করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পুরো দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।সীমিত হয়ে হয়েছে রোজগারের সুযোগ। এই সংকটে সবথেকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার গুলো।
প্রান্তিক বা নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো সরকার, ব্যক্তি বা সংগঠন সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সহায়তা পেয়ে থাকে, যদি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, কিন্তু পাচ্ছে।
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার গুলো সহায়তা পায় না, তারা কোথাও চাইতে যায় না। কারণ অর্থনৈতিক দৈন্যতায় নিঃশেষ হয়ে যাবে তারপরও আত্মসম্মান কে বিকিয়ে দিবে না।
ধরুন, একজন শিক্ষক স্কুল বা কলেজ যেটাই হোক তিনি যদি নন এমপিও স্কুলে(সরকারী অর্থ সহায়তা ছাড়া) সামান্য বেতনে চাকরি করেন পাশাপাশি টিউশনি করে তার সংসার চালান। এই পরিস্থিতিতে স্কুল ও টিউশনি দুটোই বন্ধ।কোনটিতে তেমন অর্থ আসবে না।
কিভাবে পরিবারের নূন্যতম খাবারের অর্থ যোগাড় করবেন। তিনি চাইলেও এানের জন্য আবেদন করতে পারছে না, রিলিফের চালের জন্য ট্রাকের সামনে মানুষের লাইনেও দাঁড়াতে পারছে না দূরে দাঁড়িয়ে লম্বা লাইনের মানুষ গুলো দেখে দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়েই হেটে চলছে বাড়ির দিকে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের এই নীরব অভাববোধ সবসময়ই মনোবল ভেঙ্গে তাদের আরো সংকচিত করেছে।
এমন অনেক পেশার মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা নীরবে অভাববোধ কে সঙ্গে করেই পথ চলছে। তাদের এই অবস্থা কে পাশ কাটিয়েছে মিডিয়া, সরকার, সংগঠন সবাই। করোনা ভাইরাসের এই প্রভাব কতদিন থাকবে এটা এখনই বলা কঠিন। তবে, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের জন্য সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বা লকডাউন হয়ে আরো কিছুদিন থাকাটা জরুরি। তাহলে দ্রুত এই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে স্বাভাবিক হবে জীবনযাএা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯