জীবন রক্ষা ও জীবিকার সুরক্ষা জীবনযাপনের সাথে জড়িত দুটোই এখন মুখোমুখি ও বিপরীতে অবস্থান। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ এমন গভীর সংকটে পড়েনি। বাংলাদেশে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ক্রমাগত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে, মৃত্যু প্রতিদিনই অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আইসিডিডিআরবির এক তথ্যে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের ৮১ শতাংশই দক্ষিন আফ্রিকান ভ্যারিয়্যান্ট। যার ভয়াবহতা আগের থেকে আরো তীব্র। দেশজুড়ে সব আইসিইউ বেড পূর্ণ, অক্সিজেনের পযার্প্ততা ঘাটতির দিকে। চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে।
গতবছর করোনার ভয়াবহতায় লকডাউনে ধনী থেকে গরীব সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা। একটু একটু করে যখন আবার স্বাভাবিক ভাবে ফিরে আসছিলো তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও মানুষ দেয়ালে পিঠ ঠেকে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিষেধ অমান্য করে কাজে ফিরেছে। লকডাউন ঘোষণায় সরকারের সিদ্ধান্তে অস্পষ্টতা জটিলতা বেড়েছে। ফলে এই লকডাউন থেকে গেছে শুধুমাএ ঘোষণায়।
পরিস্থিতি যে ভয়াবহতা দিকে যাচ্ছে, সেখানে সত্যিকার অর্থে লকডাউনের বিকল্প একদম সীমিত। ভীষণ অপ্রিয় হলেও সত্য এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন উন্নতি ঘটাতে পারে। সরকারের ভুল কর্মকান্ডে সমলোচনা আমরা করবো, কিন্তু তাদের সঠিক সিদ্ধান্তে দেওয়া দরকার। তাই, ভয়াবহতা রোধে সরকার কর্তৃক যেকোন কঠোর সিদ্ধান্ত কে বাস্তবায়নে সহায়তা করতে হবে। প্রিয় মানুষ গুলো কে যদি মৃত্যুর সংখ্যা পরিনত না করতে চান, আইসিইউ বেড না পেয়ে প্রিয়তমার নিথর দেহে আর যেনো আহাজারিতে চারপাশ ভারী না হয়ে ওঠে। তাহলে বাস্তববাদী হয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
আমরা সবাই পাশাপাশি সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় এমন ভয়াবহতা কে মোকাবিলা করি।