছেন না। যে কয়দিন বাঁচেন, মজা করে বালি খেয়ে গেলেই বা কী।
পিছিয়ে নেই পশ্চিমারাও। নাটবল্টুর পাশাপাশি মেশিনের পার্টসও হজম করে ফেলতে পারেন অ্যান্ড্রু ওয়াপল। তবে তাঁর প্রিয় খাবার হচ্ছে সিগারেটের ফেলে দেওয়া গোড়া।
ওই একই বস্তু শৈশব থেকে খেয়ে আসছেন ইউরোপের বোল্ট ক্যান্ট। লোহার তৈরি যন্ত্রাংশও হজম করে ফেলতে পারেন তিনি। ছুরি, কাঁচি, ব্লেড তাঁর নিয়মিত খাবার। যদি কোনো জিনিস দেখতে ভালো লাগে, তাহলে সেটা খেয়ে ফেলা উচিত; আর তাঁর কাছে সব জিনিসই ভালো মনে হয় বলে মন্তব্য করেন বোল্ট।
খুব ছোটবেলায় একদিন মনের ভুলে কাগজ গিলে ফেলেছিলেন জাপানের ইয়োকো ওসাদা। সেই থেকে কাগজ তাঁর সবচেয়ে পছন্দের খাবার, দুশ্চিন্তার সময় কাগজ খেলে দুশ্চিন্তা অনেক কমে আসে বলে মনে করেন তিনি।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কাজটি করেন চায়েন হাল্টগ্রেন। ১৮টি তলোয়ার একসঙ্গে গিলে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। ৩১ বছর বয়সী এ অস্ট্রেলিয়ান তলোয়ার গিলেও দিব্যি সুস্থ আছেন। তাঁর মতে, এটি নাকি বিপজ্জনক কোনো কিছু নয়! ১৬ বছর বয়স থেকে তলোয়ার খাওয়ার অনুশীলন করে আসছেন তিনি।
ছাগলে কী না খায় প্রবাদটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের কেন অ্যাডওয়ার্ডস। এক মিনিটে ৩৬টি তেলাপোকা খেয়ে সম্প্রতি তিনি গিনেস বুক অব রেকডর্সে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তাঁর মতে, তেলাপোকায় কেমন একটা ওষুধ ওষুধ গন্ধ আছে। এ ছাড়া বাকি সব বেশ ভালোই লাগে তাঁর।
তাঁদের সবার যোগ্য পূর্বপুরুষ বলা যেতে পারে ফ্রান্সের মিশেল ললিতকে। ১৯৫০ সালে এই লোকের আরেক নাম ছিল মিস্টার সর্বভূক। ধাতু, পাথর, কাচ, রাবার, সাইকেল, টেলিভিশন থেকে আস্ত সেসনা বিমান পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছিলেন তিনি। অবশ্য বিমানটা সাবাড় করতে সময় লেগেছিল টানা দুই বছর!
ভাববেন না, অদ্ভুত সব খাবার খেয়ে রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে খুব সুখে আছেন এঁরা। এত খ্যাতি সত্ত্বেও ওয়াসায়ও এখনো বিয়ে করতে পারেননি। পাত্রীপক্ষের আশঙ্কা, কখন না জানি বউকেই সাবাড় করে ফেলেন এ ভোজনবিলাসী।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×